List

জোট-ভোট ও আন্দোলনের আস্ফালন

মোনায়েম সরকার
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তি থাকুক আর না থাকুক সবগুলো দলই জোট গঠনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বড় দলগুলোর পাশাপাশি নাম সর্বস্ব দলও এবার জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন স্বপ্ন দেখছে। ব্যাপারটা হাস্যকর কিনা জানি না, তবে আমার কাছে জোটভুক্ত কোনো কোনো দলের কর্মকা- তামাশা বলেই মনে হচ্ছে।
রাজনীতি কোনো সহজ কাজ নয়। এমন কী ভীরুর জন্যও রাজনীতি নয়, কিন্তু বাংলাদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা মনে করেনÑ শক্তি থাকুক আর না থাকুক জোট করেই ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলবেন। যাদের এক শতাংশ ভোট নেই, যারা নির্বাচনে দাঁড়ালে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়, যারা প্রেস কনফারেন্স ছাড়া খোলা আকাশের নিচে জনসভা করার লোক সংকটে ভুগে, তাদের নির্বাচনকালীন জোট-তৎপরতা দেখে আমার অনেক প্রবীণ রাজনীতিক বন্ধুই হাসিতে ফেটে পড়ছেন। শূন্যের সঙ্গে শূন্য যোগ করলে যোগফল শুধু শূন্যই হয়, কখনো তা পূর্ণ সংখ্যায় রূপ নেয় না। যেসব দলের কোনো আসন পাওয়ার যোগ্যতা নেই, যেসব দলের কোনো ভোট ব্যাংক বা কর্মীই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তারা যদি নির্বাচনকালীন জোটের জন্য লম্ফ-ঝম্প করেনÑ তাহলে তাদের এসব কর্মকা- ‘সিজনাল উপদ্রব’ ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে।
জোট নিয়ে কিংবা রাজনীতির নতুন মেরুকরণ নিয়ে আমি আজ কথা বলতে চাই না, আমি কথা বলতে চাই আগামী দিনে বিএনপি-র আন্দোলন পরিকল্পনা নিয়ে। পত্র-পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি জানি কি হয়ে যাবে। বিশেষ করে বিএনপির এক-দফা আন্দোলন হিং¯্র রূপ নিবে এবং আইন-আদালত করে নয়, গণআন্দোলন করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় চেয়ারপারসনকে জেল থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসবে। আমার প্রশ্ন হলোÑ খালেদা জিয়ার জন্য কেন মানুষ রাস্তায় নামবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার মতো মানুষ কি আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ? খালেদা জিয়া এদেশের মানুষের জন্য এমন কি করেছেন যে তার জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে যাবে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে? বিএনপি এ পর্যন্ত বহু হুঙ্কার দিয়েছে, বহুভাবে সরকারকে হটাতে চেয়েছে, কিন্তু সরকার হটানো তো দূরের কথা নিজেরাই এখন হটতে হটতে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, সেখানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোই এখন তাদের জন্য বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত এককভাবে কোনো আন্দোলনের ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেনি। তারা বড় জোর ‘যুগপৎ’ আন্দোলন করতে পারে, অন্যের ঘাড়ে চড়ে আন্দোলনের সুফল ভোগ করতে পারে কিন্তু নিজেরা কখনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, ভবিষ্যতে পারবে বলেও কেউ তা বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই বিএনপির উপর থেকে বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছে, এখন তা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
যে দলের সাথে গণমানুষের কোনোই সম্পৃক্ততা নেই, জনগণের কল্যাণের জন্য যে দল মোটেই মনোযোগী নয়, বরং জঙ্গিবাদ, ষড়যন্ত্র আর হত্যার রাজনীতিই যাদের মূল উদ্দেশ্য, সে দলের পক্ষে গণআন্দোলন গড়ে তোলা আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কি হতে পারে? বিএনপির আন্দোলন মানেই তো আগুন, সন্ত্রাস, বিদেশি নাগরিক হত্যা, বিদেশি শক্তির যোগসাজশে ষড়যন্ত্র করে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বাংলাদেশকে মৌলবাদী ভাবধারায় নিয়ে যাওয়া। আন্দোলন-সংগ্রামের পথে নয়Ñ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জন্মের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে আছে। বিএনপি ক্যান্টনমেন্টের ছত্রছায়ায় জন্ম নেওয়া একটি দল। ক্যান্টনমেন্টের শক্তিই এই দলের ভরসা। ক্যান্টনমেন্টের বাইরে এলে আর শক্তি দেখাতে পারে না। ক্যান্টনমেন্টের যে বাড়িতে খালেদা জিয়া থাকতেন, এখন সেখানে ৪৫টি সেনা পরিবার থাকেন। এটা রাষ্ট্রের জন্য দারুণ এক সুখবর। এরা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে বহু বছর দেশের ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল। এর ফলে এরা বাঙালির মাইন্ডসেট পরিবর্তন করে পাকিস্তানি ভাবধারা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এই দলটি বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেনি। কখনোই এই দলটি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার উপায় খোঁজা ছাড়া উত্তরণের পথ দেখাতে পারেনিÑ এ কথা যখন ভাবি তখনই বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গোপন ব্যথায় ব্যথিত হই।
আজ বাংলাদেশকে নিয়ে বিএনপি যে ষড়যন্ত্রের খেলা শুরু করেছে তা এদেশের মানুষ স্পষ্ট বুঝে গেছে। আর এটা বুঝেছে বলেই বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি বহুবার, বহু লেখায় বলেছিÑ ‘বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দ-প্রাপ্ত অর্বাচীনপুত্র রাজনীতির ব্যাকরণ বুঝেন না’Ñ কথাটা যে মিথ্যা নয়, তা বিএনপির আবোল-তাবোল বিবৃতি বা আন্দোলনের পরিকল্পনা দেখেই বুঝা যায়।
বিএনপি ভেবেছিল বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে, নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মেরে, ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বোমাবাজি করিয়ে দেশের নির্বাচিত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারবে, কিন্তু তাদের এই অপ-কৌশল বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও কেন তারা আন্দোলনের স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। ২৯ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় দেখলাম সিঙ্গাপুরে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি ও পাকিস্তানি আইএসআই। ওই ষড়যন্ত্রে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে হত্যা করার নীল-নকশাও আছে। বিএনপি যদি আন্দোলন করেই সরকার পতন করার শক্তি রাখেÑ তাহলে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে কেন, কেন তারা হত্যার রাজনীতির পথ পরিহার করতে পারছে না।
চক্রান্তের রাজনীতিতে বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পটু। কেননা এই দলটির জন্মই হয়েছে চক্রান্তের ভেতর দিয়ে। বিএনপির যখন জন্ম হয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে, তখন বেগম জিয়াও সেই বিষয়ে কমবেশি অবগত ছিলেন। কারণ তখন তিনি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন। জিয়া কিভাবে ষড়যন্ত্র করতেন সেই শিক্ষা খালেদা জিয়া-জিয়াউর রহমানের কাছ থেকেই রপ্ত করেছেন। সুতরাং খালেদা জিয়া দেশের উন্নতি করতে না পারলেও, দেশের মানুষকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন দিতে ব্যর্থ হলেও দেশকে রসাতলে নিতে তার অসুবিধা হবে না। আজ বাংলাদেশের মানুষ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলেই বেগম জিয়া সুবিধা করতে পারছেন না। এ জন্য এ দেশের মানুষের উপর তার ক্ষোভ থাকা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আগামী আন্দোলন তথা হত্যা, খুন, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগে।
১৯৭১ সাল থেকেই আমরা বাংলাদেশের ভেতরের ও বাইরের শত্রুদের বিভৎস চেহারা দেখে আসছি। বঙ্গবন্ধুর দ-িত হত্যাকারী মেজর ডালিম, রশিদরা বিদেশে ইঁদুরের মতো পালিয়ে এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। ফাঁসির দ-াদেশ মাথায় নিয়ে চক্রান্ত করছে ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীরা। বারবার বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে, বারবারই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর চোখে শুধু উন্নয়নের মডেলই নয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদাকেও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা বিশ্ববাসীর কাছ থেকে সব সময় এমন মর্যাদাই প্রত্যাশা করি। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির ঊর্ধ্বমুখী সূচক ধরে, দেশের এই অগ্রগতিকে বাধা না দিয়ে সংহতি প্রকাশ করাই সকলের কর্তব্য হওয়া উচিত। যদি বিএনপি এই কাজটি করতে ভুল করে তাহলে তাদের বোকামির ফল হবে আরো ভয়ঙ্কর।
আসলে বিএনপি আন্দোলন করতে চায় না বাংলাদেশের উন্নয়নকে বিঘিœত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে চিরতরে বন্ধ করতে চায়। আন্দোলন করে ক্ষমতায় গেলে আবার সেই পুরনো পথেই দেশ চালাবে বিএনপি। জন্ম দিবে নতুন নতুন হাওয়া ভবন, বাংলা ভাই ও মৌলবাদ।
বিএনপির শাসনামলে আমরা একযোগে বাংলাদেশের সকল জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এই বোমাবাজির চূড়ান্ত নৃশংসতা ছিল ২১ আগস্টের হামলা। বিএনপি মন্ত্রী-এমপিদের যোগসাজশে দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার দৃশ্য দেখেছি, দেশের সর্বত্র অবলোকন করেছি জঙ্গিদের অপতৎপরতা। আজ বাংলাদেশে ওসব কিছু নেই। মানুষ যেখানে সেখানে নির্ভয়ে চলাচল করছেÑ এটা কি বিএনপির গাত্রদাহের কারণ? বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের বিচার করে যথাযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। সেই শাস্তি ভোগ করছে জামায়াত ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিএনপি ও বিএনপির জোটভুক্ত দলগুলো জানে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে তারা কোনো জঙ্গি তৎপরতা চালাতে পারবে না, দুঃশাসন করতে পারবে না, তাই এমন কোনো কৌশল নেই তারা প্রয়োগ না করছেন সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। কিন্তু কথায় বলেÑ ‘রাখে আল্লায় মারে কে’।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের কর্ম দিয়ে, প্রচেষ্টা দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হতে বদ্ধপরিকর। এখানে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এখন আর ফায়দা লোটা যাবে না। জনগণের সমর্থন পেতে হলে এখন জনগণের ‘সেন্টিমেন্ট’কে মূল্য দিতে হবে। যারা জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান প্রদর্শন করবে না, জনগণের সুখ-শান্তিতে বিঘœ ঘটাবে জনগণ কখনোই তাদের সমর্থন জানাবে না। আজ যারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছেন এবং যারা ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করছেন, তাদের মনে রাখা দরকার, দেশের চরিত্র হনন করলে প্রকারান্তরে দেশের মানুষকেই অমর্যাদা করা হয়, ছোট করা হয়। দেশের বাইরে গিয়ে যারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে কিংবা দেশে থেকেও যারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, মানুষ তাদের শনাক্ত করে উচিত জবাব দিবে। জনতার সম্মিলিত শক্তি দিনদিন বেগবান হচ্ছে। আজ আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করলে সঙ্গত কারণেই সরকার জনগণের জানমালের নিশ্চয়তা দিতে হার্ডলাইনে যাবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে তাকে হার্ডলাইনে যেতেই হবে। বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারবে, জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করবে এটা সরকার চেয়ে চেয়ে দেখবেÑ এমনটি কখনোই হবে না। আকাশ-কুসুম কল্পনা বাদ দিয়েÑ মানুষের মূল্যবোধকে সম্মান করতে শিখুন। পরের জন্য পুকুর কেটে লাভ নেই, পারলে গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করুন। স্মরণ করুন পঁচাত্তর পরবর্তী নির্বাচনগুলোর কথা। সেই সব নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হয়নি। শুধু ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোটের কথাই নয়, হঠাৎ গজিয়ে উঠা পার্টিও ২০০ বেশির আসন পেয়েছে বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। বিএনপিকে অনুরোধ করবো, অযৌক্তিক আন্দোলন নয়, সাংবিধানিক আইন মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখুন।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
৩১ আগস্ট, ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 2 3 12
May 19th, 2019

শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু : জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকের প্রাসঙ্গিকতা

শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু : জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকের প্রাসঙ্গিকতা মোনায়েম সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ […]

April 30th, 2019

পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক

পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক মোনায়েম সরকার পুঁজিবাদ ও সাম্ররাজ্যবাদ রাজনৈতিক দর্শনের দুটো বিপদজনক শব্দ। এই শব্দ দুটিই পৃথিবীতে অনাসৃষ্টির মূল […]

April 12th, 2019

১৭ এপ্রিল : সাহসী শপথের দিন

১৭ এপ্রিল : সাহসী শপথের দিন মোনায়েম সরকার আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ১৯৭১ […]

March 24th, 2019

ক্ষমতা নয়, কর্মই মানুষকে মহিয়ান করে

ক্ষমতা নয়, কর্মই মানুষকে মহিয়ান করে মোনায়েম সরকার আধুনিক মানব সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন সভ্যতাও এগোতে […]

March 12th, 2019

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষমা ও ঔদার্য

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষমা ও ঔদার্য মোনায়েম সরকার যুগ যুগ বাংলাদেশ পরাধীন ছিল। এই পরাধীন বাংলাকে যে মানুষ তার […]

March 2nd, 2019

শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি

শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি মোনায়েম সরকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই ১৯৭৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। ওই […]

February 22nd, 2019

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনা ও দুর্ঘটনা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনা ও দুর্ঘটনা মোনায়েম সরকার বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিদিনই ঘটছে নাটকীয় ঘটনা, এসব ঘটনা এখন এতই দ্রুত ঘটছে যে, […]

February 12th, 2019

রাজনীতি দুর্নীতিমুক্ত হোক

রাজনীতি দুর্নীতিমুক্ত হোক মোনায়েম সরকার সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছেÑ ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ Ñ আমার মনে হয় […]

January 13th, 2019

বাংলা কবে জাতিসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে

বাংলা কবে জাতিসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে মোনায়েম সরকার বাংলা ভাষা বাঙালির রক্তমূল্যে কেনা মাতৃভাষা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই ভাষাকে […]

January 9th, 2019

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বর্ণাক্ষরে লেখা ঐতিহাসিক দিন

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বর্ণাক্ষরে লেখা ঐতিহাসিক দিন মোনায়েম সরকার লন্ডনের হোটেল ‘ক্ল্যারিজস’। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে […]