List

রাজনৈতিক নেতাদের কারাবরণ মোটেই অবাস্তব কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে এমন উদাহরণ হাজার হাজার আছে। মহাত্মা গান্ধি, জওহের লাল নেহেরু, নেলসন ম্যান্ডেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ বছরের পর বছর রাজবন্দি হিসেবে কারাবরণ করেছেন এবং বন্দিজীবন শেষে সম্মানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। গণমানুষের দাবি আদায় করতে গিয়ে জেলে যারা জীবন কাটিয়েছেন ইতিহাস তাদের নাম বুকে ধারণ করে ঋদ্ধ হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলার রায় দিয়েছেন নি¤œ আদালত। এই আদালতের রায়ে বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সশ্রম কারাদ- এবং তারেক রহমান (বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান), কাজী সালিমুল হক (বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য), কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব), শরফুদ্দিন আহমেদ (ব্যবসায়ী), মমিনুর রহমানের (জিয়াউর রহমানের ভাগনে) ১০ বছর সশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা হয়।
একটি বিষয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, যে মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির দ- ঘোষণা করা হলো সে মামলার সূচনা করেছিল সেনাসমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এর তদন্তসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যখন কোনো বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে তখন রাষ্ট্রের জনগণের উচিত সে বিষয়ে পুরোপুরি আস্থা রাখা। কেননা এ ক্ষেত্রে আস্থার সংকট হলে রাষ্ট্রে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ৮ ফেব্রুয়ারিও সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দূরদর্শিতায় ও দক্ষতায় তা রক্তপাতহীনভাবে সামাল দেয়া গিয়েছে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়া রায় শুনার পর যেভাবে মুচড়ে পড়েছেন এটা তার কাছ থেকে জাতি আশা করেনি। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে বৈঠকরত অবস্থায় ১০ দলের ৩৪ জন নেতাকে আটক করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। ওই ৩৪ জন নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ড. কামাল হোসেন, তোফায়েল আহমদ, আবদুল জলিল, মো. ফরহাদ, রাশেদ খান মেননসহ আমিও বন্দি হয়েছিলাম। আমাদের সবাইকে চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি যে ঘরে বন্দি ছিলাম সে ঘরে আমার সঙ্গে আরো ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল। আমাদের প্রথম তিনটি করে কম্বল দেওয়া হয় সাধারণ কয়েদীর মত। একটি কম্বল আমরা মাটিতে বিছিয়ে বিছানা বানাতাম, একটি বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতাম, অন্যটি গায়ে দিতাম। এভাবে কয়েকদিন চলার পর যখন রাজবন্দি হিসেবে ডিভিসন পেলাম তখন আর তিন কম্বল ব্যবহার করতে হয়নি। একটা স্বাভাবিক পরিবেশই পেয়েছিলাম জেলখানায়। ১৭ দিন জেল খাটার পর জনতার আন্দোলনে আমাদের সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় এইচ এম এরশাদ।
জেল জীবনে যিনি অভ্যস্ত নন, তার মতো সৌখিন মানুষের পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশে এ কথা আরো বেশি করে প্রযোজ্য। খালেদা জিয়া রাজবন্দি নন, তিনি একজন দুর্নীতি মামলার আসামি। নৈতিক স্খলনের কারণে দ-িত আসামী হয়ে আজ তিনি জেলের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দি। এই বন্দি জীবন খালেদা জিয়ার নিয়তি ছিল। কেন নিয়তি ছিল? নিয়তি ছিল এ কারণে যে জীবনে তিনি ও তার পরিবার বার বার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। সীমা লঙ্ঘনকারীকে একদিন শাস্তি পেতেই হয়। সাম্প্রতিক রায়ে সম্ভবত তিনি সেই শাস্তিই পেলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টেনমেন্টে কি কি কর্মকা- করেছেন তা দেশবাসী না জানলেও মেজর জিয়া তা ভালো করেই জানতেন। জানতেন বলেই যুদ্ধফেরত জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পরে খালেদা জিয়াকে ঘরে তুলতে অস্বীকার করেন। বঙ্গবন্ধু খালেদা জিয়ার ভার গ্রহণ করে পিতার মতো দায়িত্ব নিয়ে জিয়াউর রহমানের হাতে তাকে তুলে দেন। জিয়ার মৃত্যুর পরে সামান্য গৃহবধূ খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন হযে ১৫ আগস্টকে জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে ভুয়া জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। কত বড় কঠিন ও নির্দয় হৃদয়ের মানুষ হলে জাতির পিতার মৃত্যুদিন নিয়ে এরকম প্রহসন করতে পারেন তা ভেবে এদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছে।
১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিল খালেদা জিয়িা তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদ ত্রিশ লক্ষ বীরের সঙ্গে যে পরিহাস করেছেন সেই জন্য অনেক আগেই তার কাঠগড়ায় দাঁড়ানো উচিত ছিল। দেশদ্রোহী জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় গিয়ে খালেদা জিয়া শুধু যে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও মন্ত্রিত্ব উপঢৌকন দিয়েছেন তা নয়, জিয়ার ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জিকে রূপান্তরিত করেছেন সীমাহীন সম্পদে। তার দুই পুত্র দুর্বৃত্তপনায় বাংলাদেশের দুর্বৃত্তদের কাছে রোল মডেল হয়েছে। কোকো ১, ২, ৩, ৪ ইত্যাদি জাহাজ, ড্যান্ডি ডাইং, হাওয়া ভবনের নির্লজ্জ সিন্ডিকেট, বিদেশে অর্থ পাচার, বিশ্বের কুখ্যাত মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও আর্থিক লেনদেন করে খালেদা জিয়ার পুত্রদ্বয় যে কলঙ্কের অধ্যয় সূচনা করেছিল খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে কোনোই পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল ও দলীয় প্রধানকে হত্যা করার জন্য তার দল বিএনপি যেসব নিন্দনীয় কর্মকা- গ্রহণ করেছিল, তা এদেশের মানুষ কোনোদিন ভুলবে না। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা বিশেষ করে আইভি রহমানসহ ৩৩ জন হত্যার স্মৃতি বাঙালির মন থেকে পুরোপুরি মুছে না-যাওয়া পর্যন্ত জনতার নিন্দা ও ঘৃণা কোনোদিনই খালেদা জিয়ার পিছু ছাড়বে না।
খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতিতে যতটা পারদর্শী, রাজনীতিতে মোটেই ততটা পটু নন। বলা যেতে পারে, তিনি রাজনীতির ব্যাকরণই বুঝেন না। তিনি যদি রাজনীতি বুঝতেন ও গণতন্ত্র বুঝতেন তাহলে আজ তার যে দশা হয়েছে তা হতো না। তিনি যতদিন ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন ততদিন তার হাতে ক্ষমতা ছিল, যখন তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়েছেন তখন থেকেই দুর্ভাগ্য তার পিছু নিয়েছে। বন্দুকের নল আর হত্যার রাজনীতি বিএনপির মূল শক্তি। ক্যান্টনমেন্ট হাতছাড়া হওয়া এবং হত্যা, ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতি প্রকাশ হওয়ার পর এখন তিনি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। তার দেউলিয়াপনায় বিএনপি দিশেহারা হয়ে গেছে।
১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৮ নির্বাচনী ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে স্বৈরাচারী সামরিক সরকার জিয়াউর রহমান ও এরশাদের আমলে কি ধরনের তথাকথিত বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৭০ সালে মোট আসন-৩০০। আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন ও ৮৯% ভোট পেয়েছিল। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম হয়নি। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ ২৯৩ আসন ও ৭৩.২% ভোট পেয়েছিল। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম হয়নি। ১৯৭৯ সালে বিএনপি জন্মের পরই ২০৭ আসন ৪১.১৬% ভোট, আওয়ামী লীগ (মালেক), ৩৯ টি আসন ও ২৪.৫৫% ভোট, আওয়ামী লীগ (মিজান) ২ আসন ও ২.৭২% ভোট জিয়ার পছন্দমত দেয়া হয়েছিল।
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি জন্মের পর ১৫৩ আসন ও ৪২.৩৪% ভোট। আওয়ামী লীগ ৭৬ আসন ও ২৬.১৫% ভোট পেয়েছিল এরশাদের পছন্দমত। এই নির্বাচন গুলির ফলাফল দেখলেই বোঝা যায় জিয়া-এরশাদের আমলে কি ধরনের নির্বাচন হয়েছিল। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছিল সেনা শাসকদের পার্টি। খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বলেছিলÑ পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আজ আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।
আইন পদ-পদবি চিনে না। রাজা-প্রজার পার্থক্য জানে না। আইন বুঝে তথ্য-প্রমাণ। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই খালেদা জিয়া দ-িত হয়েছেন। তার এই দ-াদেশ নিয়ে কেউ যদি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে অভিযুক্ত করতে চান করতে পারবেনÑ তবে সেই অভিযোগ যৌক্তিক হবে বলে আমি মনে করি না। আওয়ামী লীগ সরকার যদি এ মামলায় হস্তক্ষেপ করতো, তাহলে অনেক আগেই করতে পারতো; কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল আওয়ামী লীগ সরকার আইনের হাতেই এ মামলার ভবিষ্যৎ ছেড়ে দিয়েছিলেন। আইন তার বিচার-বিশ্লেষণে যে রায় দিয়েছে সে রায় মেনে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করাই এখন বিএনপির জন্য শুভকর। এ রায় নিয়ে কাদা-ছোড়াছুড়ি করলে খালেদা জিয়া ও বিএনপির পরিণাম কি হবে তা ভবিষ্যতই জানে।
স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর শিষ্টাচারের মধ্যে পার্থক্য আকাশ আর পাতাল। তখন রাজনৈতিক নেতারা কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে পেছনে পেছনে এত হাজার হাজার লোক যেতো না, আদালত প্রাঙ্গণেও দেখা যেত না আইনজীবীদের অশ্লীল মারামারি। খালেদা জিয়া ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলার হাজিরা ও রায়ের দিন নেতাকর্মীদের দিয়ে সোডাউন দিয়ে মামলার রায়কে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। তিনি শেষ পর্যন্ত মরণ কামড় বসাতে চেয়েছেন, কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছেন দাঁতে আর শক্তি নেই, তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ তিনি যদি বার বার কোর্ট না বদলাতেন, সময় ক্ষেপণ না করতেন, তাহলে আজ তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে সে সংকট সৃষ্টি হতো না। তিনি আইন অমান্য করে করে দশ বছর যে অহংকারী স্বভাবের চর্চা করেছেন, সেই অহংকারই আজ তার পতনের মূল কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন তিনি বা তার দলীয় লোকজন যদি এটা ঠা-া মাথায় চিন্তা না করেন, তাহলে এসব তাদের কে বোঝাবে?
কথায় আছে লোভের ফলে পাপ হয়, পাপের ফলে মৃত্যু হয়। অতি লোভের ফলে খালেদা জিয়া ও তার দল আজ মৃত্যুপথযাত্রী হয়ে পড়েছে। এখন এই মৃত্যুযাত্রা থেকে কিভাবে বিএনপি নিজেকে রক্ষা করবে সেটাই ভাবার বিষয়। শুধু ক্ষমতাসীন দলের উপর দোষ না চাপিয়ে মাঝে মাঝে আত্ম-সমীক্ষাও করতে হয়। দলীয় চেয়ারপারসনের শাস্তির পর আজ বিএনপির সময় এসেছে আত্ম-সমালোচনা করার। নিজেদের ভুলগুলো চিহ্নিত করে, সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটাই হবে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার জন্য বুদ্ধির কাজ। এটা না-করে সরকারকে দোষারোপ করলে সামনে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে আরও বড় বড় বিপদ। এজন্য এখনি সাবধান হওয়ার দরকার। তবে বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় দুই মামলায় ১৬ বছর দ-িত তারেক জিয়াকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে বিএনপি কত দূর যাবে তা দেখার বিষয় হয়ে থাকলো।
প্রবাদে আছেÑ ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের মধ্য দিয়ে সেই কথাটি যেন আবার বাংলাদেশের সতেরো কাটি মানুষের সামনে নতুনভাবে প্রমাণিত হলো। এ রায় থেকে বাংলাদেশের সরকারি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী সকলেরই কিছু না কিছু শিক্ষণীয় আছে। ক্ষমতায় থেকে যারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়, দুর্নীতি করে, তাদের পরিণাম কি হতে পারে এটা তারই প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার, সর্বোপরি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই দৃষ্টান্ত থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশে উন্নয়নের পাশাপাশি, আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 3 4 5 12
September 29th, 2018

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে কেন?

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে কেন? মোনায়েম সরকার সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ এক্স’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অতি ধনীর […]

August 31st, 2018

জোট-ভোট ও আন্দোলনের আস্ফালন

জোট-ভোট ও আন্দোলনের আস্ফালন মোনায়েম সরকার বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তি থাকুক আর না থাকুক সবগুলো দলই জোট গঠনে ব্যস্ত হয়ে […]

August 27th, 2018

ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আওয়ামী লীগকে উজান পথেই এগিয়ে যেতে হবে

ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আওয়ামী লীগকে উজান পথেই এগিয়ে যেতে হবে মোনায়েম সরকার বঙ্গীয় ভূখণ্ডে রাজনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটাতে প্রথম যে […]

August 25th, 2018

আত্মপ্রচার নয়, মুজিব আদর্শ প্রচারে দৃষ্টি দিন

আত্মপ্রচার নয়, মুজিব আদর্শ প্রচারে দৃষ্টি দিন মোনায়েম সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের […]

July 19th, 2018

জোট ও ভোটের রাজনীতি

বর্তমানকালের রাজনীতিতে একটি বিষয় লক্ষণীয় তাহলো, সমমনা দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন। জোট ছাড়া আজকাল ভোট হয় না বলেই মনে […]

July 15th, 2018

রাজনীতি ও ওল্ড ক্লাউনদের নির্বুদ্ধিতা

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সকল প্রকার বাধাবিঘœ অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আজকের বাংলাদেশ আর অতীতের বাংলাদেশ এক […]

June 27th, 2018

’৭০-এ আওয়ামী লীগ শুধু অর্জনের বিবরণী নয়, আত্মসমালোচনাও দরকার

’৭০-এ আওয়ামী লীগ শুধু অর্জনের বিবরণী নয়, আত্মসমালোচনাও দরকার মোনায়েম সরকার বঙ্গীয় ইতিহাসে ২৩ জুন অন্তত দুটি কারণে বাঙালির মনে […]

June 27th, 2018

২৫ মার্চ, ১৯৭১ : অপারেশন সার্চ লাইটের অতর্কিত গণহত্যা

২৫ মার্চ, ১৯৭১ : অপারেশন সার্চ লাইটের অতর্কিত গণহত্যা মোনায়েম সরকার ২৪ মার্চ একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে ঢাকায়। সবাই বলাবলি […]

May 25th, 2018

অসম সরকারি নীতিমালার পরিণাম ক্ষোভ আর সর্বনাশ

বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক এগিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সাফল্যে এখনই তৃপ্তির ঢেঁকুর গেলা ঠিক হবে না। আমরা যদি […]

May 17th, 2018

Now Bangabandhu Shine like the Polestar in Space

After 47 years of existance Bangladesh has entered into a new era, launching successfully its first communication satellite Bangabandhu-1 to […]