List

দৃষ্টি আকর্ষণ : মহত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে [২ অক্টোবর,২০১৮]
মহাত্মা গান্ধী : শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক

মোনায়েম সরকার
পৃথিবী ক্রমে ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠছে। মানুষের মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পশুত্ব প্রদর্শনেই আজ যেন সবাই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবী এমন নিষ্ঠুর হৃদয়হীন হওয়ার কথা ছিল না, এই শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে উল্লম্ফন হয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের সকলেরই মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার কথা ছিল, কিন্তু আমরা কল্যাণের পথ পরিহার করে হিংসার পথ, যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছি। মানুষের রক্তে, মানুষের চোখের জলে পৃথিবীর মাটি ভিজিয়ে দিচ্ছি। বিদ্বেষ বিষ ভুলে গিয়ে আজ আমাদের শান্তিসঙ্গীত রচনা করতে হবে। মানুষের কাছে ফিরে যেতে হবে ভালোবাসার, শান্তির, কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে। এ ক্ষেত্রে আমরা অহিংস আন্দোলনের নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে পথপ্রদর্শক মানতে পারি। অনুসরণ করতে পারি তার মহিমান্বিত, শান্তিবাদী, সহজ-জীবন। শান্তির স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেনÑ তা শুধু ভারতবর্ষে নয়, সমগ্র পৃথিবীতেই দুর্লভ। এই দুর্লভ পুণ্যাত্মাকেই আজ আমাদের নত মস্তকে মেনে নিতে হবে, গান্ধীর শিক্ষা ছাড়া পৃথিবীব্যাপী প্রজ্জ্বলিত অশান্তির আগুন নেভানো আজ অনেকটাই সম্ভব।
যার কাছ থেকে মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি তিনি হলেন কুমিল্লার গর্বিত সন্তান ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। আমি তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। কুমিল্লার ইউসুফ স্কুলে লেখাপড়া করি। থাকি ধর্মসাগরের কাছে। ওখানেই পরিচয় হয় দেশবরেণ্য রাজনীতিক ও ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গে। তিনি সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণ করতেন। একদিন সকালে আমি তার প্রাতঃভ্রমণের সঙ্গী হই। তিনি আমাকে প্রাতঃভ্রমণ শেষে তার বাড়ি নিয়ে যান। ইংরেজিতে লেখা একটি বই শিরোনাম সম্ভবত Tagore’s Letter’s to Mahatma Gandhi তিনি আমাকে পড়তে দেন। আমার মতো বালকের পক্ষে সেই বই পড়ে তাকে শোনানো কঠিন হলেও আমি সাধ্যমতো বইটি পড়তে চেষ্টা করি। আমার পাঠ শুনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত খুশি হন। তিনি বইটি বাসায় নিয়ে পড়ার অনুমতি দিয়ে আমার মাঝে পাঠ্যাভাস গড়ে তুলতে প্রথম প্রেরণাদাতা হিসেবে কাজ করেন। এটা অবশ্য ১৯৫৬ সালের কথা। সবকিছু যে এতদিন পর আমার হুবহু মনে আছে বিষয়টি এমন নয়, তবে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কাছ থেকে আমি প্রথম মহাত্মা গান্ধীর নাম শুনেছিলাম এবং বিস্মিত হয়েছিলামÑ ভারতবর্ষের একজন হালকা-পাতলা-ধুতিপরা মানুষ কিভাবে সম্মানের শীর্ষ আসন দখল করেছিলেন? কিভাবে তিনি সত্যাগ্রহ ও অহিংসনীতি দ্বারা নিপীড়িত ভারতবাসীকে জাগিয়ে তুলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? পৃথিবীর যেখানেই নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কান্না শুনেছেন, সেখানেই ছুটে গেছেন গান্ধীজি। যেখানেই বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রক্তপিপাসু রূপ নিয়েছে, সেখানেই তিনি প্রসারিত করেছেন শান্তির বাহু। কি আফ্রিকা, কি কলকাতা, নোয়াখালি, বিহারÑ সর্বত্রই তিনি শান্তির পথ-প্রদর্শক।
মহাত্মা গান্ধীর আসল নাম মোহনদাস করমদাঁদ গান্ধী। তিনি ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান। মহাত্মা গান্ধীর মা পুতলিবা-করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা পরম ধার্মিক মহিলা ছিলেন। মায়ের আদর্শ এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশ থেকে গান্ধী তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষা লাভ করেন। সর্বজীবে দয়া, অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাস, সর্বোপরি অসাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গী মহাত্মা গান্ধী শৈশবেই আত্মস্থ করেছিলেন। ছাত্র হিসেবে মহাত্মা খুব মেধাবী না হলেও ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ভর্তি হন। বিলেতে পড়তে পাওয়ার পাঁচ বছর পূর্বেই তিনি পারিবারিক সিদ্ধান্তে বাবা-মায়ের মনোনীত পাত্রী ১৪ বছর বয়স্কা কুস্তুরবা মাখাঞ্জীকে বিয়ে করেন। গান্ধী যখন দাম্পত্য-জীবন শুরু করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
মহাত্মা গান্ধীর জীবনী যারা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করেছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, একরাশ অনুপম গুণের অধিকারী ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি যখন ইংল্যান্ড গমন করেন ব্যারিস্টারি পড়তে, তখন তার মা পুতলিবা এক জৈন সন্ন্যাসীর মাধ্যমে তাকে কয়েকটি প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন। এগুলোর মধ্যে ছিলÑ মদ ও মাংস না খাওয়া এবং নারী সংসর্গ থেকে বিরত থাকা। মহাত্মা গান্ধী যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন এ কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। কৃচ্ছ্রসাধনার প্রতি গান্ধী ভীষণ অনুরাগী ছিলেন। যতটুকু না হলেই নয়Ñ তিনি কেবল ততটুকু নিয়েই জীবনধারণ করার অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন। এজন্যই তার পক্ষে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ৩৬ বছর বয়সে ব্রহ্মচর্য করা সম্ভব হয়েছিলো, সম্ভব হয়েছিল লবণ কর আন্দোলনের ২৪১ কিলোমিটার লম্বা লং মার্চ পরিচালনা করা। ভারতের স্বাধীনতা ও ভারতবাসীর মুক্তির জন্য মহাত্মা গান্ধী জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি চরকা কেটে ভারতের স্বরাজ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিদেশি পণ্য বর্জন করে কেন তিনি চরকা কেটে স্বরাজ আন্দোলন শুরু করেছিলেনÑ তার ব্যাখ্যাও উপস্থাপন করেছিলেন মহাত্মাজি। রক্তপাতে কখনো বিশ্বাস ছিল না মহাত্মার। বিদ্বেষ বা হানাহানিতেও বরাবর তার অনাস্থা ছিল। ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে ইংরেজ কর্তৃক তিনি বর্ণবাদের শিকার হযেছিলেন। ফার্স্ট ক্লাসে ট্রেন ভ্রমণ করার জন্য এক ইংরেজ তাকে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলেদিয়েছিল, তবু তিনি কখনো ইংরেজদের প্রতি সশস্ত্র-সংগ্রামে আগ্রহবোধ করেননি। প্রতিশোধ নিতে চাননি শক্তি প্রদর্শন করে। শোষক ও বর্ণবাদী ইংরেজদের প্রতি মহাত্মার মনোভাব কখনোই নমনীয় ছিল না, কিন্তু মানবতাবোধের কারণে ইংরেজকে আক্রমণ করতেও অন্তরে তিনি বেদনা অনুভব করতেন।
মহাত্মা গান্ধীর জীবন ছিল একেবারেই সাদামাটা। আহারে-বিহারেই শুধু নয়Ñ পোশাকেও তিনি খুবই সাধারণ ছিলেন। ব্যারিস্টারি পড়ার সময় পুরোদস্তুর সাহেবি পোশাক পরিধান করলেও ভারতে এসে মহাত্মা ‘লেংটি আর চাদর’ ধরেছিলেন। তার অর্ধনগ্ন পোশাক নিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মানুষই টিটকারি কেটেছেন। এদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট চার্টিলের নাম বলতেই হয়। চার্চিল বিশ্বাসই করতে পারেন নাই অর্ধনগ্ন এই ফকিরই (Naked Fakir of India) ভারতবাসীর স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইউরোপীয় সভ্যতার অনেক ভুল মহাত্মা গান্ধী নিজের কর্ম ও জীবন দিয়ে নির্দেশ করে গেছেন। মহাত্মাজি জানতেন বিলাসী জীবনযাপন মানুষকে কখনোই সুখী করতে পারে না। মানুষ মহৎ হয় তার কর্মে ও সৃজনী প্রতিভায়। কর্মগুণে যে নমস্য নয়, শ্রদ্ধাস্পদ নয়, তাকে ভয় করার কোনো মানেই থাকতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি এবং নিখাদ মানবপ্রেম মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রভূষণ ছিল। তবুও এই মানুষটিকে আফ্রিকা ও ভারত মিলিয়ে মোট ১৩ বার কারাবরণ করতে হয়েছে। তার সবচেয়ে বড় সাজা হয়েছিল ১৯২২ সালে। একটি পত্রিকায় ব্রিটিশবিরোধী জালাময়ী আর্টিকেল লেখার কারণে তার ৬ বছর কারাদ- হয়। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে দুই বছর পরেই মুক্তি দেওয়া হয়।
মহাত্মা গান্ধী জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মহাত্মা হননি। এজন্য তাকে নিরন্তর সাধনা করতে হয়েছে। সেই সাধনায় কোনো ফাঁক ছিল না, লোক দেখানোর কোনো হীনমানসিকতাও ছিল না। যদিও অগ্রজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুজ গান্ধীর সকল কাজ সমর্থন করেননি, তবু তিনিই তাকে ভালোবেসে দিয়েছিলেন ‘মহাত্মা’ উপাধি। মহাত্মাও রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। মহাত্মাজি শুধু ভারত বর্ষেরই প্রিয় মহাত্মা নন, আজ তিনি সমগ্র বিশ্বে নিজগুণে সম্মানিত ও সমাদৃত। অনেকেই মনে করতে পারেন, গান্ধীর অহিংস-নীতি এমন কী কঠিন কাজ। এটা তো সকলেই পারে। আসলেই কি সকলের পক্ষে সম্ভব অহিংস হয়ে ওঠা? একবার সাবারকর নামের এক ডাক্তার গান্ধীর সঙ্গে তার হিংসা-অহিংসা নীতি নিয়ে তর্ক শুরু করলেন। সারারকর বলেন, ‘গান্ধী, মনে করুন একটা বিরাট বিষধর সাপ আপনার দিকে তেড়ে আসছে। আর আপনার হাতে আছে একগাছা লাঠি। আপনি কী করবেন? মারবেন না মরবেন? গান্ধী উত্তর দেন, ‘লাঠিখানা আমি ছুড়ে ফেলে দেব। পাছে ওকে মারবার প্রলোভন জাগে।’ এই হলো মহাত্মার অহিংসাদর্শন, জীবন সংকটাপন্ন জেনেও যিনি আদর্শে অটল থাকতে পারেন তিনিই তো সত্যিকারের আদর্শবান মানুষ।
শুরুতেই বলেছিলাম মানুষের উন্মত্ততার কথা, রক্তের আর সীমাহীন অশ্রুপাতের কথা। আজকের দিনে মানবসৃষ্ট মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মানুষকে আজ যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর সব মানুষকে শান্তির স্বপক্ষে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে আজ স্বেচ্ছায় প্রতিজ্ঞা করতে হবে, কোনো দেশ অন্য কোনো দেশকে আর শোষণ করতে পারবে না, পারবে না গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র উৎপাদন করতে। যেসব দেশের হাতে মারণাস্ত্র আছে সেসব দেশকে বাধ্য করা হবে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য। মানুষের সদিচ্ছা আর শান্তিমুখী প্রচেষ্টাই পারে পৃথিবীকে শান্তির স্বর্গে রূপান্তর করতে। সমগ্র পৃথিবী আজ একটি মানবিক বিশ্বব্যবস্থা প্রত্যাশা করছে। এই মানবিক পৃথিবী গড়তে হলে মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন, কিংবা মহাত্মা গান্ধীর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। অনুসরণ করতে হবে এদের মহান জীবনাদর্শ ও কর্ম। কেননা মানবিক পৃথিবী কেবল মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের পক্ষেই গড়ে তোলা সম্ভব। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও মনে হয় বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গান্ধিজির নীতি ও আদর্শ প্রাসঙ্গিক। শুভ জন্মদিনÑ শান্তিকামী মহাত্মাজি।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 6 7 8 12
September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর হেনা ভাই : অভ্রভেদী আলোকস্তম্ভ

এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশের স্বনামধন্য পুরুষ। তার আসল নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। ডাক নাম ‘হেনা’। হেনা নামেই তিনি অধিক পরিচিত […]

August 26th, 2017

Globalization Terrorism & Corruption Changed our Planet Earth

For good or for ill, amongst all the current scientifically known solar planets of the universe, the earth is the […]

August 13th, 2017

Sheikh Mujib : A poet of Politics

Though Bangabandhu was the leader of a small and poor South Asian country, it is doubtful whether any contemporary leader […]

August 13th, 2017

শেখ মুজিব : মৃত্যুঞ্জয় ছায়াবৃক্ষ

বাংলার উর্বর মাটিতে যুগে যুগে অসংখ্য কীর্তিমানের আবির্ভাব ঘটেছে। এই সব প্রাতঃস্মরণীয় কীর্তিমানদের নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক […]

August 5th, 2017

পুঁজিবাদ ক্যান্সার-আক্রান্ত হয়ে পড়েছে

বর্তমান পৃথিবী হিংসা, দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ ও স্বার্থপরতায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই দেশে-দেশে ও মানুষে-মানুষে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত লেগেই আছে। মানুষের […]

July 15th, 2017

বদলে যাচ্ছে রাজনীতির ব্যাকরণ

মানুষ সমাজবদ্ধ রাজনীতিসচেতন জীব। জীবন-যাপনের জন্য মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হয়। তৈরি করতে হয় নানারকম প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র মানবরচিত সবচেয়ে বড় […]

June 23rd, 2017

সরকারের শুধু সমালোচনা নয়, ইতিবাচক সমাধান বলুন

ঢাকার বাইরে অবস্থান করে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় লিপ্ত এবং যাদের লেখা পত্রপত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় এদের মধ্যে সিলেটের ড. মুহাম্মদ […]

June 23rd, 2017

রাজনীতিতে পুতুল খেলা ও মৌ-দুধ খাওয়া আর কতদিন চলবে?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন পুতুল (খালেদা জিয়া) ও একজন মওদুদ (মৌ-দুধ) আহমদ বর্তমানে বেশ আলোচিত। এই আলোচনার কারণ অবৈধভাবে দখলে থাকা […]