List

পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন খুললেই এখন খালেদা জিয়ার অশ্রুসজল ছবি দেখা যায়। এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার এই কান্নাবিজড়িত মুখ কারো কারো মনে যে সহানুভূতির উদ্রেক করছে না এমন কথা বলা যাবে না। কেন খালেদা জিয়ার চোখে আজ বাঁধভাঙা জল এ কথার কারণ সন্ধান করতে হলে অবশ্যই আমাদের অতীত ইতিহাস স্মরণ করা দরকার। কেননা খালেদা জিয়ার কান্নার কারণ মূলত তার অতীত দিনের সীমাহীন ভুল।
১৯৭১ সালে খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিলেন। জিয়া তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার লোক পাঠালেও তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সাহচার্য থেকে জিয়ার ডাকে সাড়া দেননি। স্বামীর সংসারে যাননি। এই জন্য পাকিস্তানপ্রীতি তার মনে এমনভাবে শেকড় গেড়েছে যে, আজো তার মূলোৎপাটন হয়নি।
যেই মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আজ তিনি চোখের জল আর নাকের জল এক করে ফেলছেন সেই মামলা হয়েছিল ফকরুদ্দিন-মঈনউদ্দীন-ইয়াজুদ্দিনের কেয়ারটেকার সরকারের আমলে। কেন সেই মামলা হয়েছিল তাও বাংলাদেশের জনগণ অবগত। খালেদা জিয়া বার বার কোর্ট বদল করে দিনের পর দিন কালক্ষেপণ করে এখন যদি মায়াকান্না করে জনগণের মন ভুলাতে চান, বাংলাদেশের জনগণের মন কি তাতে ভুলবে? এদেশের জনগণ কি এতই বোকা?
পাকিস্তানি কূটকৌশল ও সামরিক কায়দায় জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও তিনি আর্থিকভাবে তৎকালীন কতিপয় লোভী রাজনৈতিক নেতা কেনা ছাড়া খুব একটা দুর্নীতির বদনাম কামাই করেননি, কিন্তু খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসে জিয়ার ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জিকে কোন জাদুবিদ্যার বলে হাজার হাজার কোটি টাকায় রূপান্তরিত করেছেনÑ তা বাংলাদেশের মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে।
খালেদা জিয়ার দুটি পুত্র সন্তান দুর্বৃত্তপনায় এদেশের মানুষের কাছে মডেল হয়ে আছে। কোকো ১, ২, ৩, ৪ জাহাজ, খাম্বা তৈরি, ড্যান্ডি ডাইং, হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন শুধু খালেদা জিয়ার সন্তানদেরই কলঙ্কিত করেনি, সেই কালিমা খালেদা জিয়ার মুখেও কিছুটা লেগেছে। জিয়া দম্পতির হিতাহিত জ্ঞানশূন্য পুত্রদ্বয়ের পাহাড়সমান লোভ ও পাপ আজ কান্নার ঝরনা হয়ে বের হচ্ছে খালেদা জিয়ার চোখ দিয়ে।
বলতে কোনো দ্বিধা নেই খালেদা জিয়া একদা সাধারণ গৃহবধূ ছিলেন। এই সামান্য পরিচয়টুকুই তার নিয়তি ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর ¯েœহের স্পশর্ দিয়ে খালেদা জিয়াকে ধন্য করেছিলেন। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই জানেন আজ তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা তার পক্ষে কোনোদিনই সম্ভব হতো না, যদি জেনারেল জিয়ার হাতে তাকে মুক্তিযুদ্ধের পরে বঙ্গবন্ধু কন্যাজ্ঞানে তুলে না দিতেন। অথচ কি আশ্চর্য! আজ তিনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কল্পিত জন্মদিনের কেক কেটে শুধু নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ কনেনি, রীতিমতো কৃতঘœ বলে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতাই নন, এক অর্থে তিনি খালেদা জিয়ারও পিতৃসম। পিতাকে সম্মান করলে সন্তানের সম্মান বাড়ে। পিতার অপমানে সন্তানও অপমানিত হয়। এই সাধারণ কথাটি খালেদা জিয়ার স্মরণ রাখা উচিত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস যারা জানেন, তারা নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়া সরকার অবৈধ ছিল। এই অবৈধ জিয়া সরকার সারাদেশে সৃষ্টি করেন এক দুর্বিষহ আতঙ্ক, তার সীমাহীন নির্যাতনে জেলখানা ভরে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দ্বারা। কেউ কেউ চলে যান আন্ডার গ্রাউন্ডে। আন্ডার গ্রাউন্ডেও যখন সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়, তখন তারা বাধ্য হয় হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে। জিয়ার শাসনামলে প্রতি রাতে কারফিউ থাকতো। তথাকথিত ক্যু-এর দোহাই দিয়ে শত শত সেনা সদস্য হত্যা করা হয়। জনজীবন ছিল চরম অনিরাপত্তার ভেতর। খালেদা জিয়ার শাসনামল জিয়ার শাসনামলের চেয়ে কোনোক্রমেই কম ভয়ঙ্কর ছিল না। তিনি ও তার পুত্র তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য হাত মিলান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী উগ্রধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে। ২১ আগস্ট বোমা হামলা বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ঘটনা। এই ঘটনার ছক কষা হয়েছিল হাওয়া ভবনে বসে। ২১ আগস্ট ট্র্যাজেডির যারা নায়ক ছিল সেই মুফতি হান্নান গংদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য খালেদা জিয়ার প্রশাসন তৎপর ছিল। সেদিন যদি শেখ হাসিনা ও তার দলের প্রজ্ঞ নেতাকর্মীরা সকলেই নিহত হতেন আজ বাংলাদেশের অবস্থা ছিন্ন রকম হতো। খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে সুখের হাসি হাসতে অথচ বিধি বাম হলেন। তিনি এখন চেষ্টা করেও হাসতে পারছেন না। কান্নাই এখন তার সব সময়ের সঙ্গী। খালেদা জিয়ার কান্নার জন্য তিনি ও তার অর্বাচীন পুত্রদ্বয়ই দায়ী। একটি প্রবাদ আছেÑ ‘যত হাসি তত কান্না বলে গেছেন রাম শর্মা।’ খালেদা জিয়ার জীবনে এই অমর প্রবাদ সর্বাংশে সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিএনপির জন্ম হয়েছিল সেনানিবাসে। এই পার্টি মূলত রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, চীনাপন্থী-ন্যাপ, সুবিধাবাদীদের নিয়ে গঠিত ওরস্যালাইন পার্টি। বিএনপি যে একটি নেতৃত্বহীন, স্বার্থলোভীদের দল এ কথা খালেদা জিয়া আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কোথয় আজ তার হারিস চৌধুরী? খাম্বা মামুনও হারিয়ে গেছে চোরা পথের বাঁকে। খালেদা জিয়া ডাক দিলে আজ তার সবচেয়ে কাছের নেতাও আসতে রাজি হন না বা রাজি হলেও আমতা-আমতা করে রাজি হন। এটা কি প্রমাণ করে? প্রমাণ করে যে, বিএনপি নেতারা আদর্শে উদ্বুদ্ধ নয়, উদ্বুদ্ধ হয় ক্ষমতার লোভে, এটা যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই খুব মারাত্মক ব্যাপার।
আজকের বাংলাদেশ আর ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ মোটেই এক জিনিস নয়। দুই সময়ের বাংলাদেশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। খালেদা জিয়া এখনো স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় চলবে। এদেশে বারবার সামরিক সরকার আসবে। উগ্র মৌলবাদ কায়েম হবে, ভূলুণ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ। কিন্তু তিনি জানেন না বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনোই পাকিস্তানিদের কূটকৌশলের বীজ অঙ্কুরিত হবে না। খালেদা জিয়া যতই দেশবিরোধী চক্রান্ত করুক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান যতই তিনি সাফাই গান আর তাদের মন্ত্রী বানান না কেন কিছুতেই এখন তিনি শেষ রক্ষা করতে পারবেন না। তার সুন্দর মুখের আড়ালে কি যে একটা কুৎসিত মুখোশ আছে সেটা যারা না দেখেছে তারা কোনোদিনই বুঝতে পারবে না, খালেদা জিয়া আসলেই কত হিং¯্র আর ভয়ঙ্কর নারী। তিনি পারেন না, তার পুত্র তারেক রহমান পারেন নাÑ এমন কোনো কাজ পৃথিবীতে নেই। আজ তার একপুত্র দুর্নীতি ও অপকর্মের দায়ে দেশ ছাড়া, আরেক জন ড্রাগস খেয়ে খেয়ে পরলোকগত, দলীয় নেতাকর্মীরা দলছুট। দলও অপ্রতিরোধ্য ভাঙনের মুখেÑ এসব থেকে খালেদা জিয়া যদি এখনো শিক্ষা না নেনÑ তাহলে তার চোখের জল আর কখনো ফুরাবে বলে অন্তত আমার মনে হয় ন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অলি আহাদ-এর মতো লোক তারেক জিয়ার কারণে হেনস্থা ও অপমানিত হয়ে বিএনপি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ব্রেখট-এর নাটকের ঘোড়ার মত জিয়া ছিলেন বন্দুক কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সেনা সর্দার। বন্দুকই ছিল তার বল। বন্দুক ছাড়া দেশ চালানো তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। খালেদা জিয়াও জনতার সমর্থনের চেয়ে বন্দুকের শক্তিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তিনি ক্যান্টনমেন্টে বসে দেশ শাসন করেছেন। বন্দুক খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে পারেনি, দুর্নীতি করে উপার্জিত অর্থও তার কোনো কাজে আসেনি। সবাই এখন বলাবলি করছে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ফেরার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। যে প্রকারেই হোক ক্ষমতা তার চাই-ই চাই। খালেদা জিয়া যদি ক্ষমতা সত্যি সত্যিই চানÑ তাহলে তার উচিত কান্না না করে কৌশল উদ্ভাবন করা। এমন কৌশলÑ যা বাংলাদেশের মানুষ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে। রাজাকারের সঙ্গ তার পরিত্যাগ করা উচিত। জনতার সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত পূর্বে কৃত অপরাধ ও দুর্নীতির জন্য। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে পাকিস্তানের স্বার্থ উদ্ধার করতে তিনি আদাজল খেয়ে নেমেছেন। তার এই মনোবৃত্তিও পরিহার করা দরকার। সর্বোপরি পুরাতন পলিসি বিসর্জন দিয়ে নতুন চিন্তা, নতুন দেশপ্রেম নিয়ে তাকে এগিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু চোরা কি ধর্মের কাহিনী শুনবে! নির্বাচনীকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকারের কথা তিনি আজ বলছেন কোন্ মুখে। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা ভুলে গেছেন! শিশু আর পাগল ছাড়া নির্দলীয় কেউ ননÑ এসব তারই কথা।
এরশাদবিরোধী তিন জোট গঠনকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আবদুর রাজ্জাকসহ আমার তিনবার বৈঠক করার সুযোগ হয়েছিল। প্রথমবার জেনারেল মাজেদুল হকের বাসায়, তারপর পরিবাগে এক নেত্রীর বাসায় এবং ধানমন্ডির চার নম্বর সড়কে এক নেতার বাসায়। প্রথমবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে শাহীনা খান, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার খালেদা জিয়ার সঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল তিনি একজন স্বশিক্ষিত নারী। তিনি অনেক কিছুই বুঝেন, তবে নিজের লাভ একটু বেশি বেশি বুঝেন। আজ অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন দারুণ শূন্যতা চলছে, কোনো বিরোধী দল নেই, প্রতিবাদ করার কেউ নেই, দেশের এ অবস্থা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। যারা মনে করেন, বিরোধী দল মানে সংসদ বর্জন, হরতাল-অবরোধ পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস, নির্বিচারে মানুষ হত্যাÑ আজ তাদের উপলব্ধি করার সময় এসেছে তাদের সেই পলিসি জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
খালেদা জিয়ার জীবনটাই নাটকীয়তায় ভরা। একের পর এক নাটক জন্ম দেওয়াই তার প্রধান কাজ। কখনো তিনি ট্র্যাজেডির জন্ম দেন, কখনো তৈরি করেন মেলোড্রামার দুর্বল চিত্রনাট্য। তার আমলে অসংখ্যবার শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও জজ মিয়া নাটককে আমরা ট্র্যাজেডি বলেই আখ্যা দিতে পারি। তদ্রƒপ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়া রূপ নিয়েছে মেলোড্রামায়। তিনি শনিবারে ঢাকা থেকে সড়কপথে যাত্রা করে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছান সোমবার। পথের মাঝখানে আবার একটু ভাঁড়ামোও দেখালেন দলীয় নেতাকর্মী দ্বারা। পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা করিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন। ওই নেতা যাকে দিয়ে এই হামলা করিয়েছেন তিনি একজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী। ম্যাডামের গাড়িতে ঢিঁল না মেরে সাংবাদিকের গাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডা. শাহাদাৎ। ঘটেছেও তাই। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা হলো, অথচ খালেদা জিয়ার গায়ে একটা টোকাও পড়ল নাÑ এটা কি সম্ভব? খালেদা জিয়া ভাগ্যবান নারী। যত ঝড়ই এসেছে কখনোই তার গায়ে ফুলের টোকাটিও লাগেনি। অথচ অন্য নেত্রী শেখ হাসিনার জীবন গ্রেনেড-বোমা-ষড়যন্ত্রের ভেতর দিয়েই প্রতিমুহূর্তে বয়ে চলেছে।
একটু মনোযোগ দিয়ে শুনুন বেগম খালেদা জিয়াÑ ‘ফাঁকি দিয়ে, চালাকি করে জগতে মহৎ ও বৃহৎ কাজ করা যায় না।’ জীবন নাটকের কুটিল দৃশ্যগুলো বাদ দিয়ে এবার বিবেকচরিত্রে আবির্ভূত হোন। নাটকীয়তা, ষড়যন্ত্র, লোক দেখানো মায়া কান্নাÑ এসব বাদ দিয়ে মানুষের কথা বলুন, সহজ ও সরল পথে চলুন। এখনও যদি খালেদা জিয়ার শুভবুদ্ধি উদয় না হয়, এখনও যদি তিনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝে উদার গণতন্ত্রের পথে না হাঁটার চেষ্টা করেন, তাহলে বিপদ তার আরো বাড়বে। জল জমে জমে তার চোখ দুটো হয়ে উঠবে দুঃখের দিঘি। সময় থাকতেই তিনি এখন সাবধান হবেনÑ এমনটাই তার কাছে প্রত্যাশা।
৩১ অক্টোবর, ২০১৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 4 5 6 12
May 9th, 2018

রবীন্দ্রনাথ, বাংলা ও বাঙালি-সংস্কৃতি

সুসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছিলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ আর সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে/ ভাগ হয় নি কো নজরুল।’ প্রথিতযশা সাহিত্যিক […]

April 30th, 2018

মে দিবসের চেতনাই শ্রমিকের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ

আজ মহান মে-দিবস। শ্রমিকশ্রেণির ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন। চিরদিনই শ্রমজীবী মানুষেরা শোষিত, বঞ্চিত এখনও তাদের শোষণ-বঞ্চনার কাহিনী শেষ হয়নি। পৃথিবী এগিয়ে […]

April 16th, 2018

কোটা-বিরোধী আন্দোলন, শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও ভবিষ্যৎ-প্রত্যাশা

সম্প্রতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সমগ্র বাংলাদেশ। কোটা-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সকল জেলায় ও শিক্ষাঙ্গনে। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল […]

April 16th, 2018

মুজিবনগর সরকার ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

২৬ মার্চ, ১৯৭১ সন্ধ্যে ৭-৪০ মিনিটে বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয়। বিপ্লবী […]

April 7th, 2018

ধ্বংস নয়, সৃষ্টির দিকে যাত্রা করুক পৃথিবী

পৃথিবী এখন নানা কারণেই উত্তপ্ত। দেশে দেশে হানাহানি, রক্তপাত, মৌলবাদী-গোষ্ঠীর নির্বিচার নরহত্যা-পৃথিবীকে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। একবিংশ শতাব্দীর এই উৎকর্ষের […]

March 2nd, 2018

পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, আসুন আমরাও বদলাই

পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানুষ তার একমাত্র বাসস্থল পৃথিবীকে নিজের প্রয়োজনেই বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো […]

February 24th, 2018

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে

রাজনৈতিক নেতাদের কারাবরণ মোটেই অবাস্তব কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে এমন উদাহরণ হাজার হাজার আছে। মহাত্মা গান্ধি, জওহের লাল […]

February 24th, 2018

প্রিয়তম বাংলা ভাষা চিরজীবী হোক

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। রাজপথে বলি দিয়েছি অনেক তাজা প্রাণ। বুকের রক্ত ঢেলে পৃথিবীর আর […]

February 24th, 2018

প্রিয়তম বাংলা ভাষা চিরজীবী হোক

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। রাজপথে বলি দিয়েছি অনেক তাজা প্রাণ। বুকের রক্ত ঢেলে পৃথিবীর আর […]

February 24th, 2018

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে

রাজনৈতিক নেতাদের কারাবরণ মোটেই অবাস্তব কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে এমন উদাহরণ হাজার হাজার আছে। মহাত্মা গান্ধি, জওহের লাল […]