List

মূল পরিকল্পনানুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের
বিজয়স্তম্্‌েভর বাস্তবায়ন প্রয়োজন

বিগত ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থাপনা প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এসব স্থাপনা-প্রকল্পের মধ্যে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের বিজয়স্তম্্‌ভ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমাদের বয়সী অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের স্মৃতিতে এখনো অ্লান হয়ে আছে একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের কথা এবং ১৬ ডিসেম্বরের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা। প্রস্তাবিত বিজয়স্তম্্‌ভ যেখানে বাস্তবায়ন করার জন্য নির্ধারিত হয় সেই স্থানটি স্মরণীয় উল্লিখিত দু’টি ঘটনার জন্য। সুতরাং বাঙালি জাতির ইতিহাসের স্মরণীয় ঘটনাকে চিরস্থায়ী করতে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে নির্মিতব্য বিজয়স্তম্্‌ভ মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হওয়া প্রয়োজন। কারণ, পরিকল্পনাবিদেরা বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যালোচনা-নিরীক্ষা ও সুপারিশের পর ওই পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছিলেন। বিজয়স্তম্্‌ভ শুধু কোনো একটি স্থাপনামাত্র নয়। এটি হবে ঐতিহ্যবাহী। পৃথিবীর মানুষ যেমন প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, আমেরিকার স্ট্যাচু অব লিবার্টি, ভারতের তাজমহল, এমনকি বাংলাদেশে লুই ক্যানের পরিকল্পনায় নির্মিত জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশি স্থাপত্যবিদের পরিকল্পনায় জাতীয় স্মৃতি সৌধ ইত্যাদির ভূয়সী প্রশংসা করে এবং স্থাপত্যশিল্পের এসব নমুনার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, তেমনি বিজয় স্তম্্‌েভর দিকেও তারা মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখবে এবং একটি জাতির বীরত্ব গাথা অনন্তকাল স্মরণ করবে।
ওই সরকারের আমলে সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারেনি, তবে এসব প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে সে সরকারের সুদূরপ্রসারী গঠনমূলক প্রচেষ্টা, দেশপ্রেম ও দূরদৃষ্টি, সৃষ্টিশীল চিন্তা-চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, দৈশিক ঐতিহ্য, ইতিহাস ও বাঙালি মানসের উপযোগী মনন-দর্শনকে স্থাপত্যশিল্পের মাধ্যমে কালজয়ী, উজ্জ্বল ও স্থায়ী করার যেসব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছিল তা খুবই প্রগতিশীল ও সময়োপযোগী ছিল। একটি দেশের উন্নতি, স্থাপত্য শিল্পের মাধ্যমে সব আমলেই কম-বেশি হয়ে আসছে এবং নির্মাণ শিল্পের দেশজ চাহিদা মোতাবেক যতটুকু বাস্তবায়ন সম্্‌ভব সেটাই পরবর্তী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে অনুপ্রেরণাদায়ী হয়। এসব স্থাপত্যকর্মের মধ্য দিয়ে যেহেতু সেই সময়ের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্ড়্গৃতিক অবস্থা ও শাসকের সঙ্গে আপামর জনসাধারণের পরিচয় ফুটে ওঠে সেই জন্যে তা হয়ে ওঠে সময়ের গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক দলিল। যুগে যুগে এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে, স্থাপত্যের নির্দশন ইতিহাস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সভ্যতার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকে। কোনো দেশের উন্নতি, উন্নয়ন ও অগ্রসরতার অন্যতম সূচক-নির্দেশক বিভিন্ন স্থাপনাশিল্পের সার্বিক কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করে।
ঢাকার রমনা এলাকার শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পশালা ও নাট্যশালা, গুলিস্তানের নাট্যশালা, গোপালগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস গবেষণা ইন্সটিটিউট, শাহজাহানপুর উড়াল সেতু, শেরে বাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু পরিবর্তে ভাসানী নভোথিয়েটার, সরকারি ন্যাম আবাস ভবনসমূহ, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ভবন-স্থাপনা, রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, চট্টগ্রামের বিমান বন্দর ও কোরিয়ান ইপিজেড স্থাপনা-সূচনা ইত্যাদিসহ বহু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে জাতির অহংকারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকল্প আরম্্‌ভ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত, সমন্বয় ও সময়ের অভাবে সেগুলো বাস্তবায়িত হতে পারেনি এবং পরবর্তী সরকারের বৈরি মনোভাবের জন্যে সেসব প্রকল্পের আর অগ্রগতি হয়নি। উল্লেখ করা যায় যে, এক-এক সরকার এক-এক সময়ে এসে তার পূর্ববর্তী সরকারের নেয়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ইচ্ছে মাফিক বন্ধ করে দিতে দ্বিধা করে না। মনে রাখা দরকার, জনগণ ও দেশের সার্বিক কল্যাণার্থে প্রকল্প গৃহীত হয়। এ জন্য একটা নিয়ম করা দরকার, কোনো সরকার পরিবর্তিত হলে তার পূর্ববর্তী সরকারের নেয়া জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও দেশের কল্যাণার্থে বিবেচিত কোনো প্রকল্প যেন বন্ধ করতে না পারে। কেননা এটা কারো ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এসব রাজনৈতিক আক্রোশ এবং অবিবেচক রাজনীতিকদের জন্যে রাষ্ট্র ও জনগণ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে সেগুলো ঠিকই বাস্তব কারণে নির্মিত হয়। এতে বিশাল অংকের অর্থের অপচয় হয়। অপরাধী শাসকদের এসবের বিচার হয় না বলে রাষ্ট্রের এই ক্ষতি জনগণকে নিভৃতে মানতে হচ্ছে। জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যেগুলো শেখ হাসিনার সময়ে নেয়া হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে খালেদা সরকার সেগুলো বন্ধ করে দেয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শিল্পকলা একাডেমী, রমনা পার্ক, যেখানে ভাস্ড়্গর্য-উদ্যান ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে নির্মাণাধীন বিজয়স্তম্্‌ভ, ভূতলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সাংস্ড়্গৃতিক বলয় নির্মাণ প্রকল্পটি একই সঙ্গে আরো অনেক প্রকল্প যেমন রমনা পার্কের উল্টোদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট ইত্যাদি। খালেদা সরকার পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা, ভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি ঐতিহ্য ইত্যাদি যেখানে জড়িত সেগুলোকে ধ্বংস করা বা ভবিষ্যতে যাতে তা বাস্তবায়ন না হয় তার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সরকার ছিল বাংলাদেশের মূল আদর্শ, স্বাধীনতা, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা, বঙ্গবন্ধুর অবদান ইত্যাদির সম্পূর্ণ বিপরীতে। সে কারণে দেখা যায় যে, স্বাধীনতা স্তম্্‌ভ প্রকল্প খালেদা সরকারের আমলে শেষ হয়নি যদিও তার প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ আগের সরকার শেষ করেছিল। কিন্তু জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় তেমন কিছু প্রকল্প খালেদা সরকার আমলে সম্পন্ন করা হয়। জিয়ার আমলে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণার জায়গায় বিকৃত রাজনৈতিক রুচি চরিতার্থ করার জন্যে যেখানে শিশু পার্ক পরিকল্পিতভাবে স্থাপিত হয়। কারণ সব একই। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার ইতিহাসকে পাকিস্তানি কায়দায় সাম্প্রদায়িক করে তোলা। উল্লেখ্য, সেই সময়ে এই পার্ক স্থানান্তরিত করার কথা উঠেছিল, সঙ্গে ঢাকা ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত পার্কের সঙ্গে অবস্থিত ৯-গহ্বরের গলফ খেলার জায়গা। কিন্তু শেখ হাসিনা হাতে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা পরিবর্তন করেননি। জনস্বার্থ ও শিশুদের প্রয়োজনীয় দাবির কথা স্মরণ রেখে।
বর্তমানে সেই সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সেই স্বাধীনতা স্তম্্‌ভ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকল্প নিয়ে টালবাহানা চলছে। যে প্রকল্পের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য এটি। ২০০১ সালে জাতীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট এবং সরকারের পূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক উন্মুক্ত স্থাপত্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সকল বিচারকের সম্মতিতে নির্বাচিত হয়েছিল এখন তা শোনা যায় সেটি পরিবর্তনের চিন্তা হচ্ছে। কারণ, প্রকল্পটি নাকি খুব ব্যয়বহুল। বিশেষ করে প্রকল্পের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ ১৫০ ফুট উঁচু একটি বর্গাকার কাচের স্তম্্‌ভ। এটার জন্যে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এসেছিলেন এবং তারা বলেছিলেন, এ রকম স্তম্্‌ভ পৃথিবীর কোথাও হয়নি এখন পর্যন্ত। যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটা একটা অনন্যসাধারণ স্বাধীনতা স্তম্্‌ভ হবে এবং অবশ্যই নির্মাণ করা সম্্‌ভব। অবশ্য সেই সময়ে এটা নির্মাণ করতে যে অর্থ লাগতো, দেরি হওয়ার জন্যে এখন তার দ্বিগুণ লাগবে। অর্থাৎ পৌনে ২০০ কোটি টাকার মতো। এর জন্য খালেদার সময়ে আগের কমিটির সদস্যদের বাদ দিয়ে একটি নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটি হয়েছে এবং বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আর একটি হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, পরবর্তী সময়ের দুই কমিটির প্রায় সদস্য এই অনুপম কাচের স্তম্্‌ভটি নির্মাণে দ্বিমত পোষণ করছেন এমন শোনা গেছে। তাদের খোঁড়া যুক্তি- এক· স্তম্্‌ভটির নির্মাণ খুবই ব্যয়বহুল; দুই· দেশের কোনো নির্মাণকারী সংস্থা এটা নির্মাণে এগিয়ে আসছে না, কারণ তাদের অভিজ্ঞতা নেই; তিন· তার চেয়ে অনেক কম খরচে এটা নির্মাণ করা যাবে এবং উচ্চতা কমিয়ে মূল নকশা পরিবর্তন করে; চার· এই কাচের স্তম্্‌েভ জাতীয় ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কোনো পরিচয় নেই, এটা সম্পূর্ণ পশ্চিমী বিদেশি স্থাপত্য, নকশা, উপকরণ ও কৌশলের প্রতিফলন, যেখানে দেশ, মাটি ও মানুষ অনুপস্থিত, তাই ঐতিহ্যবাহী পোড়া ইট বা অন্য কোনো উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে; পাঁচ· স্বাধীনতাস্তম্্‌েভর উচ্চতম স্থানে একটি দর্শক গ্যালারি করা যেতে পারে, যেহেতু ঢাকা শহরে কোনো ওয়াচ টাওয়ার নেই এবং ছয়· স্বাধীনতাস্তম্্‌েভ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্ড়্গৃতির পরিচয় থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়।
এখন কথা হচ্ছে, যে প্রকল্প একটি স্থাপত্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে তা কোন্‌ বিবেচনায় পরিবর্তনের প্রয়োজন হলো? এটা নিয়ম-নীতি রক্ষার খাতিরেও করা যায় না। স্বাধীনতা রক্ষার কারণে বেশি অর্থ ব্যয় হবে, এই অযৌক্তিক কারণ গ্রহণযোগ্য নয়। এর চেয়ে অনেক উচ্চতার স্তম্্‌ভ নির্মাণ করা হয়েছে, যদি একটা স্তম্্‌ভ অনন্য সাধারণ বিবেচিত হয় পৃথিবী, তা যদি হয় স্বাধীনতা স্তম্্‌ভ, তাহলে জাতির তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতেই আমরা গর্ববোধ করবো। এখনকার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি আমাদের স্বাধীনতার স্তম্্‌ভটা নির্মিত হয়, তাহলে সবার জন্যে একটি অনুপ্রেরণা আর স্মরণীয় বস্তু হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার প্রস্তাব অনুযায়ী লেজার রশ্মি দিয়ে সন্ধ্যার এক নির্দিষ্ট সময়ে বিকীরণ প্রক্রিয়া ওই স্তম্্‌ভটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। দেশীয় ঐতিহ্যসমৃদ্ধ পোড়ামাটির কাজ দিয়ে বিজয় স্তম্্‌েভর মাটির নিচের অংশে বিশাল এক দেয়ালচিত্র নির্মিত হয়েছে যেখানে সংক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিহাস বিধৃত করা হয়েছে, যার নকশা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত ও দেশবরেণ্য শিল্পীদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে।
অতএব নতুন করে এর পুনরাবৃত্তির কোনো প্রয়োজন কি আছে? স্বাধীনতার স্মরণে বিজয় স্তম্্‌েভর উচ্চতা কেন কমানো হবে বরং আরো উঁচু করা যেতে পারে, আরো উঁচু করায় অসুবিধা থাকলে মূল উচ্চতা ঠিক রাখা প্রয়োজন। ওয়াচ টাওয়ার কেন করা হবে। বিজয় স্তম্্‌ভকে যারা ওয়াচ টাওয়ার বানাতে চান, তাদের গভীর সমুদ্রে কিংবা সীমান্ত এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ওয়াচ টাওয়ারের প্রয়োজনীয়তা নেই। শহরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-মিছিল দেখতে ওয়াচ টাওয়ারের দরকার নেই; হেলিকপ্টারে উড়েই তা দেখা হয়। স্বাধীনতার বিজয়স্তম্্‌ভ কোনো ওয়ান্ডার ল্যান্ডের বিনোদনের বিষয় নয়, স্বাধীনতার পবিত্রতা ও ভাব-গাম্্‌ভীর্য ক্ষুণ্ন করার মতো কোনো অযৌক্তিক চিন্তা পরিহার করতে হবে। দেশে যদি এই স্তম্্‌ভ কোনো নির্মাণকারী সংস্থা এককভাবে নির্মাণ করতে না পারে, তাহলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে তার বাস্তবায়ন সম্্‌ভব। শেখ হাসিনা সরকার তেমনভাবেই দেশি ও বিদেশি নির্মাণকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ব্যবস্থা নিয়েছিল এবং তাতে বেশ অগ্রগতি হয়েছিল।
মোদ্দা কথা, যেভাবে মূল নকশা আছে, সেভাবেই আমাদের গর্বের ধন স্বাধীনতা অর্জন তার স্মরণে বিজয় স্তম্্‌ভটির নির্মাণ আগের মতোই কোনো কিছু পরিবর্তন না করে বাস্তবায়িত করতে হবে- এটাই সাধারণ জনগণের প্রাণের দাবি, এর অন্যথা করা সামাজিক, সাংস্ড়্গৃতিক, সব দিক দিয়ে ঘোরতর অন্যায় ও অনৈতিক বলে বিবেচিত হবে।

রচনাকালঃ ২৮ মে, ২০০৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 9 10 11 12
May 7th, 2016

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ইউনোস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্তির দাবি

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ইউনোস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্তির দাবি মোনায়েম সরকার রাজা পূজিত হন স্বদেশে কিন্তু পণ্ডিত সম্মান পায় […]

May 6th, 2016

যুগে যুগে সমাজ বিবর্তনের ধারায় শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা

পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রীদের যখন সোনালি দিন ছিল, তখন মে দিবস উদযাপিত হতো অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে। মস্কোর রেড স্কোয়ারে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক আর […]

June 25th, 2015

বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভুøদয়

বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভুøদয় অধ্যাপক সালাহ্‌উদ্দীন আহ্‌মদ ভূগোল ও ইতিহাস বাংলাদেশকে একটি স্বতন্ত্রভূমি […]

June 25th, 2015

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার পঞ্চম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে পঞ্চম স্মারক বক্তৃতা ২০১০, ২৭ জানুয়ারি

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার পঞ্চম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে  পঞ্চম স্মারক বক্তৃতা ২০১০ ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর দিন বদলের অঙ্গীকারের […]

June 25th, 2015

Shah A M S Kibria 6th Memorial Lecture

Shah A M S Kibria 6th Memorial Lecture 25 January 2011 Bangladesh National Museum MICROCREDIT: A PANACEA OR A VILLAIN Introduction […]

June 24th, 2015

International Terrorism: Bangladesh Context

  Seminar Paper 8 December 2004 at CIRDAP auditorium International Terrorism: Bangladesh Context C M Shafi Sami   Introduction Historically […]

June 24th, 2015

কিবরিয়া স্মারক বক্তৃতা-২০০৯-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ড· মো· আনোয়ার হোসেন ১৯৭০-এর নির্বাচনের পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ […]

June 24th, 2015

স্মারক বক্তৃতা বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতাঃ বাঙালিশ্রেষ্ঠ বঙ্গবন্ধু দ্বারভাঙ্গা হল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

স্মারক বক্তৃতা বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতাঃ বাঙালিশ্রেষ্ঠ বঙ্গবন্ধু দ্বারভাঙ্গা হল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২ বাঙালিশ্রেষ্ঠ বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সমবেত সুধীমন্ডলী, […]

June 24th, 2015

বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২৫ আগস্ট ২০১২-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর

বাংলাদেশে সমাজ বিবর্তন ও রাজনীতির ধারা – মইনুল ইসলাম সুধীমণ্ডলী, বক্তৃতার শুরুতেই আমি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা […]

June 20th, 2015

১৯৯৭-১৯৯৮ সালে পি·এন· হাকসারের লেখা কয়েকটি চিঠি

১৯৯৭-১৯৯৮ সালে পি·এন· হাকসারের লেখা কয়েকটি চিঠি                           […]