List

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবের ক্ষমা ও ঔদার্য

মোনায়েম সরকার
যুগ যুগ বাংলাদেশ পরাধীন ছিল। এই পরাধীন বাংলাকে যে মানুষ তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জন্মেছিলেন একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নাগরিক জীবনের কোনো আদর্শই ছিল না তার সামনে, তবু তিনি নগরে এসে সব মানুষের নেতা হয়েছিলেন। কি কলকাতা, কি ঢাকাÑ শেখ মুজিব সবখানেই নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন। নেতৃত্বের এক সহজাত স্বভাব নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। তাই যেখানেই পা ফেলেছেন সেখানকার মানুষই তাকে নেতা বলে এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু অসম সাহসী মানুষ ছিলেন। এই সাহসের উৎস যদি আমরা খুঁজতে যাইÑ তাহলে দেখা যাবে মানবপ্রেম আর দেশপ্রেমই মূলত বঙ্গবন্ধুকে সাহসী হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। মানবতার অবমাননা হচ্ছে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এরকম ঘটনা চোখে পড়লেই শেখ মুজিব বিদ্রোহ করে বসতেন। তার সামনে কে, কার কাছে তিনি অধিকারের কথা বলছেন তা ভাবার অবসর ছিল না তার। তিনি অবলীলায় সমস্যার কথা উত্থাপন করে সমাধানের পথ তৈরিতে উৎসাহী হতেন।
শেখ মুজিব তার কৈশোরে যখন স্কুলের ছাদ মেরামত করার জন্য তৎকালীন দুই বরেণ্য রাজনীতিক শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে দাবি জানান, কিশোর মুজিবের দাবি তখন তারা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছিলেন। আজকের দিনের শিশু-কিশোররা এসব কথা ভাবতেও পারবে না সেদিন কিশোর মুজিব কি কি কর্মকা- করেছিলেন। বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দান করে, অন্নহীনকে অন্নের ব্যবস্থা করে, সহপাঠীর সমস্যাকে আন্তরিকভাবে সমাধান করে দিয়ে কিশোর মুজিব যে দৃষ্টান্ত গড়েছেন তার কৈশোরে এ রকম দৃষ্টান্ত খুব কম মানুষের পক্ষেই স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে। শেখ মুজিবের দেশপ্রেম সীমাহীন ছিল। দেশের প্রশ্নে তিনি কখনোই কারো সঙ্গে আপস করেননি। দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও কল্যাণচিন্তা তাকে সব সময় তাড়িত করতোÑ অবশেষে দেশের জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশপ্রেমের চূড়ান্ত নজির রেখে যান বাঙালির সামনে। ভীরু বাঙালিকে সাহসী করে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যেদিন বাঙালি শেখ মুজিবের কাছ থেকে সাহসের পাঠ আত্মস্থ করেছে সেদিন থেকেই বাঙালি মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছে। শেখ মুজিব ছিলেন সাহসী নেতা, তিনি ছিলেন অভ্রভেদী আলোকস্তম্ভ। তার চিন্তা-চেতনার দ্যুতিময়তায় বিস্মিত হতো নাÑ এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
শেখ মুজিবের চরিত্রে অনেক উত্তম বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ দেখা যায়। তবে তার ক্ষমা এবং ঔদার্য তুলনাহীন। তার ক্ষমার কাছে, ঔদার্যের কাছে গিয়ে দাঁড়ালে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। একটি মানুষ কি করে এতটা ক্ষমাশীল আর উদার হতে পারেন যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেননি তাদেরকে এগুলো বুঝিয়ে বলা অসম্ভব। পৃথিবীর অনেক নেতা আছেন ইতিহাসে যাদের স্থান হয়েছে লৌহ মানব বা কঠিন শাসক হিসেবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বৈশিষ্ট্য একেবারেই ভিন্ন। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা হয়েও ক্ষমা, দয়া, ঔদার্যের যে মহান কীর্তি গড়ে রেখে গেছেন বাংলার ইতিহাস তথা মহাকালের ইতিহাসে তার এই অসামান্য কীর্তিগাথা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে যত বড় ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তত বড় ছিলেন না। এ কথাটিকে আমি সম্পূর্ণভাবেই প্রত্যাখ্যান করি। নেতা বঙ্গবন্ধু যতটা মহান ছিলেন, রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু ছিলেন তারচেয়েও অনেক বেশি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও পরিপক্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি সেনাদের বিচার করতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করার কথা দৃঢ়ভাবেই ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আমলের বিভিন্ন গোপন নথি ঘাটলে এ কথার প্রমাণ পাওয়া যাবে। কিন্তু কেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের বিচার করে যাননি তার কিছু ঐতিহাসিক কারণ ছিল। সেই কারণগুলোর মধ্যে ছিলÑ ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তির বিষয়াবলি, পাকিস্তানে আটকা পড়া বাঙালি সেনাসদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপ্রেক্ষিত। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন যেকোনো পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সিমলা চুক্তির ফলে ভারত-পাকিস্তানের সহাবস্থানে যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বঙ্গবন্ধু যদি সে সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতেন তাহলে সেই চুক্তির পরিস্থিতি বদলে যেত। শুধু সিমলা চুক্তিই নয়Ñ পাকিস্তানে আটকা পড়া হাজার হাজার বাঙালি সেনাসদস্যের জীবনও পড়তো ঝুঁকির মুখে। তাই বঙ্গবন্ধু তড়িঘড়ি করে লোক দেখানো কোনো বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাননি। তিনি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনুকূলে এনে তারপর বিচার প্রক্রিয়ায় হাত দিতে চেয়েছিলেন। একটি কথা মনে রাখা দরকার, একটি সদ্য স্বাধীন দেশের সামনে হাজার হাজার সমস্যা এসে ভিড় করে দাঁড়ায়। সেখানে যেমন বিচারিক সমস্যা থাকে, তেমনি থাকে মানুষের মৌলিক অধিকার যথাযথভাবে পূরণ করার প্রশ্ন। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই মনোনিবেশ করেছিলেন মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের দিকে। বাংলার মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আরেকটি কথাও মনে রাখা দরকার, পাকিস্তান সেদিন বারবার বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেনÑ পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের বিচার পাকিস্তানিরাই করতে চায়Ñ বঙ্গবন্ধু সেই কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, বঙ্গবন্ধু সে কথা জানতেনÑ তাই তিনি কখনোই মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারাতে চাননি। মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা তিনি বুকের রক্ত দিয়েই রক্ষা করে গেছেন।
১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণদান কালে বঙ্গবন্ধু বেশ কিছু মূল্যবান কথা বলেছিলেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণে বলেছিলেনÑ ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অঙ্গীকার প্রমাণের জন্য উপমহাদেশে আপস মীমাংসার পদ্ধতিকে আমরা জোরদার করিয়াছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের অভ্যুদয় বস্তুতপক্ষে এই উপমহাদেশে শান্তি কাঠামো এবং স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অবদান সৃষ্টি করিবে। ইহা ছাড়া আমাদের জনগণের মঙ্গলের স্বার্থেই অতীতের সংঘর্ষ ও বিরোধিতার পরিবর্তে মৈত্রী ও সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের সাথে শুধুমাত্র সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কই প্রতিষ্ঠা করি নাই, অতীতের সমস্ত গ্লানি ভুলিয়া গিয়া পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক করিয়া নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করিয়াছি। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য আমরা কোনো উদ্যোগ বাদ দেই নাই এবং সবশেষে ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দীকে ক্ষমা প্রদর্শন করিয়া আমরা চূড়ান্ত অবদান রাখিয়াছি। ঐ সকল যুদ্ধবন্দী মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ মারাত্মক অপরাধ করিয়াছে। ইহা হইতেছে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ও উপমহাদেশে ভবিষ্যৎ শান্তি ও স্থায়িত্ব গড়িয়া তোলার পথে আমাদের অবদান। এই কাজ করিতে গিয়া আমরা কোনো পূর্বশর্ত আরোপ অথবা কোনো দরকষাকষি করি নাই। আমরা কেবলমাত্র আমাদের জনগণের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের কল্পনায় প্রভাবিত হইয়াছি।’ জাতিসংঘের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু আরো বলেছিলেন : ‘আজ দুনিয়া দু’ভাগে বিভক্তÑ শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’ (মোনায়েম সরকার [সম্পাদিত] : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জীবন ও রাজনীতি, প্রথম মুদ্রণ, ২০০৮, বাংলা একাডেমি, প্রথম পুনর্মুদ্রণ, মে ২০১৪, দ্বিতীয় খ-, পৃ-৮৯৫)।
বঙ্গবন্ধু কখনোই তার রাজনৈতিক জীবনে সংঘাত চাননি। কখনোই তিনি মানবতার অবমাননা সহ্য করেননি। নিজের ক্ষতি মেনে নিয়েও তিনি চিরদিন অন্যের সুখের জন্য আত্মোৎসর্গ করে গেছেন। তা নাহলে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব বাঙালি সেনাসদস্য আটকা পড়েছিলেন পাকিস্তানে সেই সেনাসদস্যদের জন্য তিনি এতটা ত্যাগ স্বীকার করতেন না। ভারত বার বার বঙ্গবন্ধুকে যুদ্ধবন্দীদের বিষয়ে দরকষাকষি করতে বলেছিলেন, কিন্তু ভারতের সেই কথায় বঙ্গবন্ধু খুব একটা কান দেননি। তিনি উতলা হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানে আটকা পড়া বাঙালি সন্তানদের জন্য। তিনি যে শুধু পাকিস্তানে বন্দী সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনলেন তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু তাদের চাকরিতে বহাল রাখলেন। যুদ্ধবন্দী সেনাসদস্যদের সাধারণত চাকরিতে বহাল রাখার তেমন কোনো নজির নেইÑ অথচ বঙ্গবন্ধু তার সীমাহীন ঔদার্যের কারণে সেই কাজটি করলেন অবলীলায়। অথচ কি আশ্চর্যÑ যাদের তিনি সন্তান ভেবে চাকরিতে বহাল রাখলেন, জীবন-জীবিকার সুব্যবস্থা করলেনÑ তারাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে। তারাই তাকে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে হত্যা করল নির্মমভাবে।
পাকিস্তানি স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে ‘ট্রেইটর’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘ঞযরং ঃরসব গঁলরন রিষষ হড়ঃ মড় ঁহঢ়ঁহরংযবফ’ ইয়াহিয়ার এই কথায় দুটো বিষয় স্পষ্ট বোঝা যায়Ñ বাংলার স্বাধীনতাকামী আপসহীন বঙ্গবন্ধুই ছিলেন পাকিস্তানিদের একমাত্র শত্রু এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ব্যাপারে পাকিস্তানিরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাকিস্তানি নির্মম সরকার যা করতে সাহস করেনিÑ তা-ই করল বাংলাদেশের পাকিস্তান ফেরত সেনাসদস্যরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে। সাংবাদিক বরার্ট ফ্রস্ট একবার বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেনÑ আপনার সবচেয়ে ভালো গুণ কী? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনÑ আমি বাঙালিকে ভালোবাসি। রবার্ট ফ্রস্ট তাকে পুনরায় প্রশ্ন করেনÑ আপনার খারাপ গুণ কী? উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনÑ বাঙালিকে আমি বেশি ভালোবাসি। বাঙালিকে বেশি ভালোবাসাই কাল হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। আমার একটি কবিতায় লিখেছিলামÑ
“ঘরে ঘরে হানাহানি চলে স্বার্থলয়ে,
তোমারে হলো না জানা সত্য পরিচয়ে।
এ কি হলো মুজিবর। তোমার সন্তানÑ
তাহাই করিল? যা করেনি পাকিস্তান!”
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে ছিল দেশি-বিদেশি কিছু স্বার্থপর মানুষের ঘৃণ্য স্বার্থপরতা। বঙ্গবন্ধু যাদেরকে ক্ষমা করেছিলেন, ঔদার্য দেখিয়েছিলেন, তারাই উন্মত্ত হয়ে বুলেট চালিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর বুকে। পনেরো আগস্টের ঘাতকরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আওয়ামী লীগের নিশানা মুছে ফেলার জন্য। বাংলার জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ঘাতকদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকারের উচিত হবে বাংলার ঘরে ঘরে মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হওয়া এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা। বঙ্গবন্ধু একটি কথা বারবার বলতেন, ‘বুকের রক্ত দিয়ে হলেও বাঙালির ভালোবাসার ঋণ আমি শোধ করে যাবো ইনশাল্লাহ।’ বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন, তিনি বুকের রক্ত দিয়েই বাঙালির ভালোবাসার ঋণ শোধ করে গেছেন। এবার আমরা যারা বাঙালি আছি তাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আত্মত্যাগের ঋণ শোধ করে যাওয়া। আসুন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করে বঙ্গবন্ধুর কিঞ্চিৎ ঋণ শোধ করার প্রয়াস গ্রহণ করি।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
১২ মার্চ, ২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 4 5 6 12
May 9th, 2018

রবীন্দ্রনাথ, বাংলা ও বাঙালি-সংস্কৃতি

সুসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছিলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ আর সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে/ ভাগ হয় নি কো নজরুল।’ প্রথিতযশা সাহিত্যিক […]

April 30th, 2018

মে দিবসের চেতনাই শ্রমিকের অধিকার আদায়ের রক্ষাকবচ

আজ মহান মে-দিবস। শ্রমিকশ্রেণির ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন। চিরদিনই শ্রমজীবী মানুষেরা শোষিত, বঞ্চিত এখনও তাদের শোষণ-বঞ্চনার কাহিনী শেষ হয়নি। পৃথিবী এগিয়ে […]

April 16th, 2018

কোটা-বিরোধী আন্দোলন, শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও ভবিষ্যৎ-প্রত্যাশা

সম্প্রতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সমগ্র বাংলাদেশ। কোটা-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সকল জেলায় ও শিক্ষাঙ্গনে। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল […]

April 16th, 2018

মুজিবনগর সরকার ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

২৬ মার্চ, ১৯৭১ সন্ধ্যে ৭-৪০ মিনিটে বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয়। বিপ্লবী […]

April 7th, 2018

ধ্বংস নয়, সৃষ্টির দিকে যাত্রা করুক পৃথিবী

পৃথিবী এখন নানা কারণেই উত্তপ্ত। দেশে দেশে হানাহানি, রক্তপাত, মৌলবাদী-গোষ্ঠীর নির্বিচার নরহত্যা-পৃথিবীকে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। একবিংশ শতাব্দীর এই উৎকর্ষের […]

March 2nd, 2018

পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, আসুন আমরাও বদলাই

পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানুষ তার একমাত্র বাসস্থল পৃথিবীকে নিজের প্রয়োজনেই বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো […]

February 24th, 2018

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে

রাজনৈতিক নেতাদের কারাবরণ মোটেই অবাস্তব কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে এমন উদাহরণ হাজার হাজার আছে। মহাত্মা গান্ধি, জওহের লাল […]

February 24th, 2018

প্রিয়তম বাংলা ভাষা চিরজীবী হোক

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। রাজপথে বলি দিয়েছি অনেক তাজা প্রাণ। বুকের রক্ত ঢেলে পৃথিবীর আর […]

February 24th, 2018

প্রিয়তম বাংলা ভাষা চিরজীবী হোক

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। রাজপথে বলি দিয়েছি অনেক তাজা প্রাণ। বুকের রক্ত ঢেলে পৃথিবীর আর […]

February 24th, 2018

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে

রাজনৈতিক নেতাদের কারাবরণ মোটেই অবাস্তব কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর দেশে দেশে এমন উদাহরণ হাজার হাজার আছে। মহাত্মা গান্ধি, জওহের লাল […]