List

আজ তেসরা নভেম্বর জাতীয় জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্মমভাবে শহিদ হয়েছিলেন জাতীয় চার নেতা। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম আজকের পত্র-পত্রিকায় মর্মন্তুদ জেলহত্যা দিবস নিয়ে খুব কমই লেখালেখি হয়েছে। আমাদের ফাউন্ডেশনে প্রতিদিনই প্রায় পঁচিশের ঊর্ধ্বে পত্রিকা রাখা হয়। এতগুলো পত্রিকার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ পত্রিকাই বিষয়টি উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় একদল বুদ্ধিজীবী আওয়ামী বিদ্বেষী ও ভারতবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করতেন। তারা এখনো সক্রিয় আছেন। তাদের সেই সক্রিয়তা বর্তমান প্রজন্মকেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই সুচতুর গোষ্ঠীবদ্ধ বুদ্ধিজীবীরা ’৭৫-পরবর্তী কালপর্ব থেকে বর্তমানেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে যাচ্ছেন। এ সকল জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীগণ বুঝতে পারছেন না, আওয়ামী বিদ্বেষী বা ভারত বিদ্বেষী হয়ে তারা মূলত বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চান। তারা এখনও প্রহর গুণছেন পাকিস্তানি মৌলবাদী ভাবধারায় বাংলাদেশ নিয়ে যেতে। কিন্তু আমার বিশ্বাস বাংলার মাটিতে তারা এ সুযোগ আর কোনোদিনই পাবেন না।
বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীগণ বাংলাদেশ জন্মের পূর্ব থেকেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যদি ধরে নিই বর্তমান বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের পূর্ব পুরুষ রাজা রামমোহন রায় কিংবা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো প্রতিভাবানেরা তাহলে এ কথা অবশ্যই বলতে হয়Ñ ভারতীয় উপমহাদেশের দুটি দুর্বিষহ অভিশাপ থেকে এরাই ভারতবর্ষের নারী সমাজকে রক্ষা করেছেন। সতীদাহ প্রথা আজকের সভ্য দুনিয়ায় কারো কাছেই পুণ্যের কাজ নয়, কিন্তু একদিন এই নির্মম সতীদাহ প্রথা রদ করতে রামমোহন রায়কে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছিল। ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত হলে হিন্দু বিধবা নারীরা যেন চিতাগ্নি থেকে নতুন জীবন পান। কিন্তু এই নতুন জীবন নিয়ে দেখা গেল আরেক রকম বিড়ম্বনা। বিধবারা জীবন পাচ্ছে বটে কিন্তু সেই জীবন উপভোগ করতে পারছে না। এগিয়ে এলেন জ্ঞান ও দয়ার সাগরÑ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি শাস্ত্র ঘেঁটে বিধবা বিবাহের আইন পাস করলেন। নিজের উপার্জিত অর্থ খরচ করে বিধবাদের বিবাহের আয়োজন করতে লাগলেন। ধীরে ধীরে প্রচলন হলো বিধবা বিবাহের। শুধু রামমোহন আর বিদ্যাসাগরই ননÑ ইয়াং বেঙ্গলদের বুদ্ধিবাদী আন্দোলনও সেদিন স্থবির, প্রথাবদ্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিল। এমন কি নারীশিক্ষা ও পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে বুদ্ধিবাদী আন্দোলন করে বেগম রোকেয়া স্মরণীয় হয়ে আছেন।
১৯২৬ সালে ঢাকায় যে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই সমাজের সভ্যরা ‘শিখা’ পত্রিকাকে ঘিরে যে বুদ্ধিবৃত্তিক নব আন্দোলন গড়ে তোলেন তার মূল্যও অপরিসীম ছিল। শিখা পত্রিকার সেই কথা এখনো আমার মনে আছেÑ ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ আজ আমাদের বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের দেখলে শিখা গোষ্ঠীর কথা ভীষণভাবে মনে পড়ে। অর্থাৎ আমাদের পূর্ববর্তী বুদ্ধিজীবীরা দেশ-জাতি-সমাজের অমঙ্গলজনক কোনো চিন্তাই মাথায় স্থান দিতেন না কিন্তু বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের একাংশ হীন গোষ্ঠীর স্বার্থ ছাড়া যেন অন্য কিছু ভাবতেই পারছেন না। এই যদি হয় আমাদের বুদ্ধিজীবীদের চরিত্র, তাহলে এদেশের স্বাধীনতা বলি আর উন্নয়নই বলি কিছুই টেকসই হবে না।
আমাদের দেশে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছেন তারা কোনো কিছুতেই ইতিবাচক কিছু খুঁজে পান না। ভালো কাজের মধ্যেও মন্দকে খুঁজে বের করা তাদের একমাত্র কাজ। এসব বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। এরা সেই অন্ধকার চায়Ñ যেই অন্ধকারে দেশ ঢেকে গেলে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল হবে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা কোনো ভালো কাজ নয়। অন্তত বুদ্ধিজীবী পদবাচ্য যাদের গায়ে লেগেছে তাদের পক্ষে ‘বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা’কে আমি পাপ বলেই গণ্য করি। আমাদের দেশের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী সময়ের হাওয়া ধরে পাল তোলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনা পাকিস্তান আমলে দেখেছি, বিভিন্ন সামরিক সরকারের সময়ে দেখেছি এমন কি মৌলবাদ ও পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও দেখেছি। বুদ্ধিজীবীদের সর্বশেষ দ্বিমুখিতা দেখেছি ১/১১-এর ঐতিহাসিক দুঃসময়ে। তখন যাদের কলাম-বক্তৃতা পেপারে-টেলিভিশনে পড়েছি-শুনেছি আজ তারা অনেকেই হারিয়ে গেছেন। হারিয়ে গেছেন ১/১১-এর কুশীলব ও তাদের মদদদাতা ডক্টরগং। সত্য মাঝে মাঝে ঢাকা পড়ে যায় বটে, তবে বেশিক্ষণ সত্য ঢেকে রাখা যায় না। সত্য স্বপ্রকাশ। সে নিজে নিজেই বেরিয়ে আসে। সত্যকে যারা মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে মিথ্যা বানাতে চায় তারাই মিথ্যুক বলে একদিন প্রমাণিত হয়ে যায়।
একটি কথা না বললেই নয়Ñ বিগত ২১ বছরে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে এদেশে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চায় পাকিস্তানি ভাবধারায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হলে ২১ বছর বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকে বাংলাদেশ বিরোধীচক্র ’৭৫ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত এই একুশ বছরে বাংলাদেশ উল্টো দিকে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীন-সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিবর্তে এখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার পরিবর্তে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। এর ফলে এখানে তৈরি হয় উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে তৈরি হয় একদল সাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবী। এরা কারণে-অকারণে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এদের চোখে আওয়ামী লীগের কোনো কিছুই ভালো নয়। আওয়ামী লীগ যা করে তারা তার বিরুদ্ধেই তীব্র ও মারমুখী আচরণ করতে শুরু করে। কিন্তু তারা বুঝে নাÑ এ দেশের মানুষ এখন আর মিথ্যে কথায় ভুলে না। আজ আওয়ামী লীগের সাফল্য দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে এখন অনেকেই বিস্মিত ও অভিভূত। এহেন পরিস্থিতিতে এই সাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে গেছে। এখন তাদের উচিতÑ অযথা দেশের ও আওয়ামী লীগের বদনাম না করে গঠনমূলক সমালোচনায় নিজেদের নিয়োজিত করা। লালন ফকির বলেছিলেন, ‘সময় গেলে সাধন হবে না,’ তাই সময় থাকতেই এই বিভ্রান্ত বুদ্ধিজীবীদের সুপথে ফিরে আসার অনুরোধ করব, নইলে বাংলাদেশের মানুষ এই সব বুদ্ধিজীবীদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।
যারা বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতিকে অস্বীকার করতে চান, তারা কি আবার বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় দেখতে চান? বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে এমন কি দিয়েছে যে তাদের জন্য তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের এত মায়াকান্না করতে হবে? ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলতে হবে? হ্যাঁ বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে আর কিছু না দিতে পারুক, মৌলবাদকে উস্কে দিতে পারে, দেশের সিরিজ বোমা হামলা করতে পারে। অবাধ ঘুষ লেনদেন করতে পারে, দেশদ্রোহী চিহ্নিত রাজাকারদের হাতে তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্তে সিক্ত পতাকা তুলে দিতে পারে। যারা শহিদের রক্ত নিয়ে প্রহসন করে তাদের পক্ষে যারা ওকালতি করতে চায়, এদেশের প্রতিবাদী মানুষ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনে সেই বার্তাটিই এদেশের মানুষ দিয়েছে।
আমি বলবো না আওয়ামী লীগের কোনো দোষ নেই। নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের অনেক ত্রুটি আছে। দেশ এগিয়ে গেলেও এখনো দেশে দুর্নীতি আছে, আইনের শাসন পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কোনো কোনো সেক্টরে এখনো তেমন আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। আওয়ামী লীগের দোষ-ত্রুটি নিয়ে আমিও পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করছি। আবার পাশাপাশি সরকারের সাফল্যকেও স্বাগত জানাচ্ছি। বুদ্ধিজীবীদের কাজ হলো সরকারের প্রতিটি কাজ বিচার বিশ্লেষণ করে দিক-নির্দেশনা দেওয়া। সরকারকে বিভ্রান্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা নয়। যারা সরকারকে বিভ্রান্ত বা দোষী বানাতে চান তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটি কথাই বলবো, আগে নিজের ছিদ্র বন্ধ করুন, তারপর সরকারের ছিদ্রান্বেষণ করুন। নিজের একরাশ কলঙ্ক থাকতে অন্যের কলঙ্কতিলক না দেখানোই সমীচীন।
ধর্মীয় একটি বইতে পড়লাম দোজখে দোজখিদের জাক্কুম ফল খেতে দেওয়া হবে। ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে দোজখিরা এই ফল খাবে কিন্তু এই ফল দোজাখিরা গিলতে পারবে না। তখন তারা ছটফট করতে থাকবে এবং দোজখের ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবে এখন আমরা কী করবো? তখন দোজখের ফেরেস্তারা বলবেন, তোরা কী-ও করতে পারবি না। এদেশের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবীদের অবস্থা দোজখের ফেরেস্তাদের মতো। এরা আওয়ামী লীগ সরকারকে কীও করতে দিতে চায় না। অর্থাৎ তাদের পছন্দ মতো সরকার ছাড়া অন্য সব কিছুতেই তাদের ঘোর আপত্তি।
আমাদের দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অন্যান্য অবকাঠামোও নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্তু যখন সরকার বিদ্যুৎ শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানারকম পরিকল্পনা করছে, কতিপয় বুদ্ধিজীবী তাতে নানা বাধা দিচ্ছে। রামপাল ও রূপপুরে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন করছে। এগুলো কিসের স্বার্থে, কার স্বার্থে? নিশ্চয়ই দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে নয়। তারা ভাবে নাÑ প্রকল্প করতে গেলে এদেশেরই কোথাও না কোথাও করতে হবে। সবখানে বাধা আসলে সরকার উন্নয়ন করবে কিভাবে?
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বাইরে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। সুতরাং জনগণের উচিত ধৈর্য ধরে শেখ হাসিনার কাজকে সমর্থন করে যাওয়া। যেহেতু দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শ করছে এবং মাথাপিছু আয়সহ জিডিপি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই দিশেহারা বুদ্ধিজীবীদের বলব আপনারা পজেটিভ হোন। দায় নিয়ে সমালোচনা করুন। তা না হলে এদেশের মানুষ আপনাদের কারণে প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখবে। বুদ্ধিজীবীদের সত্য বলার ও সুপথে চলার সাহস থাকা দরকার। আমি বিশ্বাস করি আমাদের বুদ্ধিজীবীগণ সত্য বলবেন ও সুপথে চলবেন।
১৬ নভেম্বর, ২০১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 6 7 8 12
September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর হেনা ভাই : অভ্রভেদী আলোকস্তম্ভ

এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশের স্বনামধন্য পুরুষ। তার আসল নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। ডাক নাম ‘হেনা’। হেনা নামেই তিনি অধিক পরিচিত […]

August 26th, 2017

Globalization Terrorism & Corruption Changed our Planet Earth

For good or for ill, amongst all the current scientifically known solar planets of the universe, the earth is the […]

August 13th, 2017

Sheikh Mujib : A poet of Politics

Though Bangabandhu was the leader of a small and poor South Asian country, it is doubtful whether any contemporary leader […]

August 13th, 2017

শেখ মুজিব : মৃত্যুঞ্জয় ছায়াবৃক্ষ

বাংলার উর্বর মাটিতে যুগে যুগে অসংখ্য কীর্তিমানের আবির্ভাব ঘটেছে। এই সব প্রাতঃস্মরণীয় কীর্তিমানদের নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক […]

August 5th, 2017

পুঁজিবাদ ক্যান্সার-আক্রান্ত হয়ে পড়েছে

বর্তমান পৃথিবী হিংসা, দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ ও স্বার্থপরতায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই দেশে-দেশে ও মানুষে-মানুষে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত লেগেই আছে। মানুষের […]

July 15th, 2017

বদলে যাচ্ছে রাজনীতির ব্যাকরণ

মানুষ সমাজবদ্ধ রাজনীতিসচেতন জীব। জীবন-যাপনের জন্য মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হয়। তৈরি করতে হয় নানারকম প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র মানবরচিত সবচেয়ে বড় […]

June 23rd, 2017

সরকারের শুধু সমালোচনা নয়, ইতিবাচক সমাধান বলুন

ঢাকার বাইরে অবস্থান করে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় লিপ্ত এবং যাদের লেখা পত্রপত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় এদের মধ্যে সিলেটের ড. মুহাম্মদ […]

June 23rd, 2017

রাজনীতিতে পুতুল খেলা ও মৌ-দুধ খাওয়া আর কতদিন চলবে?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন পুতুল (খালেদা জিয়া) ও একজন মওদুদ (মৌ-দুধ) আহমদ বর্তমানে বেশ আলোচিত। এই আলোচনার কারণ অবৈধভাবে দখলে থাকা […]