List

১৭ এপ্রিল : সাহসী শপথের দিন

মোনায়েম সরকার
আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ পরাধীন ছিল। তার নিজস্ব মানচিত্র ছিল না, পতাকা ছিল না, ছিল না শাসনতন্ত্র তথা সংবিধান। এগুলো সবই এখন বাংলাদেশের আছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি সুশিক্ষিত সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে বাংলার আপামর জনতা যে দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেÑ সেই প্রতিরোধই পরে বিজয় রূপে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি বিশ্বাবাসীকে অবাক করে দিয়েছে। শুধু নাগরিক ঐক্যের শক্তিতে একটি ছোট্ট ভূখ-ের মানুষ স্বাধীন হতে পারে এই অপরূপ দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে সম্ভবত বাঙালিরা স্থাপন করেছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর তৎকালীন পূর্ব বাংলায় প্রতিদিনই ঘটতে থাকে অভাবিত ঘটনা। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের পরে উন্মত্ত হয়ে ওঠে বাঙালি জাতিকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য। ‘একটি বুলেট একটি বাঙালি’Ñ এমনটাই ছিল পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর মনোভাব। অপ্রত্যাশিত সেই দম আটকানো পরিবেশে বাঙালি মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকে। মুক্তির লক্ষ্যে তারাও সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে। দেশে চলছে মুক্তিযুদ্ধ। কিভাবে ওই মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে তা ছিল অনেকটাই অনিশ্চিত পথ যাত্রা। যেই বঙ্গবন্ধুর ডাকে সর্বস্তরের বাঙালি রাজপথে নেমে লড়াই করবে সেই বঙ্গবন্ধু তখন বাঙালির মাঝে নেই। দিশেহারা বাঙালির সামনে তখন আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহচর। তারা বুদ্ধির বলে দিশেহারা বাঙালি জাতিকে একসূত্রে গাঁথার লক্ষ্যে মুজিব নগর সরকার গঠন করেন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল। এই সরকার গঠন প্রক্রিয়ার ভেতরে অনেক দূরদর্শী মানুষের শ্রম জড়িত ছিল। দেশ-বিদেশের অনেক শুভাকাক্সক্ষী এসে দাঁড়িয়েছিল মুজিবনগর সরকারের পাশে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে একটি সুশৃঙ্খল রূপ দিতে এবং বাঙালির বিজয় নিশ্চিত করতে মুজিবনগর সরকারের অবদান অনস্বীকার্য।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে বাঙালিদের মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হয়। ১৭ এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে। এই শপথ শুধু একটি অস্থায়ী সরকারের শপথ অনুষ্ঠান ছিল নাÑ এই অগ্নিশপথের মধ্যে নিহিত ছিল পরাধীন পূর্ব বাংলাকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও স্বাধীন করার প্রেরণা। বলতে দ্বিধা নেই মুজিবনগর সরকার গঠিত এ তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফলে দেশে-বিদেশে বাঙালিদের পক্ষে জনমত সুদৃঢ় হয়। তখন বাংলাদেশবিরোধী চক্র ছাড়া পৃথিবীর সকল শান্তি ও স্বাধীনতাকামী মানুষই বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। মুজিবনগরের সরকারের যারা সম্মানিত সদস্য ছিলেন তাদের মধ্যে দুই-একজন বাদে সকলেই বাংলাদেশের অস্তিত্বে আস্থাবান ছিলেন। তারা একটি স্বাধীন স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার জন্য শেষ পর্যন্ত বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে গেছেন। তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের যারা প্রাণ ভোমরা ছিলেনÑ দুই-একজন বাদে তারা প্রত্যেকেই দেশপ্রেমিক ছিলেন। ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের বিশ্বস্ত সহচর। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যাকা-ের পর এরাও অনেকে অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে নির্মমভাবে নিহত হন।
মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গঠিত হলেও এদের কর্মকা- পরিচালিত হয় ভারতের মাটি থেকে। কলকাতা ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের বাড়িতে এই সরকারের অফিস স্থাপন করা হয়। সেখান থেকেই পরিচালিত হয় মুজিবনগর সরকারের চোখ ধাঁধানো কর্মকা-। মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা উপহার দেওয়া। সেদিন এই সরকারের সদস্যগণ যেভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করেছে আজকের দিনে তা ভাবতে গেলে অবাক না হয়ে পারা যায় না।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমিও লড়াই করেছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি মুজিবনগর সরকারের কর্মকা-। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ঘটনাই মুজিবনগর সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করাসহ এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করেনি। এমনকি যুদ্ধ-আক্রান্ত বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার কৌশলও নির্ধারণ করে মুজিবনগর সরকার। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য মুজিবনগর সরকারের অনন্য অবদান আজ আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি। কেউ কেউ সেই ইতিহাস ভোলাবার ষড়যন্ত্রও করেছে। এখনও সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে বলেই মনে করি।
একটি অসম যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও কিভাবে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে তার একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। মুক্তিযুদ্ধ যখন চলছে আমি তখন ন্যাপকর্মী (ন্যাপ মোজাফফর)। সেসময় কলকাতায় ন্যাপ অফিসের যাত্রা শুরু হলে আমি তখন পার্টি কর্তৃক অফিস সম্পাদক হিসেবে ন্যাপ অফিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। আমাদের অফিসে তখন অনেক মানুষই আসতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য তখন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। তেমনি একটি বিষয় ছিল প্রকাশনা। একদিন আমি গ্রেনেড হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার একটি দৃশ্য সম্বলিত ‘মুক্তিযুদ্ধের জয়ের কৌশল’ নামে একটি বইয়ের কভার এঁকে দেয়ার অনুরোধ জানাই পটুয়া কামরুল হাসানকে। সেদিন কামরুল হাসানের সঙ্গে শওকত ওসমানও ছিলেন। তিনি আমার এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বরং উত্তেজিত হয়ে আমাকে বলেনÑ ‘ইডিয়েট, কামরুলের কী গ্রেনেড আঁকার জন্য জন্ম হয়েছে? যে কোনো আর্মির বইয়ে গ্রেনেডের ছবি পাবে তাই দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে নাও।’ এই বলে তিনি হনহন করে চলে যান। পরের দিনÑ ‘ওরা মানুষ হত্যা করছে, আসুন আমরা পশু হত্যা করি (ANNIHILATE, THESE DEMONS)Ñ সম্বলিত ক্যাপশন সহযোগে ইয়াহিয়ার দানবাকৃতি মুখের রক্তাক্ত ছবি সহযোগে একটি পোস্টার ডিজাইন করে নিয়ে আসেন। এই পোস্টার দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়ে উঠি এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ভাইয়ের কাছে যেতে বলি। তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদও পোস্টারটি দেখে অত্যন্ত খুশি হন এবং পটুয়া কামরুল হাসানকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেন। এই পোস্টারটি পরবর্তী সময়ে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং সারাবিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
কথাটি এই কারণে বললাম যে, একটি সরকার যখন প্রবাসের মাটিতে বসে স্বদেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছে তখন একটি সামান্য পোস্টার নিয়েও যে সেই সরকার কতটা আবেগী ছিল সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। মুজিবনগর সরকার বাঙালির বিজয় ত্বরান্বিত করতে এমন কোনো পদক্ষেপ নেই যা তারা গ্রহণ করেনি। এ প্রসঙ্গে আট সদস্য বিশিষ্ট ক্যাবিনেট কলসালটিং কমিটির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই কমিটিতে ছিলেনÑ তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমরেড মনি সিং, মনোরঞ্জন ধর প্রমুখ। এই ক্যাবিনেট কলসালটিং কমিটির দূরদর্শিতার কারণেই রাশিয়া জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেয় এবং আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের বিরুদ্ধে রাশিয়া ২০তম নৌবহর পাঠানোর ঘোষণা দিলে সপ্তম নৌবহর ফেরত যেতে বাধ্য হয়। বহির্বিশ্বে বাঙালিদের পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল। এদের বিরোধিতা সত্ত্বেও মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। স্বল্পশক্তি দিয়ে একটি বৃহৎ শক্তিকে পরাজিত করার ইতিহাস মুজিবনগর সরকারের হাতেই রচিত হয়েছিল। এ জন্য মুজিবনগর সরকারকে চিরদিন আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
আজকের বাংলাদেশ মূলত ত্রিশ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত। কিন্তু এই অর্জনের পেছনে ছিল মুজিবনগর সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। মুজিবনগর সরকার সেদিন সব রকমের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে যেভাবে বাংলার মাটিকে শত্রু মুক্ত করে এবং স্বাধীনতা এনে দেয় তা এক বিস্ময়কর মহা-উপাখ্যানই বটে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে আজকের নতুন বাংলাদেশ। এই নতুন বাংলাদেশ এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে খেতাব পেলেও এখন এদেশ বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ১৯৭১ সালের মতো সব বাঙালিকেই আজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহণ করা দরকার। দল-মত-নির্বিশেষে সবশ্রেণি পেশার মানুষ এদেশকে গড়ে না তুললে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। দেশের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধে নিহত এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের ত্যাগকে মহিমান্বিত করতে আজ আমাদের সব বিভেদ ভুলে গিয়ে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের মতো আবার শপথ নিতে হবেÑ এদেশ আমাদের অহঙ্কার। আমাদের দেশ আমরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং মুজিব আদর্শে গড়ে তুলবো। জয় বাংলা।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
১২ মার্চ, ২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 2 3 12
May 19th, 2019

শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু : জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকের প্রাসঙ্গিকতা

শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু : জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকের প্রাসঙ্গিকতা মোনায়েম সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ […]

April 30th, 2019

পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক

পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক মোনায়েম সরকার পুঁজিবাদ ও সাম্ররাজ্যবাদ রাজনৈতিক দর্শনের দুটো বিপদজনক শব্দ। এই শব্দ দুটিই পৃথিবীতে অনাসৃষ্টির মূল […]

April 12th, 2019

১৭ এপ্রিল : সাহসী শপথের দিন

১৭ এপ্রিল : সাহসী শপথের দিন মোনায়েম সরকার আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ১৯৭১ […]

March 24th, 2019

ক্ষমতা নয়, কর্মই মানুষকে মহিয়ান করে

ক্ষমতা নয়, কর্মই মানুষকে মহিয়ান করে মোনায়েম সরকার আধুনিক মানব সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন সভ্যতাও এগোতে […]

March 12th, 2019

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষমা ও ঔদার্য

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষমা ও ঔদার্য মোনায়েম সরকার যুগ যুগ বাংলাদেশ পরাধীন ছিল। এই পরাধীন বাংলাকে যে মানুষ তার […]

March 2nd, 2019

শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি

শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবার সময় এখনও আসেনি মোনায়েম সরকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই ১৯৭৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। ওই […]

February 22nd, 2019

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনা ও দুর্ঘটনা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনা ও দুর্ঘটনা মোনায়েম সরকার বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিদিনই ঘটছে নাটকীয় ঘটনা, এসব ঘটনা এখন এতই দ্রুত ঘটছে যে, […]

February 12th, 2019

রাজনীতি দুর্নীতিমুক্ত হোক

রাজনীতি দুর্নীতিমুক্ত হোক মোনায়েম সরকার সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছেÑ ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ Ñ আমার মনে হয় […]

January 13th, 2019

বাংলা কবে জাতিসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে

বাংলা কবে জাতিসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে মোনায়েম সরকার বাংলা ভাষা বাঙালির রক্তমূল্যে কেনা মাতৃভাষা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই ভাষাকে […]

January 9th, 2019

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বর্ণাক্ষরে লেখা ঐতিহাসিক দিন

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ : স্বর্ণাক্ষরে লেখা ঐতিহাসিক দিন মোনায়েম সরকার লন্ডনের হোটেল ‘ক্ল্যারিজস’। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে […]