List

গুজব, ডেঙ্গু ও দুর্নীতিতে ‘উন্নয়ন’ চাপা পড়ছে

মোনায়েম সরকার
বাংলাদেশে এখন তিনটি শব্দ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। এই তিনটি শব্দ হলোÑ গুজব, ডেঙ্গু ও দুর্নীতি। ইতোমধ্যে গুজব ও ডেঙ্গুতে বেশকিছু লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্নীতিতে কারো প্রাণহানি না হলেও সরকারের যে মানহানি হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ সময়ের বাংলাদেশ এ সবকিছু মিলিয়ে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত অতিক্রম করছে। যদিও পত্র-পত্রিকায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হচ্ছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে সরকার যে দিশাহারা সেটা গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সম্প্রতি দেশে গুজব বেশ কিছু আজব ঘটনার জন্ম দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবেÑ এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ছেলেধরা সন্দেহে বেশ কিছু নিরপরাধ লোক নিহত হয়, আহত হয় অনেকেই। কারা কিভাবে এমন মর্মান্তিক গুজব ছড়ালো সে বিষয়ে দেশের গোয়েন্দা বাহিনী দৃশ্যমান কিছু করতে পেরেছে বলে দেশবাসী মনে করে না। বিশেষ করে ঢাকার একটি স্কুলে রেণু নামের এক অভিভাবককে জনসম্মুখে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধূ¤্রজাল। জনগণ আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর উপর দিন দিন আস্থা হারাচ্ছে তাদের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে। আজ প্রতিটি মানুষই ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলামÑ ভিক্ষুকেরাও এখন ভিক্ষা করছে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক ঘটনা।
গুজব আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই বাংলার বুকে আবার মহামারী হয়ে এসেছে ডেঙ্গু নামক ঘাতক-ব্যাধি। এর মধ্যেই ৬২টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। বহু লোকের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। শহরের কোনো হাসপাতালেই এখন সিট খালি নেই।
প্রথম প্রথম ডেঙ্গু-প্রভাব আমলে নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অবস্থা যখন চরম আকার ধারণ করেছে তখন তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে জনমনে বিরক্তি ধরিয়ে সরকারের ভাবমূর্তিতে দারুণভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ঢাকার দুই মেয়র পত্র-পত্রিকায়, রেডিও-টেলিভিশনে যেসব ভাষণ-বিবৃতি দিচ্ছেন সেগুলোতে মানুষ কোনো আশার বাণী শুনতে পারছে না। মশক-নিধন ওষুধ নিয়ে যেসব হাস্যকর তথ্য ও সিন্ডিকেট বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এতেও চরমভাবে সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। অর্থাৎ মশা যেন সরকারের দশা দুর্বিসহ করে তুলছে। কথায় আছে ‘মশা মারতে কামান দাগা’Ñ বাংলাদেশে এখন সেই অবস্থাই বিরাজমান। আজকাল এদেশে মশা নামক যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতে হচ্ছে। যেদেশে ধর্ষণ, খুন, মশক-নিধনের মতো বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন সদাব্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হয়Ñ সেদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করার জন্য আর কোনো পরিসংখ্যান দরকার আছে বলে জনগণ মনে করে না।
সরকার বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন সত্য, এখনও করে যাচ্ছেনÑ কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সরকারকে ভীষণ বেকায়দায় ফেলেছে বলেই মনে করার অনেক কারণ আছে। বিশেষ করে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যেভাবে দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেনÑ তাতে সরকারের গালে চুনকালি পড়ছে। ডিআইজি মিজানুর রহমানের ঘটনায় দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ৪০ লক্ষ টাকার ঘুষ গ্রহণ দুদকের ভাবমূর্তিতে দারুণভাবে আঘাত করেছে। এদেশের কোথায় কোন সরকারি কর্মকর্তা কি করছে সেগুলো মনিটরিং করা প্রযুক্তির বিকাশের যুগে মোটেই কঠিন কিছু নয়। তারপরেও সরকার কেন দুর্নীতি রোধ করতে পারছেন নাÑ সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন হয়ে মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিছু দিন আগে আফজাল নামের স্বাস্থ্য বিভাগের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেখে আঁতকে উঠেছিলাম। যে দেশের একজন সামান্য চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হন, সেদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী-আমলাদের বিষয়ে তদন্ত করলে আরো কত কি জানি বের হবে। যেদেশের মানুষ এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করে সে দেশের রাস্তাঘাটে রিকশার পাশে দেখা যায়Ñ প্রাডো, বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিসের মতো দামি গাড়ি, কারা এসব গাড়িতে চড়ে, তাদের আয়ের উৎস কি এগুলো তদন্ত করা দরকার।
আমি কিছুদিন আগে একটি লেখায় বলেছিলাম ‘বর্তমান সরকারের বড় দুশমন দুর্নীতি’Ñ আসলেই এখন তা-ই দেখা যাচ্ছে। গুজব বলি আর ডেঙ্গু বলি এসবের পেছনেও আছে দুর্নীতি। দুর্নীতি না থাকলে ঠিক সময়ে মশা মাছি মারলে রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে মশা এত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেত না। গুজবের যারা হোতা তাদের যদি ঠিক সময়ে ধরা হতো তাহলেও দেশের অভ্যন্তরে এতগুলো লোকের প্রাণহানি ঘটতো না। সরকারের প্রশাসনযন্ত্র যখন সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, তখন দলীয় নেতাকর্মীরাও হাত গুটিয়ে বসে নেই। তারাও হাত-পা ছড়িয়ে ফ্রি-স্টাইলে দুর্নীতি, খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ধর্ষণ সমানতালে করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে সকলেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগÑ অর্থাৎ বর্তমানে দেশে অন্য কোনো দলের অস্তিত্ব নাই বললেই চলে। সংসারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে যেমন শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না, তেমনি দলে সুবিধাবাদী সদস্য বেড়ে গেলেও সেই দশা হয়। আওয়ামী লীগে এখন সুবিধাবাদীরা এত বেশি আস্কারা পাচ্ছে যে, তেলবাজরা এত বেশি তেল মারছে যে, সত্যবাদী ও আদর্শবান নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের বন্যায়, নির্বাচন ফেলে রেখে নিজে রিলিফ কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। জীবনভরই তিনি মানুষের সেবা করেছেনÑ আজ ডেঙ্গুতে, বন্যায়, নদী ভাঙনে দলীয় কর্মীদের খুব একটা দেখা যায়। এটা খুবই বেদনাদায়ক ব্যাপার।
একটি দলের প্রাণশক্তি হলো আদর্শ। আদর্শ না থাকলে কোনো দলই বেশিদিন টিকতে পারে না। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় বহুবার আদর্শের বিষয়ে বলেছেন। তিনি দেখিয়েছেন আদর্শের বলে বলীয়ান না হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলভিত্তি মূলত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ত্যাগ, আদর্শ ও অকুণ্ঠ জনসমর্থন। বঙ্গবন্ধু কখনোই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। তিনি নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করেননি। কাউকে দুনীর্তি করার সুযোগও দেননি। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতিমুক্ত যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিন্দু পরিমাণ দুর্নীতি অভিযোগ নেই, সেদেশের দলীয় নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কিভাবে দুর্নীতি করার সাহস পায়Ñ এ অংক কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে আরো কঠিনতর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবেÑ বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে কোনো সেক্টরেই দুর্নীতি কমবে না। কেননা অসহায় মানুষ আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী প্রশাসনকেই শেষ ভরসার জায়গা মনে করে। সেখানেই যদি অন্যায়-অপরাধের আড্ডাখানা হয়, তাহলে আর কোনো আশা থাকে না। দুর্নীতির এমন গুজব আছে যে এই বাহিনীতে ৪ শতাংশ, ঐ বাহিনীতে ৫ শতাংশ ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে জেলখানার অনেক ঘটনাই বিবৃত করেছেন। এক কয়েদির প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু লিখেছেনÑ ‘লুট চলছে, কেউ দেখার নাই। এক কয়েদি আমাকে বলল, ‘দেখুন স্যার আমরা চোর, পেটের দায়ে চুরি করে জেলে এসেছি, আর আমাদের খাবার থেকে চুরি করে খেয়ে কেমন মোটা হয়েছে জেলের কিছু কর্মচারী।’ (কারাগারের রোজনামচা, চতুর্থ মুদ্রণ, পৃ. ২০৩, বাংলা একাডেমি)। সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ বণিক অবৈধ ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়ে দেশব্যাপী যে আলোড়ন তুলেছেন এটা তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
আজ আমিও বলতে চাই, যারা লাউ চোর, মাছ চোর, গরু চোরÑ তাদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে জেলখানা খালি করা হোক। এরপরে সেখানে ঢোকানো হোক এদেশের রাঘববোয়ালদের, যারা দিনরাত ষোলো কোটি মানুষের সম্পদ চুরি করে খাচ্ছে এবং গোপনে গোপনে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় জমাচ্ছে। দুর্নীতি বর্তমান সরকারকে মরণ কামড় দিয়েছেÑ এই সীমাহীন দুর্নীতিকে রুখে দাঁড়াতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকেও সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও সুযোগসন্ধানীদের কোনো দল থাকে না, আদর্শ থাকে না। তারা যেখানে সুযোগ পায় সেখানে গিয়েই ছাতা ধরে। বঙ্গবন্ধুর মতো জনপ্রিয় আর কোনো নেতা বাংলায় ছিলেন না, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দেশের অবস্থা কি হয়েছিল, আওয়ামী লীগের অবস্থা কেমন ছিল তা আমি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। দেশের মানুষের কষ্ট হয়, দুর্ভোগ বাড়ে, মন বিগড়ে যায়Ñ এমন কিছু করা এ সরকারের কিছুতেই ঠিক হবে না। ক্ষমতা কারোরই চিরদিন স্থায়ী হয় না। ক্ষমতার দম্ভে জনগণের কথা ভুলে গেলে জনগণ যেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সেদিন পালাবারও পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই জনবান্ধব সরকার হিসেবে জনমনে প্রতিষ্ঠিত। জনগণের মনে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হলে দলীয় দুর্বৃত্তদের পাশাপাশি প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। আশা করি, উন্নয়নমুখী সরকার দুর্নীতির কালো পাথরের নিচে তার উন্নয়নমূলক কর্মকা- চাপা পড়তে দিবেন না।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
১ আগস্ট, ২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 6 7 8 12
September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর গুড সিস্টার, সুবর্ণ সত্তরে স্বাগত

মাত্র আটাশ বছর বয়সে পিতৃ-মাতৃ-ভ্রাতৃহীন হন শেখ হাসিনা। একজন সাধারণ গৃহবধূ আর মুজিব কন্যা ছাড়া তখন তার অন্য কোনো পরিচয় […]

September 27th, 2017

মান্যবর হেনা ভাই : অভ্রভেদী আলোকস্তম্ভ

এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশের স্বনামধন্য পুরুষ। তার আসল নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। ডাক নাম ‘হেনা’। হেনা নামেই তিনি অধিক পরিচিত […]

August 26th, 2017

Globalization Terrorism & Corruption Changed our Planet Earth

For good or for ill, amongst all the current scientifically known solar planets of the universe, the earth is the […]

August 13th, 2017

Sheikh Mujib : A poet of Politics

Though Bangabandhu was the leader of a small and poor South Asian country, it is doubtful whether any contemporary leader […]

August 13th, 2017

শেখ মুজিব : মৃত্যুঞ্জয় ছায়াবৃক্ষ

বাংলার উর্বর মাটিতে যুগে যুগে অসংখ্য কীর্তিমানের আবির্ভাব ঘটেছে। এই সব প্রাতঃস্মরণীয় কীর্তিমানদের নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক […]

August 5th, 2017

পুঁজিবাদ ক্যান্সার-আক্রান্ত হয়ে পড়েছে

বর্তমান পৃথিবী হিংসা, দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ ও স্বার্থপরতায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই দেশে-দেশে ও মানুষে-মানুষে মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত লেগেই আছে। মানুষের […]

July 15th, 2017

বদলে যাচ্ছে রাজনীতির ব্যাকরণ

মানুষ সমাজবদ্ধ রাজনীতিসচেতন জীব। জীবন-যাপনের জন্য মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হয়। তৈরি করতে হয় নানারকম প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র মানবরচিত সবচেয়ে বড় […]

June 23rd, 2017

সরকারের শুধু সমালোচনা নয়, ইতিবাচক সমাধান বলুন

ঢাকার বাইরে অবস্থান করে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় লিপ্ত এবং যাদের লেখা পত্রপত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় এদের মধ্যে সিলেটের ড. মুহাম্মদ […]

June 23rd, 2017

রাজনীতিতে পুতুল খেলা ও মৌ-দুধ খাওয়া আর কতদিন চলবে?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন পুতুল (খালেদা জিয়া) ও একজন মওদুদ (মৌ-দুধ) আহমদ বর্তমানে বেশ আলোচিত। এই আলোচনার কারণ অবৈধভাবে দখলে থাকা […]