List

যখন প্রশ্ন আসে যুদ্ধ না শান্তি? আমরা জবাব দেই শান্তি শান্তি শান্তি!

মোনায়েম সরকার

বর্তমান পৃথিবী হিংসা আর স্বার্থপরতায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই দেশে-দেশে ও মানুষে-মানুষে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত লেগেই আছে। মানুষের জন্য যা ক্ষতিকর সে সব করা মানুষের উচিত নয়, তবু মানুষ মোহে অন্ধ হয়ে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে এমন কিছু আবেগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে যা সভ্যতার জন্য কলঙ্ক তিলক হয়ে থাকে। যুদ্ধ পৃথিবীতে কেউ চায় না, তবু আজ পৃথিবীব্যাপী যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। এই ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে আজ মানুষ মুক্তি চায়, চায় সার্বিক শান্তি। কিন্তু শান্তির পথে না হেঁটে মানুষ যদি অস্ত্রের পথে হাঁটে ও অস্ত্রের ভাষায় কথা বলেÑ তাহলে রক্ত¯্রােত বন্ধ হবে না, বন্ধ হবে না ঘরে ঘরে নর-নারী ও শিশুদের ক্রন্দন।

ভারতীয় উপমহাদেশে কিছুদিন যাবৎ যুদ্ধের দামামা বেজে চলেছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান যেভাবে অমীমাংসিত জম্বু ও কাশ্মীর ইস্যুতে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক নাটকীয়তা মঞ্চস্থ হবে উপমহাদেশবাসীর সামনে। ইতোমধ্যে দুই দেশের সীমান্ত থেকে সীমান্তবর্তী হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনও প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় দিগি¦দিক ছুটে বেড়াচ্ছে প্রাণভয়ে ভীতু সাধারণ মানুষ।

বিশ্ববাসীর সামনে দুই-দুটি মহাযুদ্ধ ও আরো অসংখ্য ছোট-বড় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই সুখকর নয়। ইতিহাস থেকে মানুষ অনেক বিষয়ে শিক্ষা নিলেও যুদ্ধ বিমুখতার শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যুদ্ধে সামরিক বাহিনীর লোকজনের চেয়ে বেসরমারিক লোকজনই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৭০-এর দশকে বিভিন্ন যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষই বেসামরিক জনগণ। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ লগ্নে জাপানের উপর যে নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছিল পারমাণবিক বোমা ফেলে পৃথিবীর মানুষ তা ভুলে যায়নি। মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বি-২৯ বিমান হিরোশিমার উপর যে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল তার ফলে সঙ্গে সঙ্গে ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আর ৭০ হাজার মানুষ। হিরোশিমা হামলার তিনদিন পরে নাগাসাকিতে দ্বিতীয় যে পারমাণবিক বোমা ফাটানো হয় সেই বোমাতেও তৎক্ষণাৎ ৪০ হাজার লোক প্রাণ হারায়। আহত হয় আরও প্রায় ৪০ হাজার। আর পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তায় গত অর্ধশতাব্দী ধরে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ, কেউ কেউ পঙ্গু জীবন, বিকলাঙ্গ জীবন নিয়ে বেঁচে আছে কোনোরকম।

যুদ্ধে জাপানি জাতির হিং¯্রতাও পৃথিবীবাসী কমবেশি প্রত্যক্ষ করেছে। বিশেষ করে চীন-জাপান যুদ্ধে জাপানি বাহিনীর বর্বরতার ঘটনা সারাবিশ্বে অমানবিক দলিল হয়ে আছে। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই জাপান মার্কোপোলোব্রিজের নাটক সাজিয়ে চীনের সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিলে সেই যুদ্ধের রেশ ধরেই আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্র। চীনের রাজধানী নানকিং-এ ৫০ হাজার জাপানি সৈন্য প্রবেশ করে ছয়-সাত সপ্তাহ ধরে চালায় ধ্বংসযজ্ঞ। সেই সময় এই শহরে প্রায় ছয় লাখ লোক বাস করতো। তাদের অর্ধেককেই জাপানিরা হত্যা করে। হত্যা করার জন্য তারা যেসব পন্থা অবলম্বন করে সেগুলোর মধ্যে ছিলÑ গুলি করা, পেট কাটা, হৃৎপি- বের করে ফেলা, মু-চ্ছেদ করা, আগুনে পুড়িয়ে মারা, জান্ত মানুষকে মাটিতে পুতে মারা, মুগুর দিয়ে পিটিয়ে মারা ইত্যাদি। বলা হয়ে থাকেÑ জ্যান্ত মানুষকে জাপানি সৈন্যরা গুলি করার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহার করতো। এ ছাড়া জিভের সঙ্গে বড়শি বিঁধিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করা ও কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে কুকুর দিয়ে কামড়িয়েও মানুষ হত্যা করে। নানকিং যুদ্ধে জাপানিরা কে কতজনকে হত্যা করতে পারল এ নিয়ে সৈন্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও দেখা গিয়েছিল। ধর্ষণ ছিল সেই যুদ্ধের খুবই সাধারণ ঘটনা। মেয়েদের দেয়ালের সঙ্গে পেরেক দিয়ে গেঁথে ধর্ষণ করানো হতো।

মার্কিন বাহিনীর ভিয়েতনাম আগ্রাসনও বিশ্বের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ছিল দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধগুলোর অন্যতম। এই যুদ্ধে তারা ৪০ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। ৫৮ হাজার মার্কিন সেনা নির্মমভাবে নিহত হয়।  এছাড়া আহত ও পঙ্গু হয় আরও তিন লাখ মার্কিন সেনা। ইতিহাস বলে, একটি বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকা এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। এমন একটি বানোয়াট অভিযোগে ২০০৩ সালে ইরাকেও তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, আমেরিকা তখন বলেছিল, ইরাকে গণবিধ্বসী অস্ত্র আছে, পরে দেখা যায়Ñ সবই মিথ্যা।

১২ আগস্ট ১৯৯০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইরাক এবং কুয়েতের মধ্যে যে যুদ্ধ বাঁধে তাকে উপসাগরীয় যুদ্ধ বলেই মানুষ জানে। অফিসিয়ালি এই যুদ্ধ সমাপ্ত হয় ৩০ নভেম্বর, ১৯৯৫ সালে। এই যুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ লোক মারা যায়, আহত হয় আরো লক্ষাধিক মানুষ। যুদ্ধ শেষে ইরাক ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়। শুরুতেই বলেছিলাম উপমহাদেশের কথা। ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং সে সব যুদ্ধের ভয়াবহতাও সামান্য নয়। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছাড়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলÑ ১৯৪৭-৪৮, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯Ñ এই তিনটি যুদ্ধই লেগেছিল কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। কাশ্মীরের মূল ভূখ-ের প্রায় অর্ধেক ভারত নিয়ন্ত্রিত, এক তৃতীয়াংশের বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের আর বাকি অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন। একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কাশ্মীরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য যুগ যুগ ধরে লড়াই করে যাচ্ছে। কাশ্মীর সমস্যা, ভারত-পাকিস্তানের জন্য কর্কটরোগে রূপ নিয়েছে। বর্তমান কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিবদমান দেশ দুটি ছাড়াও অন্যান্য দেশও চিন্তার মধ্যে পড়েছে। অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশ উন্নয়নশীল দক্ষিণ এশিয়ার দিকে রয়েছে বিশ্বসন্ত্রাসী আমেরিকার লোলুপ দৃষ্টি। যদি কোনো অজুহাতে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাধানো যায়, তাহলে তার ফায়দা আমেরিকাই লুটবে। তাই কাশ্মীর সমস্যার রক্তপাতহীন সমাধান প্রয়োজনÑ যুদ্ধ মোটেই কাম্য নয়। এমনকি এই যুদ্ধ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যেমনটি ঘটেছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমান বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে আমেরিকা শীর্ষস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া, চীন তৃতীয় ও ভারতের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। ইরান ও পাকিস্তান আছে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে। যদি ভারতের সঙ্গে সত্যি সত্যিই এবার পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে তাহলে সেই যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ হবে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। ভারতের সামরিক বাহিনীতে আছে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার জন নিয়মিত সেনা, ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার জন সংরক্ষিত সেনা এবং ১২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩ শত জন আধা সামরিক সেনা। ভারতের সামরিক ভা-ারে আছে  ৫ হাজার ৯৭৮টি সাঁজোয়া ট্যাংক, ২টি বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ। ৬টি উভচর যুদ্ধ জাহাজ, ১৫টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধ জাহাজ, ২৮টি ফ্রিগেট, ১৮টি সাবমেরিন, ৯০১টি যুদ্ধ বিমান, ৯০ থেকে ১০০টি পরমাণু অস্ত্র।

অপরদিকে পাকিস্তানের আছে ৬ লক্ষ ১৭ হাজার জন নিয়মিত সেনা, রিজার্ভ আর্মি ৫ লক্ষ ১৩ হাজার জন, আধা সামরিক বাহিনীতে আছে ৩ লক্ষ ৪ হাজার জন সদস্য। পাকিস্তানের রয়েছে ৪ হাজারটি সাঁজোয়া ট্যাংক, ৪টি ডেস্টয়ার যুদ্ধ জাহাজ, ১৪টি ফ্রিগেট, ৮টি সাবমেরিন, ২৫০টি জঙ্গি বিমান, ১১০টি পরমাণু অস্ত্র। এসব বিপুল শক্তি নিয়ে যদি দুটি দেশ মুখোমুখি হয়, কি পরিমাণ রক্তপাত ও প্রাণহানি ঘটবে এটা অনুমান করে এখনই বিশ্বনেতাদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। বিশ্ববাসী অনেক যুদ্ধ দেখেছে, আর যুদ্ধ দেখতে চায় না। যুদ্ধের বাণী প্রচার না করে এখন মানুষকে শান্তির পথে হাঁটা দরকার। পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করুক, বেঁচে থাকুক শিশু-বৃদ্ধ-নারী। মানব সভ্যতা ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নয়, একে সুন্দর করেই বেঁচে থাক মানুষ।

মানুষকে যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সাহসী ভূমিকা নিতে হবে জাতিসংঘকে। জাতিসংঘে প্রস্তাব করা হোকÑ কোনো দেশ আর গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র উৎপাদন করতে পারবে না। যে সব দেশের হাতে মারণাস্ত্র আছে সে সব দেশকেও বাধ্য করতে হবে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যেসব সাধারণ অস্ত্র দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা ব্যবহার করেন, সেগুলোকে নিরাপত্তার স্বার্থে রক্ষা করে বাকি সব অস্ত্র সকল দেশের সম্মতিক্রমে ধ্বংস করার সময় এসেছে আজ। পৃথিবী এখন অস্ত্র ব্যবসা ও মাদক ব্যবসাই সবচেয়ে জমজমাট আর লাভজনক। নগদ মুনাফার লোভে ক্ষমতাসীন দেশগুলো আজ নির্বিচারে মারণাস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উৎপাদন করছে এবং এগুলো বিক্রির জন্য দেশে দেশে সৃষ্টি করছে ইচ্ছাকৃত সংকট। বাঁধিয়ে দিচ্ছে যুদ্ধের মতো জীবনবিপন্ন পরিস্থিতি। মানুষের সদিচ্ছা আর জাতিসংঘের সাহসী ভূমিকাই পৃথিবীকে এখন যুদ্ধ ও মারণাস্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। পৃথিবীতে এই মুহূর্তে যে পরিমাণ মারণাস্ত্রের মজুদ আছে তা দিয়ে কয়েকবার পৃথিবীকে ধ্বংস করা যাবে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ যোগ্যতাবলে আজ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখে তিনি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ও শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন। আমরা আশা করবো, তিনিও যুদ্ধ ও যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন এবং জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।

বিংশ শতাব্দীর ¯œায়ুযুদ্ধের সময় রাশিয়া ও আমেরিকা অস্ত্র উৎপাদনের খেলা খেলতে গিয়ে রাশিয়া দারুণভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। টুকরো টুকরো হয়ে যায় রাশিয়া। আমেরিকাও যদি আজ এই অস্ত্রের খেলা বন্ধ না করে, তাহলে তার অবস্থাও হবে রাশিয়ার মতো। ইতোমধ্যে আমেরিকা অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে, অনাগত ভবিষ্যতে যে আমেরিকাও খ–বিখ- হবে না, তার গ্যারান্টিও কেউ দিতে পারে না।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও শান্তিকামী রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে আমরা বলতে চাইÑ ‘যখন প্রশ্ন আসে যুদ্ধ না শান্তি?/ আমরা জবাব দেই শান্তি শান্তি শান্তি!/ আর যুদ্ধ নয়, নয়/আর ধ্বংস নয় নয়/আর নয় শিশুদের মায়েদের কান্না হাহাকার।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 2 3 4 12
January 1st, 2019

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম মোনায়েম সরকার বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। একদিন এদেশের হাতে ছিল পরাধীনতার হাতকড়া। শোষণ-বঞ্চনা-নিপীড়ন ছিল এই […]

January 1st, 2019

যেসব কারণে আওয়ামী লীগের জয় অবশ্যম্ভাবী

যেসব কারণে আওয়ামী লীগের জয় অবশ্যম্ভাবী মোনায়েম সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কি হবে এটা নিয়ে এখনই নানা মনে […]

December 10th, 2018

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ : কতিপয় বিপথগামী রাজনীতিকের অতীত-বর্তমান

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ : কতিপয় বিপথগামী রাজনীতিকের অতীত-বর্তমান মোনায়েম সরকার পৃথিবীর দেশে দেশে রাজনীতি আজ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে। সবদেশে এখন […]

December 2nd, 2018

আওয়ামী লীগের বিজয় কেন জরুরি

আওয়ামী লীগের বিজয় কেন জরুরি মোনায়েম সরকার আমি একজন রাজনীতি-সচেতন নাগরিক এবং ভোটার। ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জাতীয় […]

November 26th, 2018

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেন নির্বাচিত করবেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেন নির্বাচিত করবেন মোনায়েম সরকার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ২৩, চামেলীবাগ, ঢাকা-১২১৭ ফোন […]

November 11th, 2018

বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক

বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক মোনায়েম সরকার স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে পঞ্চাশের দশক ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনা বিকাশের কাল আর ষাটের […]

November 1st, 2018

আওয়ামী লীগকে কেন ভোট দিতে হবে

আওয়ামী লীগকে কেন ভোট দিতে হবে মোনায়েম সরকার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। […]

October 31st, 2018

ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট হলো বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল

কয়েকদিন আগে আমি একটি কলাম লিখেছিলাম ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন পক্ষে যাবেন’Ñ শিরোনামে। যেখানে আমি নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দেখানোর চেষ্টা […]

October 31st, 2018

নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন পক্ষে যাবেন

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হলে পূর্ব বাংলা তথা বর্তমান বাংলাদেশ ব্রিটিশ উপনিবেশের খপ্পর থেকে পাকিস্তানি উপনিবেশের খপ্পরে পড়ে। যেই মানুষটিকে […]

September 29th, 2018

মহাত্মা গান্ধী : শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক

দৃষ্টি আকর্ষণ : মহত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে [২ অক্টোবর,২০১৮] মহাত্মা গান্ধী : শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক মোনায়েম সরকার পৃথিবী ক্রমে ক্রমেই […]