List

শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি

মোনায়েম সরকার
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই ১৯৭৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। ওই সময় আমি, মতিয়া চৌধুরী, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, স্থপতি আলমগীর কবির, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সরদার দবীরউদ্দিন, ফখরুদ্দিন আহমদসহ ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করি। আওয়ামী লীগে যোগদানের পূর্বে আমি ছিলাম ন্যাপ (মোজাফফর) কর্মী। ন্যাপ কর্মী হিসেবেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি এবং সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের বুলেটে নিহত হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। বাংলাদেশবিরোধীরা তখন বাংলাদেশের শাসকরূপে আবির্ভূত হয়। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করতে সংঘবদ্ধ হয় পাকিস্তানি এজেন্টরা বাম দলগুলোও জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে খালকাটা কর্মসূচি ও ১৯-দফা ছাপতে শুরু করে দেয়। আমি তখন মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের ধারা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ন্যাপ আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে যাক, কিন্তু সেদিন কতিপয় স্বার্থান্বেষী নেতা ন্যাপ-আওয়ামী লীগ মিলনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক ওই পরিস্থিতিতেই আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করি। সুদীর্ঘ ২৫ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ২০০৪ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে অবসর নিই। প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও এখনও আমি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী মনে করি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজনীতির বাইরে জীবনে আর কোনো পেশা গ্রহণ করিনি বলে নিজেকে কখনোই রাজনীতির বাইরে চিন্তা করতে পারি না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতিচর্চা করেই জীবনাবসানের স্বপ্ন দেখি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেসকল মহান নেতা অসামান্য অবদান রেখেছেন আমার সৌভাগ্য হয়েছে তাদের অনেকেরই সান্নিধ্যে আসার। আমি সোহরাওয়ার্দীকে কাছ থেকে দেখেছি, ভাসানীকে দেখেছি, দেখেছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চারনেতাকে। নিজেকে ঋদ্ধ করেছি তাদের চিন্তা ও আদর্শ দ্বারা। ছোট্ট এই জীবনে ইন্দিরা গান্ধিসহ দেশ-বিদেশের এত এত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ¯েœহ-ভালোবাসা পেয়েছি যে, এ কথা স্মরণে এলে আমি নিজেই আবেগে আপ্লুত হই।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হন স্বৈরাচারের উত্থান লগ্নে। ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মূলধারার রাজনীতিতে তার আবির্ভাব বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। রাজাকারদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহরণসহ অসংখ্য বিতর্কিত কাজ করেন জিয়া। জিয়ার আমলে সবচেয়ে বড় কলঙ্কজনক ঘটনা হলো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কার প্রদান এবং বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। জিয়ার নির্মম মৃত্যুর পরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন স্বৈরাচার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনিও আওয়ামী লীগের উপর দমন-পীড়ন চালান জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতি যখন মৃত্যুর মুখে পতিত, দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা, সেই সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
এখানে একটি কথা বলে নেওয়া দরকার, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা যখন নির্বাচিত হন, তখন খুব সহজেই তিনি মনোনীত হয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে অনেকেই আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চেয়েছেন, আমার জানা মতে প্রায় ডজন খানেক নেতাকর্মী সভাপতি পদের প্রার্থী ছিলেন। আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করে ১৯৮০ সালে আমার মাকে নিয়ে দেখা করতে যাই ইন্দিরা গান্ধির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিএন হাকসারের সঙ্গে। ডিনার খেতে খেতে কথা প্রসঙ্গে জানতে তিনি জানতে চানÑ ‘আমরা কাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছি। আমি তখন বললাম, সভাপতি পদে অনেক প্রার্থী আছে। কাকে করবো বুঝতে পারছি না। তিনি তখন দুই-একজনের নামও আমাকে বলেছিলেন। আমি তখন শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বললামÑ ÔIf we elect shiekh Hasina will it be very childish?Õ তিনি উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে বললেনÑ ÔNo, no, you can use the emotion of Bangabandhu. Look at benojir and Nusrat.Õ পিএন হাকসারের এই কথা আমি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাককে বললে তিনিও বলেন, শেখ হাসিনাকে সভাপতি না বানালে সঙ্কটের সমাধান হবে না। পরের ইতিহাস সবারই জানা, শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত সংগ্রামের। রাজনীতিতে প্রবেশ করেই তিনি গৃহবন্দীর শিকার হন। রাজপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করেন, জেল খাটেন এবং বিরোধী দলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে অসংখ্যবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে জীবন ফিরে পান। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক নেতা তার মতো জীবনাবিনাশী ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হননি। শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের যে দুজন নেতার সঙ্গে তুলনা করা চলে, তারা হলেন, ভারতের ইন্দিরা গান্ধি এবং পাকিস্তানের বেনজির ভূট্টো। ভারত-পাকিস্তানের এই দুই প্রয়াত নেতা এখন জীবিত থাকলে কি হতেন জানি নাÑ তবে শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে যে অবস্থানে পৌঁছেছেন সত্যিই তা বিস্ময়কর ঘটনা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন ১৯৯৬ সালে। এর মধ্যে দুটি সামরিক সরকার, মৌলবাদী শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তুলনামূলকভাবে ভালো শাসন উপহার দিয়েও তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারেননি। সে সময় ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে বিএনপির নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। বাংলাদেশে আবার শুরু হয় সন্ত্রাস, মৌলবাদী শক্তির অবিশাস্য উত্থান হয়। শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। বিএনপি তাদের অপকর্মের চিরসাথী, বাংলাদেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতা স্থায়ী করার চক্রান্ত শুরু করে। তাদের সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয় আর্মি সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার ফলে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর পর অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে বিপুল ভোটে জয়ী হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
আবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করেই শেখ হাসিনা মনোযোগী হন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে। তার উন্নয়নমূলক কর্মকা- শুধু বাংলাদেশের মানুষই সমর্থন করছেন বিষয়টি এমন নয়, বিশ্বের দরবারেও বাংলাদেশ স্বীকৃতি পাচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। যে বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হতোÑ সেই বাংলাদেশ এখন দুর্নীতির দুষ্টচক্র ভেঙ্গে উন্নয়নের মহাসড়কে সবেগে ধাবমান। বিএনপির আমলে যে বাংলাদেশ জঙ্গি-মৌলবাদীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন জঙ্গি ও মৌলবাদী মুক্ত। বিএনপির আমলে যেসব ঘৃণ্য দেশদ্রোহী মন্ত্রী হয়ে ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তমূল্যে কেনা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে উপহাস করছিলÑ শেখ হাসিনার আমলেই তারা তাদের পূর্ববর্তী অপকর্মের জন্য আমরণ কারাদ- ও ফাঁসির দ-ে দ-িত হয়েছে।
১৯৮১ সালের শেখ হাসিনা আর ২০১৯ সালের শেখ হাসিনা কোনো ভাবেই এক শেখ হাসিনা নন। ১৯৮১ সালে যেই শেখ হাসিনাকে আমি আবেগাপ্লুত আর নমনীয় দেখেছি, ২০১৯ সালের সেই শেখ হাসিনা দেখছি অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ এবং পলিটিক্যাল ডাইন্যাস্টি কখনো কখনো ব্যক্তির উত্থানে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু শেখ হাসিনা ডাইন্যাস্টির জোরে নয়, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্ব দ্বারা এমনই চমক সৃষ্টি করেছেন যে গোটা পৃথিবীতেই এখন তার সঙ্গে তুলনা দেবার মতো নেতা কম আছেন।
কয়েকদিন আগে বরেণ্য-কলাম-লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর একটি লেখা পড়লাম। যে লেখাটির শিরোনামÑ ‘হাসিনার পর কে’ (যুগান্তর, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯)। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আমার চেয়ে বয়সে বড় হলেও তিনি আমাকে বন্ধুর মতোই ভালোবাসেন। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় (২০১৯) তিনি আমাকে একটি বইও উৎসর্গ করেছেন। গাফ্ফার ভাই’র প্রতি সম্মান রেখেই বলছিÑ শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি। শেখ হাসিনার সমমানের নেতা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই এখন বিরল। তাকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি যেভাবে ছক কষে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন, যেভাবে তিনি বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেনÑ তার কোনো তুলনা হয় না। কতিপয় স্বার্থান্বেষী কুলাঙ্গার, ওল্ড পলিটিক্যাল ক্লাউন ছাড়া সকলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্তুষ্ট।
একটি সমৃদ্ধিশালী, মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আরো বহুদিন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকা দরকার। এখনও বাংলাদেশকে বহু দূরে নিয়ে যেতে হবে। যেসব স্বপ্ন বুকে নিয়ে আমরা ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য লড়াই করেছিলাম, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলামÑ সেসব স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখনই শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবতে চাই না। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করা। একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে গিয়ে শোষণহীন, ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া বিশ্ব রাজনীতির দিকে তাকালেও আমরা দেখতে পাইÑ শেখ হাসিনার চেয়ে বর্ষীয়ান নেতারাও এখন বহু দেশে রাজনীতি করছেন এবং সম্মুখে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী পরিষদে সেদিনও তার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতার অভাব ছিল না। আমি মনে করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হলেই বাংলাদেশের গতি ব্যাহত হবে, তাই এই মুহূর্তে কিছুতেই শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবা ঠিক হবে না। তবে হ্যাঁ, ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যেতেই পারে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আওয়ামী লীগ যেভাবে নেতৃত্বশূন্য হয়ে গিয়েছিল, শত শত নেতাকর্মী থাকতেও আওয়ামী লীগ যে সঙ্কটে ছিলÑ সেরকম সঙ্কট যেন আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ জীবনে আর কখনো না আসে সে বিষয়ে এখনই আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের সচেতন থাকা দরকার।
বর্তমান বাংলাদেশে বিএনপি এখন আইসিইউতে থেকে প্রলাপ বকছে। এ মূহূর্তে বিএনপির যেভাবে রাজনীতি করছে এভাবে জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি করলে অচিরেই বিএনপি মুসলিম লীগের পরিণাম ভোগ করবে। বিএনপির দোসর জামায়াতে ইসলামী তাদের পূর্ব ভুলের জন্য যতই ক্ষমা চাওয়ার নাটক করুক না কেন, কিছুতেই বাংলার মাটিতে তারা ক্ষমা পাবে না। এমনকি এই চিহ্নিত দেশদ্রোহী পার্টির সদস্যরা যতই নতুন দল করুক না কেন, তাদের প্রতি সর্বাবস্থায় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং তাদের অবৈধ অর্থের উৎস বন্ধ করে চিরতরে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। আমি যতটুকু জানি জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সম্মানিত সদস্যগণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে খুব একটা আগ্রহী নন। কিন্তু দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক কিছু করে যেতে হয়। আমরা আশা করবো দূরদর্শী শেখ হাসিনা এমন কাউকে তার স্থানে স্থাপন করবেন যিনি অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নির্ভীকচিত্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
০১ মার্চ, ২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 10 11 12
June 17th, 2015

মোনায়েম সরকারঃ জীবন ও কর্ম

মোনায়েম সরকারঃ জীবন ও কর্ম মোনায়েম সরকার একজন স্থির, বিচক্ষণ, নিলোভ এবং সৎ রাজনীতিকের প্রতিভূ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতির সকল […]

June 17th, 2015

Humane World Order

Humane World Order Dismemberment of the erstwhile Soviet Union and fall of the socialist regimes in Eastern Europe came as […]

June 17th, 2015

Refound United Nations to Combat Global Crises

Refound United Nations to Combat Global Crises AT the end of World War I, US President Woodrow Wilson decided that […]

June 17th, 2015

মূল পরিকল্পনানুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয়স্তম্্‌েভর বাস্তবায়ন প্রয়োজন

মূল পরিকল্পনানুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয়স্তম্্‌েভর বাস্তবায়ন প্রয়োজন বিগত ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থাপনা […]

June 17th, 2015

চুয়ান্ন’র যুক্তফ্রন্টের মতো মহাজোট হলে বিজয় অবশ্যম্্‌ভাবী

চুয়ান্ন’র যুক্তফ্রন্টের মতো মহাজোট হলে বিজয় অবশ্যম্্‌ভাবী গত ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আমার […]

June 17th, 2015

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনের অসমাপ্ত আত্মজীবনী

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বাংলায় আমরা যাকে বলি আত্মজীবনী তার ইংরেজি প্রতিশব্দ Autobiography শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন William Taylor· […]

June 17th, 2015

ধর্মনিরপেক্ষতার শক্তিই উপমহাদেশে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে

ধর্মনিরপেক্ষতার শক্তিই উপমহাদেশে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবন্ধটি লিখতে বসে আমার বেগম রোকেয়ার ‘নূর-ইসলাম’ প্রবন্ধটির কথা মনে পড়ে […]

June 17th, 2015

যেভাবে আমরা জানাই প্রতিবাদ

যেভাবে আমরা জানাই প্রতিবাদ আমি ছিলাম বঙ্গবন্ধু গঠিত বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) অন্তর্ভুক্ত জাতীয় যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির ২১ নম্বর […]

June 17th, 2015

জেল থেকে লেখা কয়েকটি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও মানবিক প্রতিভার াঁক্ষর মেলে

জেল থেকে লেখা কয়েকটি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও মানবিক প্রতিভার াঁক্ষর মেলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান […]

June 16th, 2015

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের চিঠিপত্র [মোনায়েম সরকার যখন নির্বাসনে তাঁকে লেখা বিশিষ্ট ব্যক্তির চিঠিপত্র]

বিদেশে অবস্থানরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের চিঠিপত্র থেকে মোনায়েম সরকারের প্রবাস জীবনের কর্মকাণ্ডের একটি খণ্ড চিত্র পাওয়া যাবে। তার বেশিরভাগ চিঠিপত্র অ্যারোগ্রামে […]