List

বর্তমান পৃথিবী ক্রমে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরিবেশ দূষণের ফলে জলবায়ু যেমন হুমকি হয়ে উঠেছে মানুষের জন্য তদ্রƒপ মানুষও নানাবিধ সংকটে-হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে অস্থির করে তুলছে সমগ্র পৃথিবী। দেশে দেশে চলছে যুদ্ধ, ধর্মে ধর্মে হানাহানি, রেষারেষি মানুষকে যেন কিছুতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দিচ্ছে না। তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন? উন্নত বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসার অমোঘ পরিণাম কী তাহলে আরেকটি রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ? আমরা শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
পৃথিবীতে এখন সংকটের প্রধান কারণ আমেরিকা। আমেরিকা একটি সংকর জাতি। নানা দেশের, নানা ভাষার জন¯্রােত আমেরিকাতে গিয়ে মিশে তারা একটি ঐতিহ্যহীন সংকর জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ এই ছিন্নমূল জাতি-গোষ্ঠীই আজ পৃথিবীকে নিয়ে নানামুখী চক্রান্তে লিপ্ত। আমেরিকার দিন শেষ হয়ে আসছে। তারা নিজেদেরকে যত বড়ই ভাবুক না কেন তাদের টুইন টাওয়ার, পেন্টাগনে বিমান হামলাই বলে দিচ্ছে তাদের গায়ের শক্তি ততটা নেইÑ মুখের শক্তি যতটা আছে।
আমেরিকা এক সময় দেশে দেশে সামরিক শাসন চালু করতে গোপনে গোপনে সামরিক বাহিনীকে উস্কানি দিত, অর্থ-বিত্ত দিয়ে প্রলুব্ধ করতো। আমেরিকার মদদে ৭০টির মতো দেশে অতীতে সেনা শাসন চালু ছিল। এমনকি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকেও আমেরিকা টাকা দিত বলে ইতিহাসে সাক্ষ্য পাওয়া যায়। বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে গেছে। মানুষ এখন আর সেনা শাসন চায় না। নিজেদের স্বার্থেই মানুষ এখন গণতন্ত্রমুখী। তাই আমেরিকাও সারাবিশ্বে এখন গণতন্ত্রের ছবক দিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধবাজ, সা¤্রাজ্যবাদী আমেরিকার মুখে যে গণতন্ত্রের গুণকীর্তন মানায় না এটা তারা কিছুতেই বুঝতে পারছে না। আমেরিকার কোনো কথাই বিশ্বাসযেগ্য নয়। এরা মুখে শান্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা নিজেরাই পৃথিবীব্যাপী সন্ত্রাস ছড়াচেছ। আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্ত পৃথিবীকে আজ উত্তপ্ত করে রেখেছে। অস্ত্র ব্যবসা ও তেল ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য তাদের এই হঠকারী পলিসি মানুষ আজ বুঝে ফেলেছে। এখনই আমেরিকার সাবধান হওয়া উচিতÑ নইলে উদ্ধত ঐ জাতির পরিণাম বড়ই ভয়ঙ্কর হবে।
আজ আফগানস্থান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর প্রভৃতি দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার বীজ আমেরিকার হাতেই রোপণ করা। তালেবান, আল-কায়েদা, আইএস, বোকোহারামসহ যে সব মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সৃষ্টি হচ্ছে তার পেছনেও আমেরিকার মদদ আছে। আমেরিকার সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভেবেছিলেন পৃথিবীতে আমেরিকার সমকক্ষ আর কোনো রাষ্ট্র নেই। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে। ক্রিমিয়া ও সিরিয়ার পাশে রাশিয়া সশস্ত্র অবস্থান নেওয়ার ফলে নতুন করে হিসাব নিকাশ করতে হচ্ছে আমেরিকাকে।
পৃৃথিবী এখন আর এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা চায় না। পৃথিবীর সব মানুষই আজ ক্ষমতার ভারসাম্য দেখতে চায়। আমেরিকার অপ্রতিরোধ্য গতিকে কিছুটা হলেও এই মুহূর্তে মন্থর মনে হচ্ছে। রাশিয়ার সামান্য হস্তক্ষেপেই যদি আমেরিকার গতি রুদ্ধ হয়ে যায়Ñ তাহলে ভাবতেই হবে আমেরিকার এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার দিন ফুরিয়ে এসেছে। আমেরিকার অনর্থক অজুহাতে অনেক দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। অনেক নিরপরাধ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এমন অনেক অপরাধীকেও এরা বিনা বিচারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই এরা ক্ষান্ত হয়নি। অপরাধীর শেষকৃত্য করারও অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। ওসামা বিন লাদেনই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পৃথিবীতে আমেরিকা অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু সবকিছু করতে পারে না। সে কথা আমেরিকাকে ভেবে দেখা দরকার। তাদের মনে রাখা প্রয়োজনÑ তারা হয়তো মনে করে পৃথিবীর সব দেশ তাদের কথায় উঠবে-বসবে, কিন্তু বাস্তবতা মোটেই সেরকম নয়, বরং অতীত ইতিহাসে তার উল্টোটাই দেখি। আমেরিকার সাথে যারা অন্ধকারে হাত মিলিয়েছে তারা শেষ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির কথা বলা যেতে পারে। বলা হয়েছিল সাদ্দামের কাছে মানববিধ্বংসী ব্যাপক মারণাস্ত্র ছিল। কিন্তু পরে দেখা গেছে সবকিছুই মিথ্যা। আমেরিকার পক্ষে নয় বরং যারা সাহসে ভর করে বুক ফুলিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তারাই বিজয়ী হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ভিয়েতনাম, কিউবা কিংবা বলিভিয়ার কথা স্মরণ করা যেতে পারে।
বর্তমান আমেরিকা রাশিয়াকে বেশ সমীহ করা শুরু করেছে। টেকনোলজিতে রাশিয়া আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে কিনা সেই বিতর্কে না গিয়ে অন্তত এটুকু বলা যায় আমেরিকার গোপন তথ্য যেভাবে রাশিয়া হ্যাক করে দিচ্ছে বলে বলছে, তাতে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে রাশিয়া ভালো করেই আমেরিকার উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। শুধু প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই নয়, বৈশ্বিক জঙ্গি দমনেও এখন রাশিয়ার মুখাপেক্ষী আমেরিকা। রাশিয়ার সাহায্য ছাড়া বিশ্ব নেতৃত্ব দেওয়াও আমেরিকার পক্ষে আজ সম্ভব নয়। আমেরিকার গত নভেম্বরের (২০১৬) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্র্যাম্প সব হিসাব নিকাশ এলোমেলো করে দিয়েছেন। জরিপে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে ছিলেন। অনেকেই ধারণা করেছিলেন হিলারিই হতে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। কিন্তু হিলারিকে পরাজিত করে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন ডোনাল্ড ট্র্যাম্প। ডোনাল্ড ট্র্যাম্প নির্বাচনে যখন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি তখন আমাদের ফাউন্ডেশনে প্রতিদিনই আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতেন ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। তারা সকলেই হিলারির পক্ষেই জয়ের সম্ভাবনা দেখতেন কিন্তু আমিই কেবল তাদের বলতামÑ আমেরিকানরা আনপ্রেডিকটেবল জাতি। এ জাতি পারে না এমন কিছু নেই। জরিপে হিলারি যতই এগিয়ে থাক ডোনাল্ড ট্র্যাম্প জয়ী হলে আমি মোটেই অবাক হবো না। ঘটেছেও তাই। এখানে বলে নেওয়া ভালোÑ আমেরিকা যতই নারীর সম-অধিকারের কথা বলুকÑ হিলারির ব্যর্থতাই বলে দিচ্ছে আমেরিকা নারীর ক্ষমতায়নে শতভাগ উদার নয়। ট্র্যাম্পের বিজয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যেভাবে তার পক্ষে-বিপক্ষে লেখালেখি করেছে তাতে মনে হয়েছে বিশ্বে একটা নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে যাচ্ছে।
আমি চিরদিনই আশাবাদী মানুষ। হতাশা আমার চরিত্রে কখনোই ছিল না, এখনো নেই। পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে নবনির্বাচিত ট্র্যাম্প রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করতে দৃঢ়-সংকল্প। এটা কেন হচ্ছে এখনো পুরোটা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ট্র্যাম্পের ব্যবসায়িক এবং আর্থিক লেনদেন রয়েছে। রাশিয়ার কারণেই নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে গেছেন ট্র্যাম্প। ঘটনা যা-ই ঘটুকÑ রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ট্র্যাম্প যদি সত্যি সত্যিই এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে আগামী দিনের পৃথিবী শান্তির পথে যাত্রা শুরু করবে এতে সন্দেহের কিছুই নেই।
আমেরিকার যুদ্ধবাজ, হত্যাপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের পরে বারাক ওবামা ক্ষমতায় এলে পৃথিবী একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছিল। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব ভেবেছিল এবার মুসলমানরা একটু শান্তি পাবেন। সুখে থাকার আশা পূর্ণ হবে তাদের। কিন্তু কাজের বেলা উল্টোটাই দেখে গেছে। আধা-মুসলমান ওবামা মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার চেয়ে তাদের ধ্বংসের জন্যই বেশি তৎপর ছিলেন। ওবামা যেই পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন সেই কাক্সিক্ষত পরিবর্তন তিনি আমেরিকার জন্য আনতে পারেননি। আমেরিকার মানুষ বুঝে ফেলেছে ওবামা প্রশাসনই যেহেতু তাদের কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে হিলারির পক্ষে কতটা পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়।
ট্র্যাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়াকে পৃথিবীর যে যেভাবেই বিশ্লেষণ করুক না কেন আমার কাছে তার কয়েকটি দিক উল্লেখ করার মতোই মনে হয়েছে। তার মধ্যে সিআইএ’র বরাদ্দ হ্রাসের ঘোষণা, ন্যাটোর ব্যয়ভার কমানো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহমর্মিতার সম্পর্ক স্থাপনÑ এগুলো আশার কথাই বটে। ট্র্যাম্প যদি শুধু অস্ত্র ব্যবসা এবং যুদ্ধ থামাতে সফল হন তাহলেই তিনি আমেরিকার সফল প্রেসিডেন্টের তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন বলে আমি মনে করি। অনেকে বললেন ট্র্যাম্প যদি আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে একা একা কোনো পরিবর্তন আনেন, তাহলে সেটা হবে তার জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অর্থাৎ তিনি ইমপিসমেন্ট হতে পারেন। কিন্তু আমি মনে করি বিশ্বকে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে যদি ডোনাল্ড ট্য্যাম্প ইমপিসমেন্টও হন সেটাই হবে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অমন ঘটনা ঘটলে বলতেই হবেÑ আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা যুদ্ধবাজ নয়Ñ আমেরিকার সংকর জনগণই এক নম্বর যুদ্ধবাজ।
ডোনাল্ড ট্র্যাম্প যদি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম করতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের শুরু করা সিআইএ ও পেন্টাগন দ্বারা সংঘটিত অমানবিক খেলা বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা যদি বিশ্বজুড়ে তাদের এই মরণখেলা বন্ধ না করে, তাহলে তার নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই আটকা পড়ে মরবে। মানুষের সম্মিলিত অগ্রগতি আমেরিকা কিছুতেই রোধ করতে পারবে না। ডোনাল্ড ট্র্যাম্প যদি এই ভাবনা ভেবে তার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তাহলে তিনিই হতে যাচ্ছেন আধুনিক আমেরিকার সবচেয়ে ভালো মানবিক প্রেসিডেন্ট। আমার মতো বিশ্বের অনেকেই আজ সেই আশাতেই বুক বেঁধে আছেন।
১৩ জানুয়ারি, ২০১৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 7 8 9 12
June 23rd, 2017

‘শিক্ষা’ থেকে কালো মেঘ কেটে যাক

বাংলাদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দিন আগে আমি একটি লেখা লিখেছিলাম। দেশে ও বিদেশের বেশ কয়েকটি পত্রিকায়, এমনকি দেশের ও […]

June 23rd, 2017

অনন্য সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৪৮তম মৃত্যুদিবস স্মরণে তিনি স্বপ্ন দেখেও স্বাধীন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেনি

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বাংলাদেশের এক কীর্তিমান পুরুষ। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তিনি যেই জায়গায় নিজেকে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের […]

June 23rd, 2017

বাংলাদেশের রাজনীতি : অতীত ও বর্তমানের খতিয়ান

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পালে জোরেশোরে হাওয়া লেগেছে বলেই মনে হয়। ইতোমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়া তার দলের […]

January 23rd, 2017

আওয়ামী লীগকেই গড়ে তুলতে হবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

বর্তমান বিশ্ব দারুণ অস্থিতিশীল প্রকৃতি, প্রতিবেশ ও পরিবেশের ভেতর দিয়ে এগোচ্ছে। সারা পৃথিবীতে কোথাও কোনো শান্তি নেই। প্রত্যেকেই আজ বেপরোয়া […]

January 23rd, 2017

ডোনাল্ড ট্র্যাম্প ও আগামী পৃথিবী কোন পথে

বর্তমান পৃথিবী ক্রমে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরিবেশ দূষণের ফলে জলবায়ু যেমন হুমকি হয়ে উঠেছে মানুষের জন্য তদ্রƒপ মানুষও নানাবিধ […]

December 27th, 2016

মৃত্যুঞ্জয় বাংলা ভাষা

বাংলা ভাষা এক সহ¯্রাব্দ অতিক্রম করে আরেকটি নতুন সহ¯্রাব্দের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। শুরু থেকেই বাংলা ভাষার যাত্রাপথ নানা সংকটে […]

December 18th, 2016

Human Fate in 20th & Twenty-first Century

In 20th-Century the term fascist was first applied to a political movement combining ultra nationalism with hostility both to the […]

December 14th, 2016

৪৫তম বিজয় দিবসে একাত্তরের চেতনায় জেগে উঠার সময় এসেছে

এবারের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৫তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই বিশেষ দিনটিতে ২৬ মার্চ ’৭১-এ সূচিত মহান মুক্তিযুদ্ধের […]

December 8th, 2016

চিরবিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রয়াণ ও ইতিহাসের শাপমোচন

২৫ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে নব্বই বছর বয়সে বর্ণাঢ্য বিপ্লবী জীবনের ইতি টেনে চিরবিদায় নেন কিউবান বিপ্লবী নেতা ফিদেল আলেজান্দ্রো ক্যাস্ট্রো […]

November 29th, 2016

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের ভাগ্য একসূত্রে গাঁথা

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের দুই বছর পরেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ […]