List

সম্প্রতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সমগ্র বাংলাদেশ। কোটা-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সকল জেলায় ও শিক্ষাঙ্গনে। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল প্রচলিত কোটা-সংস্কার। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এ সময়ের শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা কোটার কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাদের সেই বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য তারা রাজপথ দখল করে বিরতিহীন যে আন্দোলন করছিল শুরুর দিকে সেটা নিষ্কলুষ-নিষ্পাপ আন্দোলন হলেও সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতরে ঢুকে পড়ছিল নানারকম চক্রান্ত। এই চক্রান্তের নমুনা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে নারকীয় হামলা এবং আইনের দৃষ্টিতে অভিযুক্ত আসামি তারেক জিয়ার উস্কানিমূলক ফোনালাপ উল্লেখ করা যেতে পারে।
যে আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র ঢুকে যায় সে আন্দোলনের পরিণাম হয় ভয়াবহ। অতীতে আমরা এ রকম আন্দোলন অনেক দেখেছি। এ প্রসঙ্গে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের কথা স্মরণ করতে পারি। ওই আন্দোলনের পেছনে এমনই ষড়যন্ত্র ছিল। যে ষড়যন্ত্র নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল। যে আন্দোলন গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং উন্নয়নে বিশ্বাসী সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি লুন্ঠনকারী ও মৌলবাদী শক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিল। হেফাজতের সে অশুভ আন্দোলনের পরিণাম ছিল পবিত্র কোরআন শরীফ ভস্মীভূতকরণ ও আটটি তাজা প্রাণের আত্মদান।
কোটা-বিরোধী আন্দোলনের একটি নিন্দনীয় স্মারক চিহ্ন হলো প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কালোরাত্রির তা-ব। এছাড়া রক্তপাতহীনভাবেই সুন্দর পরিণামের দিকে এগিয়ে গেছে আন্দোলনের ফলাফল। কোটা-বিরোধীরা যা প্রত্যাশা করেনি, যেটা তাদের চিন্তারও বাইরে ছিলÑ তা-ই করে দেখালেন ‘মাদার অভ হিউম্যানিটি’ খ্যাত, উন্নয়ন রথের সারথি, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। কোটা-বিরোধীরা চেয়েছিল সংস্কার। অর্থাৎ বৈষম্যের কিঞ্চিত সুবিধা। পুরো কোটা উচ্ছেদ চাওয়ার মতো সাহস তাদের ছিল না। কিন্তু আড়ালে-আবডালে সবাই কোটা-পদ্ধতি বাতিলের পক্ষেই ছিলÑ বিশেষ করে পত্রিকার পাতায় বিশেষজ্ঞদের অভিমত বাতিলের পক্ষেই সংখ্যাগতভাবে বেশি ছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা-পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করে শতভাগ মানুষের আশাই পূর্ণ করেদিলেন। তিনি আবারও প্রমাণ করলেন বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমী রক্তের ধারা তার রক্তে বহমান। মুজিব পরিবার চিরদিনই বাংলার মানুষকে বেশি বেশি সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে এসেছে। বঙ্গপ্রেমিক শেখ মুজিব একটি ‘অনিচ্ছুক জাতি’কে নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। গড়তে চেয়েছিলেন সোনার বাংলা। ’৭৫-এর কালরাত্রে সপরিবারে তাকে হত্যা করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে মৌলবাদী ভাবধারায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার কন্যা এসে কিসিঞ্জার কথিত ‘তলা বিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দেশরূপ নৌকার হাল ধরে রেখেছেন উন্নত দেশের স্বপ্নের দিকে। তার এ স্বপ্ন সফল হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এক্ষেত্রে তাকে আরেকটু কঠোর ও কঠিন হতে হবে। বর্জন করতে হবে সব রকমের দুর্বলতা। সামনের কঠিন বাস্তবকে মোকাবিলা করার জন্য আইন সঙ্গত যা যা করা দরকার সেগুলোই তাকে দৃঢ় চিত্তে করতে হবে।
লেখাটি শুরু করেছিলাম কোটা-বিরোধী আন্দোলনের কথা দিয়ে। আমি মূলত সেখানেই থাকতে চাই। অনেকেই শেখ হাসিনার কোটা প্রথা বাতিলে তৃপ্তি ঢেকুর গিলছেন। কিন্তু আমার প্রত্যাশা আরো বেশি। বাংলাদেশে শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই নয়Ñ আরও বহু ক্ষেত্রেই কোটা প্রথা বহাল আছে। আমি সেই সকল কোটারই উচ্ছেদ চাই। এদেশের একজন এম.পি তার পদাধিকার বলে কোটি কোটি টাকা মূল্যের ডিউটি-ফ্রি গাড়ি-কোটা, বাড়ির কোটা, ব্যাংকের কোটাসহ অনেক ধরনের কোটার সুবিধা ভোগ করেন। একজন মানুষ চারবার এম.পি. হলে ৪টি ডিউটি-ফ্রি গাড়ি কেনার সুযোগ পান। অনেক ক্ষেত্রে এসব গাড়ি তিনি নিজেও ব্যবহার করেন না। অন্যের কাছে উচ্চ দামে বিক্রি করে দেন। এর ফলে দেশ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাচ্ছে এবং দুই হাতে অর্থ লুটপাট করছে। এ প্রবণতা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। একটি উন্নয়নশীল দেশে জনপ্রতিনিধিদের এত সুবিধা থাকা ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি। শুধু জনপ্রতিনিধি কেন সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তারাও লিখিত ও অলিখিত নানা ধরনের কোটা-সুবিধা পেয়ে আসছেন, এগুলোও বাতিল করার জন্য সরকারের মনোযোগ দেওয়া দরকার। দেশের সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাই শুধু দেশের জন্য কাজ করছেন এমনটি ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
একটি দেশ উন্নত করতে গেলে সেই দেশের সব মানুষকেই দল-মত-নির্বিশেষে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হয়। দেশ গড়া কোনো সহজ কাজ নয়। এ কাজে প্রত্যেকটি নাগরিককেই সাধ্যমতো উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়। সব নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আকাশ কুসুম কল্পনা বৈ আর কিছুই নয়। একটি দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষই সেই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। যে দেশে কৃষকের কোনো কোটা সেই, শ্রমিক কিংবা মেহনতি মানুষের কোনো বিশেষ সুবিধা সেইÑ সেই দেশে কারো কোনো কোটা থাকাই শোভনীয় নয়। আমি দেশে বিদ্যমান সকল কোটা বাতিলের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। আশা করি দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি অবশ্যই প্রচলিত সকল কোটার বিরুদ্ধে মনোযোগী হবেন।
দেশ কারো একার নয়, দেশে কোনো বিশেষ শ্রেণির মানুষ বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা পেলে, যারা সুবিধা বঞ্চিত থাকেন তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ একদিন রূপ নেয় আন্দোলনে। সেই আন্দোলন যখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তখন শুরু হয় রক্তপাত ও রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়। আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে অবশ্যই রক্তপাতহীন বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই। জনদুর্ভোগ নয়, সরকারের উচিত হবে জনস্বার্থ সংরক্ষণ করা। এ কাজ যত দ্রুত করা হবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরেই দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি সে সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশপ্রেমিক ও দেশের সেবক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য। আজ আমরা দেখছি চারদিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সীমাহীন অপচয়। মাঝে মাঝে আমি আমার স্বজন-সুহৃদদের দেখতে ঢাকার গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারায় যাই। সেখানে গেলে মাথা আমার ঘুরে যায়। এক বিঘার-দেড় বিঘার বিলাসবহুল বাড়িতে লোক থাকে মাত্র এক, দুই বা তিনজন। এই স্বল্প সংখ্যক মানুষের জন্য আবার ব্যবহৃত হয় তিন থেকে ছয়টা গাড়ি। কখনো কখনো তা দশটাতে গিয়েও ঠেকে। একজন মানুষের জন্য তিনটা গাড়ির কি প্রয়োজন হতে পারে তা আমি ভেবেই পাই না। বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ির আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এর ফলে আমাদের অর্থ অপচয় ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অর্থ অপচয়ের কি মানে হতে পারে?
দেশে যারা সীমাহীন সম্পদের মালিক এবং যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার ও তছরূপের কাজে ব্যস্ত, সময় এসেছে তাদের সেই সম্পদ ও দুর্নীতির হিসাব-নিকাশের। দেশের সার্বিক স্বার্থেই আজ এই হিসাব-নিকাশ শেষ করতে হবে। এ জন্য কাউকেই ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। যে ব্যক্তি ঋণ খেলাপি, কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি, অবৈধ সম্পদের মালিক তাকেই আইনের মুখোমুখি করা হোক, ক্রোক করা হোক তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ। সেগুলো জমা করা হোক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। সেই টাকা ব্যয় হোক দেশের উন্নয়নের কাজে। একজনের অবৈধ সম্পদের পাহাড় দিয়ে যদি এক লক্ষ মানুষের উন্নয়ন করা যায়, তাহলে ওই একজন মানুষের কালোটাকা অবশ্যই রাষ্ট্রের হরণ করা উচিত। দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। যে রাষ্ট্রে সত্যিকার অর্থেই আইনের শাসন কার্যকর করা হয়Ñ সেই রাষ্ট্র আপন গতিতেই উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়। আইনের শাসনই একটি দেশের রক্ষাকবচ। স্বজনপ্রীতি ও তথাকথিত বড়লোক প্রীতি বাদ দিয়ে এখনই সময় দেশের সব মানুষের দিকে সমানভাবে নজর দেওয়া। সম্পদের সমবণ্টন এই মুহূর্তে পুরোপুরি সম্ভব না হলেওÑ বৈষম্য যতটা সম্ভব ততটা কমিয়ে আনা অপরিহার্য।
একটি বিষয় বর্তমান সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তাহলোÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বার্থেই তার নিজের হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে ভেঙে ‘কৃষক’ ও ‘শ্রমিক’ এই শব্দ দুটি যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিকের ঘরে ঘরে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া। আওয়ামী লীগ ওই সময়ে এতটাই জনপ্রিয় দল ছিল যে, তখন বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন না করলেও পারতেন। তবু তিনি বাকশাল করেছিলেন কৃষক-শ্রমিকের ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে। অথচ কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর এই মহৎ উদ্যোগকে ভুল বুঝে তাকে দোষ দিতে বিন্দু পরিমাণ দ্বিধা করেন না। এটা মোটেই ঠিক নয়। বাকশালের আদর্শ ও উদ্দেশ্য মোটেই খারাপ ছিল না। বঙ্গবন্ধু আজ যদি জীবিত থাকতেন তাহলেই বাংলার মানুষ বুঝতে পারতেন বাকশাল গঠন সত্যিকার অর্থেই কতটা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত ছিল।
আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে শেখ হাসিনাকে এখন সর্বপ্রথম মনোযোগ দিতে হবে দুর্নীতি রোধের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের এখন এক নম্বর ব্যাধি দুর্নীতি। এরপরেই আসে বিদেশে অর্থপাচার, মেধাপাচার ও সেকেন্ড হোম গড়ার প্রবণতা। দেশের টাকা যারা বিদেশে পাচার করে তারা গণশত্রু। বিদেশে যারা সেকেন্ড হোম বানায় তারাও দেশ ও জনগণের শত্রু। মেধা পাচার আমাদের দেশের একটি অন্যতম সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের দিকে দ্রুত মনোযোগ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে ডক্টরেট করতে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসছে না। বিদেশে তারা একটি নিরাপদ ও সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা পাচ্ছে বলেই তারা আর দেশে ফিরতে চাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে নিরাপদ জীবন ও সকল কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই কেবল তাদের দেশে রাখা সম্ভব হবে। সম্ভব হবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখা। ডুবন্ত বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই এখন বাংলাদেশ ও সমস্ত বাঙালির ত্রাতা।
পরিশেষে বলতে চাই, অবৈধ অর্থ সম্পদ সঞ্চয়কারীদের কোনো রকম ছাড় বা সুবিধা না দিয়ে এখন তাদের পাকড়াও করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। শুধু চাকরির ক্ষেত্রে নয়, বিদ্যমান সকল কোটা পরিহার করতে হবে। সব মানুষকে সমান সুযোগ করে দিতে হবেÑ তবে এই কাজ করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। শেখ মুজিব অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যই বাংলার বুকে জন্ম নিয়েছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনাও অসম্ভবকে সম্ভব করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে দেখাবেন ষোলো কোটি মানুষের মতো আমিও এ কথা বিশ্বাস করি।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
১৫ এপ্রিল, ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 2 3 4 12
January 1st, 2019

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম মোনায়েম সরকার বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। একদিন এদেশের হাতে ছিল পরাধীনতার হাতকড়া। শোষণ-বঞ্চনা-নিপীড়ন ছিল এই […]

January 1st, 2019

যেসব কারণে আওয়ামী লীগের জয় অবশ্যম্ভাবী

যেসব কারণে আওয়ামী লীগের জয় অবশ্যম্ভাবী মোনায়েম সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কি হবে এটা নিয়ে এখনই নানা মনে […]

December 10th, 2018

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ : কতিপয় বিপথগামী রাজনীতিকের অতীত-বর্তমান

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ : কতিপয় বিপথগামী রাজনীতিকের অতীত-বর্তমান মোনায়েম সরকার পৃথিবীর দেশে দেশে রাজনীতি আজ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে। সবদেশে এখন […]

December 2nd, 2018

আওয়ামী লীগের বিজয় কেন জরুরি

আওয়ামী লীগের বিজয় কেন জরুরি মোনায়েম সরকার আমি একজন রাজনীতি-সচেতন নাগরিক এবং ভোটার। ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জাতীয় […]

November 26th, 2018

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেন নির্বাচিত করবেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেন নির্বাচিত করবেন মোনায়েম সরকার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ২৩, চামেলীবাগ, ঢাকা-১২১৭ ফোন […]

November 11th, 2018

বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক

বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক মোনায়েম সরকার স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে পঞ্চাশের দশক ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনা বিকাশের কাল আর ষাটের […]

November 1st, 2018

আওয়ামী লীগকে কেন ভোট দিতে হবে

আওয়ামী লীগকে কেন ভোট দিতে হবে মোনায়েম সরকার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। […]

October 31st, 2018

ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট হলো বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল

কয়েকদিন আগে আমি একটি কলাম লিখেছিলাম ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন পক্ষে যাবেন’Ñ শিরোনামে। যেখানে আমি নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দেখানোর চেষ্টা […]

October 31st, 2018

নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন পক্ষে যাবেন

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হলে পূর্ব বাংলা তথা বর্তমান বাংলাদেশ ব্রিটিশ উপনিবেশের খপ্পর থেকে পাকিস্তানি উপনিবেশের খপ্পরে পড়ে। যেই মানুষটিকে […]

September 29th, 2018

মহাত্মা গান্ধী : শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক

দৃষ্টি আকর্ষণ : মহত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে [২ অক্টোবর,২০১৮] মহাত্মা গান্ধী : শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক মোনায়েম সরকার পৃথিবী ক্রমে ক্রমেই […]