List

আওয়ামী লীগের বিজয় কেন জরুরি

মোনায়েম সরকার
আমি একজন রাজনীতি-সচেতন নাগরিক এবং ভোটার। ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। সরকার গঠন ও সরকার পরিবর্তনে ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি সবাই নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা খাটিয়ে সৎ-যোগ্য ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করি, উন্নয়নমুখী দলকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেই তাহলে দেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। এর অন্যথা হলে দেশে দেখা দেয় রাজনৈতিক সংকট ও জটিলতা, জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ-যন্ত্রণা। এর প্রমাণ হিসেবে সামরিক সরকার (জিয়া-এরশাদ), প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীদের শাসন ও সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনচিত্র উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে যে অগণতান্ত্রিক শাসনের ধারা সূচিত হয়, তার অবসান ঘটানোর জন্য, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তিকে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হলেও দুঃখজনক এটাই যে আওয়ামী লীগ শাসন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেয়েছে খুব কম সময়ই। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। ওই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জটিল কাজটি অত্যন্ত সফলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল। সে অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাজনীতির গতিমুখ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। সে-বার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচারকাজ শুরু করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। এছাড়াও পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিসহ দীর্ঘদিনের জিইয়ে থাকা বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তারপরও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হতে পারেনি। তুলনামূলকভাবে ভালো শাসন উপহার দিয়েও ভোটে না জেতাটা ছিল অপ্রত্যাশিত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অপশাসন-কুশাসনে অতিষ্ঠ দেশবাসী পরের নির্বাচনে আবার সঠিক রায় দিতে ভুল করেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতাসীন হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
দেশের বিভিন্ন সঙ্কট দেখে কখনো কখনো মনে হয়, দূর ছাই, ভোটই দেবো না। আমি একজন ভোট না দিলে কী হবে? আবার পরক্ষণেই মনে হয়, আমার মতো যদি অনেকেই ভোট না দেয়, অসৎ ও অযোগ্য ব্যক্তিরা জয়ী হতে পারে, সেটা তো দেশের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারণ হবে। মন্দ লোকেরা ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সমাজের মানুষ হিসেবে আমিও তা থেকে রেহাই পাবো না। সে জন্যই সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বোধ থেকেই সঠিক দলকে ভোট দেয়ার আকাক্সক্ষা মনের মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠে।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল আজ থেকে ৪৭ বছর আগে। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিই বেশিরভাগ সময় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকেছে। এই দীর্ঘ সময়ে তারা নিজেদের পাপকে ধুয়েমুছে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করার এবং ভিলেনদের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। নতুন প্রজন্ম তাদের হিংস্ররূপের পরিচয় তেমনভাবে পায়নি। এই দীর্ঘ সময়ে তারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন ব্যক্তিদের বিচারের পেছনে আওয়ামী লীগের যে ‘মতলব’ই থাকুক না কেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এদেশের কোটি কোটি মানুষ তাকে খাটো করে দেখতে পারে না। বাংলাদেশের মতো মীরজাফর-কবলিত দেশে গোলাম আযম-সাঈদী-নিজামী-মুজাহিদ-কাদের মোল্লাদের কেউ টিকি স্পর্শ করতে পারবেÑএটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে, এই বিচারকে বানচাল করতে চেষ্টা কিছু কম হয়নি। জামায়াত এবং তাদের সমর্থকরা বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগবিরোধী প্রগতিশীলদের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগকে জব্দ করতে ধর্মান্ধ-দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে সুর মিলিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করা হয়েছে, ছোট-খাট ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে অনেক বড় করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
একটা বিষয় লক্ষণীয়। বিএনপি সমর্থকরা কখনোই বিএনপির কোনো কাজের সমালোচনা করে না, নিন্দা করে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কিংবা আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষীরাও প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগের নিন্দা-সমালোচনা করে কার্যত শত্রুর হাতেই যে অস্ত্র তুলে দেন, সেটা বিবেচনায় রাখেন না। আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা ও অজনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মিথ্যা প্রচারণা যেমন দায়ী, তেমনি আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষীদের তীব্র সমালোচনাও কম দায়ী নয়। আওয়ামী লীগের সীমাবদ্ধতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। কিন্তু সেগুলো বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে বেশি নয়। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের পথ সুগম করে দেয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক কাজ হতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল কালপর্ব। সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজকে আমাদের যতটুকুও যা উন্নতি, তা সম্ভব হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। আজ যদি আমরা পাকিস্তানের অংশ থাকতাম, তাহলে এই ভূখ- হতো জঙ্গি তালেবান অধ্যুষিত একটি গরিব অঞ্চল। স্বাধীনতার আগে যেভাবে পাকিস্তানিরা একই দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের উপর শোষণ-নির্যাতন-জুলুম চালিয়েছিল, আমাদের গরিব মজুরে পরিণত করেছিল, আমরা স্বাধীন না হলে সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এখনও আমাদের পাকিস্তানিদের গোলামি করেই কাটাতে হতো। আমরা সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষ জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের অপরিসীম ত্যাগ, সাহস ও বীরত্বের জন্যই আমাদের আজকের স্বাধীন স্বদেশ। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ!
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতার জন্য আমাদেরকে কোন দল নেতৃত্ব দিয়েছিল? সেই সময়ে অন্যান্য দল কি করেছিল, কাদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা কি আমাদের বিবেচনাবোধকে সতর্ক করে দেয় না? হ্যাঁ, দেয়। দেয় বলেই আমরা মনে করি, সংবিধানবিরোধী অগণতান্ত্রিক পন্থায় সৃষ্ট বিএনপির সামগ্রিক ভূমিকার কারণে এই দলটিকে কোনো যুক্তিতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়া যায় না। ওদেরকে কেন আমরা ভোট দেবো না? কারণ ওরা গণবিরোধী, দেশবিরোধী। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলাম ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিএনপি নামক দলটির তখন জন্ম হয়নি। কিন্তু জন্মের পর থেকে বিএনপি সব সময় ওই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ‘অপরাধী’ দলটিকেই আশ্রয়-প্রশ্রয়-সমর্থন দিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি হিসেবে আমরা জামায়াতকে ঘৃণা করি। আর জামায়াতকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়ার কারণে বিএনপিকে ভোট দেয়াটাও যে-কারো কাছে বাংলাদেশের আদর্শবিরোধী কাজ বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত।
বাংলার মানুষ আজ ক্যান্টনমেন্ট নির্ভর ক্ষমতাবানদের চায় না। তারা ‘গণভবন’ আর ‘বঙ্গভবন’ নির্ভর ক্ষমতা দেখতে চায়। জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। নানাপ্রকার চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। আজ বিএনপির পক্ষে কথা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলা, গণতন্ত্রের বিপক্ষেই কথা বলা। দেশে অনেক জঞ্জাল জমেছে। সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হলে, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়া দরকার। আশাকরি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সে সুযোগ আওয়ামী লীগকে দেবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দুর্বৃত্ত, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের নৌকা থেকে ফেলে দিতে হবে। দেশের মানুষ উন্নত ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চায়। হাওয়া ভবন বা খোয়াব ভবন দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার মতো এমন ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব দেশবাসী বিগত ৪৫ বছরে দেখেনি। তিনি চলনে-বলনে-আহ্বানে দৃঢ়চেতা, রাজনৈতিক কৌশলে দূরদর্শী এবং সিদ্ধান্তে সাহসী এক ব্যক্তিত্ব।
বাংলাদেশের কতিপয় সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী ও বামনেতা পত্র-পত্রিকায়, টকশোতে বলার চেষ্টা করছেন দেশে গণতন্ত্র নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেইÑ একথা সত্য নয়। দেশে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা না থাকলে তারা এত কথা বলেন কিভাবে? ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তারা কোথায় ছিলেন? ওয়ান ইলেভেনের সময়ও তারা নিশ্চুপ ছিলেন কেন? খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াÑ উভয়েই দুর্নীতির কারণে দ-প্রাপ্ত। বর্তমানে অনেক দেশেই দুর্নীতির কারণে নেতা-নেত্রীরা জেল খাটছেন। খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক জিয়া রাজবন্দী হলে তাদের পক্ষে কথা বলা যেতোÑ তারা যেহেতু দুর্নীতির কারণে দ-িত তাদের পক্ষে কথা বলা কি প্রকারান্তরে দুর্নীতির পক্ষেই কথা বলা নয়? এদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও দিকভ্রান্ত বাম-নেতাদের অতীত অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষ এখন আর এদের বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না।
শেখ হাসিনা তার সুচিন্তিত ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন এ কথা সর্বাংশে সত্য। তবু কিছু কিছু মানুষ ভুল পথে আছে, তারা এখনো বিশ্বাস করে পাকিস্তানি ভাবধারায়। এই ভুল পথে চলা মানুষগুলোকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রতিটি নেতাকর্মীর অঙ্গীকার হোকÑ অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতারোহণ। এ জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সৎ, দুর্নীতি মুক্ত, সদালাপী, সদাচারী ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। মানুষের প্রতি বিশ্বাস রেখেই আওয়ামী লীগকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রেখে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে আওয়ামী লীগ। সবার পক্ষে নতুন ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার জন্য কোনো কিছুই আজ অসম্ভব নয়। তিনিই পারবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী, সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়তে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আর দেশকে এগিয়ে নেয়ার যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগেরই বেশি। তাই আসুন সব ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-মান-অভিমান পরিহার করে ’৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের মতো ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান তুলে নির্বাচনে নিজে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নৌকা মার্কায় ভোট দেই এবং অন্যকেও একই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনুপ্রাণিত করি।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
০১ ডিসেম্বর, ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 3 4 5 12
September 29th, 2018

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে কেন?

ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে কেন? মোনায়েম সরকার সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ এক্স’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অতি ধনীর […]

August 31st, 2018

জোট-ভোট ও আন্দোলনের আস্ফালন

জোট-ভোট ও আন্দোলনের আস্ফালন মোনায়েম সরকার বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তি থাকুক আর না থাকুক সবগুলো দলই জোট গঠনে ব্যস্ত হয়ে […]

August 27th, 2018

ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আওয়ামী লীগকে উজান পথেই এগিয়ে যেতে হবে

ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আওয়ামী লীগকে উজান পথেই এগিয়ে যেতে হবে মোনায়েম সরকার বঙ্গীয় ভূখণ্ডে রাজনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটাতে প্রথম যে […]

August 25th, 2018

আত্মপ্রচার নয়, মুজিব আদর্শ প্রচারে দৃষ্টি দিন

আত্মপ্রচার নয়, মুজিব আদর্শ প্রচারে দৃষ্টি দিন মোনায়েম সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের […]

July 19th, 2018

জোট ও ভোটের রাজনীতি

বর্তমানকালের রাজনীতিতে একটি বিষয় লক্ষণীয় তাহলো, সমমনা দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন। জোট ছাড়া আজকাল ভোট হয় না বলেই মনে […]

July 15th, 2018

রাজনীতি ও ওল্ড ক্লাউনদের নির্বুদ্ধিতা

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সকল প্রকার বাধাবিঘœ অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আজকের বাংলাদেশ আর অতীতের বাংলাদেশ এক […]

June 27th, 2018

’৭০-এ আওয়ামী লীগ শুধু অর্জনের বিবরণী নয়, আত্মসমালোচনাও দরকার

’৭০-এ আওয়ামী লীগ শুধু অর্জনের বিবরণী নয়, আত্মসমালোচনাও দরকার মোনায়েম সরকার বঙ্গীয় ইতিহাসে ২৩ জুন অন্তত দুটি কারণে বাঙালির মনে […]

June 27th, 2018

২৫ মার্চ, ১৯৭১ : অপারেশন সার্চ লাইটের অতর্কিত গণহত্যা

২৫ মার্চ, ১৯৭১ : অপারেশন সার্চ লাইটের অতর্কিত গণহত্যা মোনায়েম সরকার ২৪ মার্চ একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে ঢাকায়। সবাই বলাবলি […]

May 25th, 2018

অসম সরকারি নীতিমালার পরিণাম ক্ষোভ আর সর্বনাশ

বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক এগিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সাফল্যে এখনই তৃপ্তির ঢেঁকুর গেলা ঠিক হবে না। আমরা যদি […]

May 17th, 2018

Now Bangabandhu Shine like the Polestar in Space

After 47 years of existance Bangladesh has entered into a new era, launching successfully its first communication satellite Bangabandhu-1 to […]