List

সমাজতন্ত্রের রক্তাক্ত অতীত ও কাল্পনিক ভবিষ্যৎ

মোনায়েম সরকার

মানুষ শোষণ থেকে মুক্তি চায়। মুক্তি মানে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সব মানুষ সমান সুযোগ পাবে- সে কথাই বোঝানো হয়েছে। প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে পৃথিবীতে সুন্দর ও সুস্থভাবে বাঁচার। প্রতিটি মানুষ তার শ্রম অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সেবা পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এই কথা যত সহজে বলা যাচ্ছে, আদিম সমাজে সেই কথা বলা মোটেই সহজ ছিল না। আদিম মানুষের জীবন-যাপন ছিল অনিশ্চিত। সেখানে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে বন্যমানুষের সম্পর্ক ও বন্য পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলা খুব সহজ কথা ছিল না, এরপর ধীরে ধীরে মানুষ যখন একের পর এক সমস্যায় পড়তে লাগলো তখন মানুষ সেসব সমস্যার সমাধানের জন্য চিন্তা করতে লাগলো, ফলে মগজ-মননের বিকাশ লাভ করলো। এই চিন্তার ফলে আদিম মানুষ যাত্রা করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। আজও মানুষের সেই সমাজ বিকাশের ধারায় সামনে চলার গতি থেমে নেই। মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মেই আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক বিশ্বাস ও সনাতনী প্রথাগতভাবে চলতে অভ্যস্ত। কেননা গতিতেই জীবন। থেমে যাওয়া মানেই পিছিয়ে যাওয়া। মানুষ পেছনে যেতে চায় না। সে সামনে এগুতে চায়। সামনে এগিয়ে যাওয়াই মানুষের স্বপ্ন ও লক্ষ্য। নব নব আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশের ফলে মানুষ একের পর এক অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে।

মানুষ কিভাবে সামনে এগোয় এ নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী নানারকম তত্ত্ব বা ধারণা সূত্রবদ্ধ করেছেন। বিভিন্ন দার্শনিকের তত্ত্ব বিভিন্ন মতাদর্শে পুষ্ট। এসব তত্ত্বের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী দার্শনিকদের তত্ত্ব সারা দুনিয়ায় বেশ হৈ চৈ ফেলে দেয়। ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ এই হৈ চৈ আরো উস্কে দেয়। কার্ল মার্কস ও ফ্লেডেরিক এঙ্গেলস যৌথভাবে ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ প্রণয়ন করেন তাদের দর্শন ও সমাজবিশ্লেষণের অভিজ্ঞতার আলোকে। পরে এই তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দেন- লেনিন, মাও সে তুঙের মতো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা। মার্কস-এঙ্গেলের তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে দেশে দেশে শুরু হয় অধিকারবঞ্চিত মানুষের লড়াই। এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন সমাজের উচ্চশিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের মেধাবী   সন্তানেরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সংগ্রামের নাম হয় সর্বহারা মানুষের সংগ্রাম। অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক জনযুদ্ধ।

সমাজতন্ত্রীরা প্রত্যাশা করে শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবে। এর কারণ সম্ভবত এটাই যে, পৃথিবীতে শ্রমিক শ্রেণিই সবচেয়ে বেশি বঞ্চত ও নিপীড়িত। তাই নিপীড়িত মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে, তখন তাদের বিজয় গৌরব কেউ রোধ করতে পারবে না, আসল কথা হলো- শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে কোনো দেশে কোনো কালে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এখন পর্যন্ত সংঘটিত হয়নি, শ্রমিকেরা আন্দোলন সংগ্রাম করে তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করে বটে, কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার মতো আন্দোলন শ্রমিকেরা কখনোই করে না। ওটা নিয়ে শ্রমিকেরা মাথা খুব কমই ঘামায়। কারণ তারা ধরেই নিয়েছে রাজ্য চালাবে রাজা, শ্রমিক নয়। মজ্জাগত এই সংস্কার থেকে বেরিয়ে আসা যতটা না কঠিন তারচেয়েও কঠিন এটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।

১৯৬০-এর দশক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে দেখি চারদিকে সমাজতন্ত্রের জয়জয়কার। মানুষ দলে দলে দীক্ষিত হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে। মার্কসবাদ-লেনিন-মাওবাদ চর্চিত হচ্ছে সর্বত্র। আমরা তখন ধরে নিয়েছিলাম গোটা পৃথিবী এক সময় সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে পরিণত হয়ে যাবে। আমাদের চোখে অন্তত সেই স্বপ্নই খেলা করতো। কিন্তু   সত্তরের দশক যেতে না যেতেই আমাদের মোহভঙ্গ হয়। এর মধ্যে রাশিয়া ও চীন সফর করে হয় আরো তিক্ত অভিজ্ঞতা। রাশিয়ায় গিয়ে দেখি সমাজতন্ত্রের নামে সেখানে চলছে পার্টি একনায়কত্ব¡ ভোগবিলাসের মহোৎসব। চীনেও লক্ষ করলাম একই রকম প্রবণতা। মনের মধ্যে সন্দেহ বাসা বাঁধলো। জোর করে প্রতিষ্ঠিত সমাজতন্ত্র বেশি দিন টিকবে না। নব্বইতে এসে তাই প্রত্যক্ষ করলাম। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো। সারাবিশ্বে মুখ থুবড়ে পড়ল মহৎ আদর্শের সমাজতন্ত্র।

কাল মার্কস বলেছিলেন- ‘পৃথিবীর ইতিহাস মূলত শ্রেণিসংগ্রামের ইতিহাস’। শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস কথা পুরোপুরি সত্য নয়। পৃথিবীর ইতিহাস কখনোই শ্রেণিসংগ্রামের ইতিহাস নয়। পৃথিবীর ইতিহাস মূলত ক্ষমতা দখল ও বদলের ইতিহাস। ক্ষমতাই পৃথিবী পরিবর্তনের কারণ। কেননা মানুষ দেখেছে ক্ষমতা থাকলে অর্থ-বিত্ত, আরাম-ভোগ-বিলাসিতা সবকিছু করতলে থাকে। তাই ক্ষমতার কাছে যাওয়ার জন্য মানুষ চিরদিনই তৎপর থেকেছে। এই তৎপরতা আজো অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ নানা রকম লড়াই-সংগ্রাম করেছে। আদিম সাম্যবাদী সমাজ থেকে শুরু করে আধুনিক পুঁজিবাদী বিশ্বে যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে তা মূলত ক্ষমতা কুক্ষিগত করারই সংগ্রাম। একদল সুবিধাবঞ্চিত-নিপীড়ত মানুষ ভেবেছে তারা ধুকে ধুকে মরছে এবং তাদের এই মৃত্যুর কারণ ক্ষমতাশালীদের সীমাহীন প্রভাব। তাই ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্যই সুবিধাবঞ্চিতরা নানারকম ফন্দি-ফিকির করেছে এবং সেসব ফন্দি-ফিকিরের কেতাবি নামও প্রয়োগ করেছে। কিন্তু দেখা গেছে যারাই ক্ষমতার কাছে গিয়েছে তারাই দস্যু, ডাকাত ও দুর্বৃত্ত হয়ে উঠেছে। তাই তাদের হটানোর জন্য আবার শুরু হয়েছে নতুন লড়াই। ভিন্ন পরিস্থিতিতে, ভিন্ন নামে। ÔEvery property is a legalized crime. Every fortune has a crime behind it.Õ

সমাজতন্ত্রের থিওরিটা শুনতে এবং পড়তে বেশ ভালো লাগলেও তা আসলে বাস্তবায়ন অসম্ভব। হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে বিশ্বে দেশে দেশে সমাজতন্ত্রের নামে যা কিছু হয়েছে বা হচ্ছে সেগুলো কি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাদের যেতে হবে অতীত ইতিহাসের অনেকটা পথ দূরে। দূর থেকে কথা বলা শুরু না করলে এর ত্র“টি বিচ্যুতি ধরা পড়বে না।

ÔFrom each according to ability, to each according to his needs.Õ Marx-এর তত্ত্ব। আকাশ-কুসুম কল্পনা কাব্যেই সম্ভব, বাস্তবে নয়। সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ আকাশ-কুসুম কল্পনা না করলেও এমন সব তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেছে যা শুনতে ভালো লাগলেও পরিণামে কার্যকর করা এক অর্থে অসম্ভব। কার্লস মার্কসের তত্ত্ব অনুযায়ী ভ.ই. লেনিন কৃষিপ্রধান রাশিয়ায় অক্টোবর বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় রূপ খাড়া করে। নতুন আঙ্গিকে রাশিয়াকে ঢেলে সাজানোর জন্য শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড়। বুকে বুকে লেনিনের মনোগ্রাম, মুখে মুখে উচ্চারিত লেনিনের নাম। কিন্তু কয়েক দশক যেতে না যেতেই মানুষের সামনে বেরিয়ে এলো সমাজতন্ত্রের থলের বেড়াল। দেশে দেখা দিল সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা, অনাহার ও দুর্ভিক্ষ। দুই কোটি মানুষ গৃহযুদ্ধে মারা গেল রাশিয়ায়, পৃথিবীর মানুষ দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের দেখাদেখি চৈনিক নেতা মাও সে তুঙও শুরু করেন কমিউনিস্ট আন্দোলন। তিনি ১৯৪৯ সালে ন্যাশনালিস্ট পার্টিকে সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। কোটি কোটি কৃষকের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে ঐতিহাসিক লং মার্চের মাধ্যমে চীনে মাও সে তুঙের নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এক সময় ‘রেড বুক’ চীনের বহুল পঠিত গ্রন্থ ছিল এখন ‘রেড বুক’ আর কাউকে তেমন করে আকৃষ্ট করে না। চীনে মাও সে তুঙ বিরোধীদের তৎপরতা অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। এখন সেই তৎপরতা আরো ব্যাপক আকারে চীনের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। লেনিনের মতো মাও সে তুঙের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। লেনিন যেমন বলেছিলেন- ‘মানুষ খাবার টেবিলে সমাজতন্ত্রের বিচার করবে’ সত্যি বলতে কি রাশিয়া ও চীনের মানুষ এখন খাবার টেবিলে বসেই সমাজতন্ত্রের বিচার বিশ্লেষণ করছে। এটাই মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও মাওবাদের বর্তমান অবস্থা।

পৃথিবী নিজের নিয়মেই পরিবর্তনশীল। মানুষ সেই পরিবর্তন কিছুতেই রোধ করতে পারে না, একবিংশ শতাব্দীর মানুষ, চাঁদ-মঙ্গল-অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের পাশাপাশি মহাবিশ্বের অনেক কিছুই জয় করেছে। কিন্তু প্রকৃতিকে জয় করতে পারেনি। মানুষ ভূমিকম্প, সুনামি, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখনও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়নি। মানুষ চেষ্টা করছে এসব নিয়ন্ত্রণ করতে। কবে এসব তার করতল গত হবে তা ভবিষ্যতই জানে। প্রকৃতির হাতে মানুষ যেহেতু এখনো বিপর্যস্ত সেখানে সমাজতন্ত্রের তাত্ত্বিক স্বপ্ন পূরণের অবসর কোথায়?

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সমাজতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। বিগত শতাব্দীতে বিশ্ববাসী, সামন্তবাদ, পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের শোষণ-শাসনে নিষ্পেষিত হয়েছে। এখন পৃথিবী একটি নতুন আর্থসামাজিক সমাজ ব্যবস্থা প্রত্যাশা করছে। এই সামাজিক প্রেক্ষাপটের রূপ রেখা কি হবে তা এই মুহূর্তে বলা না গেলেও এটুকু নিশ্চিত করে বলা যায় মানুষকে দিয়ে আর যাই হোক সমাজতন্ত্র হবে না। সাম্যবাদের প্রশ্নতো আরো অনেক দূরের কথা। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে মানুষকে নির্লোভ ও তথাকথিত দেবতাদের মতো হতে হবে। মানুষের পক্ষে নির্লোভ হওয়া কি এতই সহজ?

একজন-দুজন মানুষ বিষয়-বাসনাহীন হতেই পারেন। কিন্তু একটি সমাজের সব মানুষ কামনা-বাসনাহীন হয়ে যাবে এটা ভাবা তো বোকার স্বর্গে বসবাস করার মতোই। সকল মানুষ সমান নয়, সকল মানুষ কখনোই সমান হতে পারে না। যোগ্যতার এবং অদক্ষতার পার্থক্য আছে বলেই সমাজ চলমান। যে সমাজে যোগ্যতা ও অদক্ষতার মূল্যমান এক হয়ে দেখা দেবে সে সমাজ আর যাদেরই হোক মানুষের কাম্য নয়।

মার্কসবাদীরা মনে করেন সমাজ হবে শ্রেণিহীন ও রাষ্ট্রহীন। আধুনিক যুগে এসে দেখতে পারছি উন্নত বিশ্ব রাষ্ট্রহীনতার প্রশ্নে আরো বেশি কঠোর হচ্ছে। সমাজে উচ্চ বিত্তের সঙ্গে তুমুল পার্থক্য তৈরি হচ্ছে নিম্নবিত্তের মানুষের। পৃথিবীর এক শতাংশ মানুষের হাতে যে সম্পদ আছে বাকি নিরানব্বই শতাংশ মানুষের হাতে আছে সেই পরিমাণ সম্পদ। তবু এই নিরানব্বই শতাংশ মানুষ এক শতাংশ মানুষের সঙ্গে পেরে উঠছে না।

সমাজতন্ত্রীরা বাস্তবতার আলোকে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে হয় না, তারা হয় চলে যায় অতীতেÑ নয়তো অনাগত ভবিষ্যতে। বর্তমানকে এরা সব সময় উত্তপ্ত রাখে বিপ্লবের রক্তাক্ত মন্ত্রে। একবিংশ শতকের এই তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে মানুষ প্রয়োজনে আধ্যাত্মিকতায় মগ্ন হতে চায় কিন্তু সমাজতন্ত্রের গালভরা বুলি শুনতে কেউ ভালোবাসে না।

আজকের সভ্য মানুষ সম অধিকারে আর বিশ্বাস রাখে না, তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ সুখীজীবন। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন পেলে, সার্বিক নিরাপত্তা পেলে ব্যক্তি মানুষের আর কোনো আকাক্সক্ষা থাকে না। মাথা গণনায় সব মানুষ সমান থিওরির চেয়ে যোগ্যতার প্রশ্নে সব মানুষ সমান হলে তবেই সমাজতন্ত্রের মঙ্গল হতো। কিন্তু সমাজতন্ত্র সে পথে হাঁটেনি। জোর করে কোনো কিছু করে প্রগতিকে রোধ করা যায় না। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে- বিশ্ব এগিয়ে যাবে, তবে নতুন বিশ্ব কোন্ পথে আসবে নতুন দিনের সমাজতাত্ত্বিকদের সেই কথাটাই ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে যুক্তিকেই মূল্য দিতে হবে। পৃথিবী অতীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের রক্তাক্ত ইতিহাস প্রত্যক্ষ করেছে, ভবিষ্যতে সমাজতন্ত্রের কাল্পনিক কাব্যকথা শুনতে রাজি নয়। পৃথিবীব্যাপী মানুষ আজ এক (Humane world order) মানবিক বিশ্বব্যবস্থা ও আইনের শাসন কামনা করছে।

১০ জুলাই, ২০১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 6 7 8 12
September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর হেনা ভাই : অভ্রভেদী আলোকস্তম্ভ

এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশের স্বনামধন্য পুরুষ। তার আসল নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। ডাক নাম ‘হেনা’। হেনা নামেই তিনি অধিক পরিচিত […]

August 26th, 2017

Globalization Terrorism & Corruption Changed our Planet Earth

For good or for ill, amongst all the current scientifically known solar planets of the universe, the earth is the […]

August 13th, 2017

Sheikh Mujib : A poet of Politics

Though Bangabandhu was the leader of a small and poor South Asian country, it is doubtful whether any contemporary leader […]

August 13th, 2017

শেখ মুজিব : মৃত্যুঞ্জয় ছায়াবৃক্ষ

বাংলার উর্বর মাটিতে যুগে যুগে অসংখ্য কীর্তিমানের আবির্ভাব ঘটেছে। এই সব প্রাতঃস্মরণীয় কীর্তিমানদের নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক […]

August 5th, 2017

পুঁজিবাদ ক্যান্সার-আক্রান্ত হয়ে পড়েছে

বর্তমান পৃথিবী হিংসা, দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ ও স্বার্থপরতায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই দেশে-দেশে ও মানুষে-মানুষে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত লেগেই আছে। মানুষের […]

July 15th, 2017

বদলে যাচ্ছে রাজনীতির ব্যাকরণ

মানুষ সমাজবদ্ধ রাজনীতিসচেতন জীব। জীবন-যাপনের জন্য মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হয়। তৈরি করতে হয় নানারকম প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র মানবরচিত সবচেয়ে বড় […]

June 23rd, 2017

সরকারের শুধু সমালোচনা নয়, ইতিবাচক সমাধান বলুন

ঢাকার বাইরে অবস্থান করে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় লিপ্ত এবং যাদের লেখা পত্রপত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় এদের মধ্যে সিলেটের ড. মুহাম্মদ […]

June 23rd, 2017

রাজনীতিতে পুতুল খেলা ও মৌ-দুধ খাওয়া আর কতদিন চলবে?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন পুতুল (খালেদা জিয়া) ও একজন মওদুদ (মৌ-দুধ) আহমদ বর্তমানে বেশ আলোচিত। এই আলোচনার কারণ অবৈধভাবে দখলে থাকা […]