প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য
মোনায়েম সরকার
আমাদের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসেন। অনেকেই তাদের মনে কথা অবলীলায় ব্যক্ত করেন। দেশের কোন্ সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে, কোন্ সেক্টর তলিয়ে যাচ্ছে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে তাও বলেন অনেকে। কয়েকদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কথা হচ্ছিল কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার সাথে। তাদের দেওয়া মাঠ পর্যায়ের তথ্য থেকেই আজকের এই লেখার সূচনা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এর পূর্বেও আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি। এই লেখাতে প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ের চালচিত্র কিছুটা হলেও উপলব্ধি করা যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা যে কোনো দেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংবেদনশীল স্তর। এই স্তরে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গোটা জাতির জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। সামান্য পদক্ষেপ, হোক ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক, কালক্রমে তার ছাপ বিরাট পরিসরে দৃশ্যমান হতে থাকে। বাংলাদেশও এই বাস্তবতার বাইরে নয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এমডিজি) আশানুরুপ অর্জিত হবার পর এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ জোরেসোরে চলমান রয়েছে। রুপকল্প-২০২১কে সামনে রেখে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সক্রিয় রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রত্যাশার আলোকে মাঠ পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে সামান্য আলোকপাত করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তি উপযোগী প্রায় সকল শিশুই এখন বিদ্যালয়ে যায়। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করতে পারা পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এক অসামান্য অর্জন। প্রায় সকল গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর শিশুদের ঘরের দরজায় পৌছে গেছে প্রাথমিক শিক্ষা। উপবৃত্তি ও মিডডে মিল কার্যক্রম শতভাগ বাস্তবায়নের পর দেশের প্রাথমিক শিক্ষা একটি যুগান্তকারি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। শিক্ষকদের চাকরি পূর্বের তুলনায় মর্যাদা ও বেতনের দিক দিয়ে অধিক সম্মানের হওয়ায় শিক্ষা দানের পরিবেশ অনেক গতিশীল হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর হিসেবে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। আনুপাতিক হারে ৫১:৪৯। ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার যে চেষ্টা চলমান রয়েছে সেটি অব্যাহত থাকলে অচিরেই দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে প্রাথমিক শিক্ষায় তার চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী বিনির্মাণের প্রাথমিক ধাপ প্রাথমিক শিক্ষা। ভবিষ্যত জীবনে চেতনাগত, আবেগিক, সৃজনশীল ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জীবনের ভিত্তিভূমি নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ সময় এই প্রাথমিক শিক্ষাকাল। এই স্তরে অর্জিত জ্ঞান, চিন্তা ও চেতনা একটি শিশুর ভবিষ্যত জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। বইয়ের বোঝা কমিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায় আমরা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারি না।
শিশুর কাছে শিক্ষক দাস (চাকরিজীবী) নয়, গুরু। গুরুজন শুধু শেখায় না, হাতে-কলমে দেখায়ও। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষকের কাছ থেকে শিশু জীবন ও জগতকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী অর্জন করতে থাকে। শিক্ষক তার সামনে একটি জীবন্ত ফিলোসফি হয়ে বিচরণ করে। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় শিক্ষকের ব্যক্তিগত অভ্যাস-রুচি শিশুর মধ্যে সঞ্চারিত হতে থাকে। কেননা শিশু ভীষণভাবে অনুকরণপ্রিয়। শিক্ষক কিভাবে কথা বলে, কি খায়, কিভাবে হাটে, কি আচরণ করে ইত্যাদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে শিশু। এই ব্যাপারটি বড়রা হয়তো গভীরভাবে ভেবে দেখে না, কিন্তু শিশুর সরল মনে শিক্ষকের চাল-চলন সুগভীর প্রভাব রেখে চলে। বড় হয়ে শিশুটি যখন তার প্রতিফলন ঘটায়, তখন শিশুও জানে না, শিক্ষকও জানে না, ঠিক কোন কারণে তার ভেতর এমন প্রবণতা এসেছে। এই ব্যাপারটি প্রাথমিক শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি ঘটে। অন্যান্য ধাপেও ঘটে তবে তুলনামূলক কম। ফলে নীতি-নৈতিকতা আর দৃষ্টিভঙ্গীর ভিত্তি নির্মাণের এই স্তরটি নিয়ে আর যাই হোক, ছেলেখেলা চলে না।
প্রাথমিক শিক্ষাকে মাঠ পর্যায়ে তদারক করার সরাসরি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার। একাধিক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের একটি টিমের নেতৃত্বে রয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার। তিনি আবার দাপ্তরিক কাজেরও নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন এবং নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিরাজ করেন। এই কাজে তাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। শিক্ষাগুরু হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে ভূমিকা সেটি ঠিক মতো চলতে পারার ক্ষেত্রে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। কেননা তিনি শিক্ষকদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন। সরকারের নীতি এবং প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তার ভূমিকা জাদুর মতো কাজ করতে পারার কথা। বাস্তব ক্ষেত্রে এটি প্রায়ই হতে দেখা যায় না। ব্যক্তিগতভাবে অসৎ কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এটি না হতে পারারই কথা। কিন্তু যিনি সৎ এবং দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকেন তার ক্ষেত্রেও রয়েছে আজব আজব কিছু বিড়ম্বনা। সেদিকে একটু আলোকপাত করা যাক।
উপজেলা স্তরে শিক্ষকদের বদলি, পদোন্নতি, বিভিন্ন ছুটি প্রদান, সার্ভিস বই সংরক্ষণ এবং বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত কিছু রুটিন কাজ নিয়মিত করতে হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ, ভবন তৈরি, মেরামত প্রভৃতিও শিক্ষা অফিসকে তদারক করতে হয়। ঘুষখোর আর অসৎ কর্মকর্তা এসব কাজে অসুদপায় অবলম্বন করে থাকে, সেটি আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সচরাচর দেখেও থাকি। কিন্তু সৎ কর্মকর্তাদের এসব কাজ তদারক করতে গিয়ে যে পরিমান বেগ ও চাপ সামাল দিতে হয় সেটি বাস্তবিক পক্ষে খুবই নিষ্ঠুর এবং অমানবিক। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে একদিন সে সৎলোকটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং হতোদ্যমী মানুষের মতো নিজেকে গুটিয়ে নেয়। নীরবে-নিভৃতে এইরকম কত মানুষ যে হতোদ্যম হয়ে পড়ে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের জানা নেই। এই চাপটি তৈরি হতে পারে ভেতর-বাহির উভয় দিক থেকেই। অসৎ কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রে অথবা শিক্ষক নেতা পরিচয়ে যে দালালচক্র রয়েছে তাদের ষড়যন্ত্রে। আমরা জেনে অবাক হবো যে, তদারক করার প্রতিটি স্তরে কম-বেশি অবৈধ অর্থের লেনদেন হওয়ার প্রথা চালু রয়েছে মাঠ পর্যায়ে। অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে উল্লিখিত দালাল চক্র একটি সুদৃঢ় সিন্ডিকেট তৈরি করে রাখে। এই সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কোনো শিক্ষকের পক্ষেই নিয়ম মোতাবেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। যেসব কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের বাইরে থাকে, কোনো প্রকার অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিতে প্রস্তুত থাকে না, তাকেই এই সিন্ডিকেট মূর্তিমান হুমকি হিসেবে প্রত্যক্ষ করে এবং বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের জাল বুনে তাকে ক্রমাগত নাস্তানাবুদ করে চলে। এই নাস্তানাবুদ হতে থাকার এক পর্যায়ে নিজে থেকে বদলি না হলে সিন্ডিকেট তখন তার বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর কিছু অভিযোগ দাঁড় করায় এবং বদলি হবার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ফেলে। এই ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কতগুলো নমুনা তুলে ধরতে চাইÑ
একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দালাল চক্রের একটি অনিয়মের দায় নিতে না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা যেমন বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেড়া, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেড়া এবং স্থানীয় এমপিকে গালাগাল দেবার মতো অভিযোগ এনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে অফিস সময়ে চরম লাঞ্ছিত করা হয়। একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এই সিন্ডিকেটের একটি সিদ্ধান্ত মানতে দৃঢ়তার সহিত অপারগতা প্রদর্শন করলে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটুক্তি করার অভিযোগ এনে চরম হেনস্থা করা হয়। সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ফেক আইডির মাধ্যমে একটি বিতর্কিত বক্তব্য প্রিন্ট করে তারই এক কলিগের নামে বিলি করতে থাকে। ফলে ঐ কলিগ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের রোষানলে পড়ে যায় এবং গণধোলাইয়ের মুখে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
একজন দায়িত্বশীল সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ছোট-খাটো ষড়যন্ত্রে কুপোকাত করতে না পেরে সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত এক নারী শিক্ষক দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করিয়ে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করে ঐ কর্মকর্তাকে বদলি করে অন্যত্র সরিয়ে নিতে। অফিসারগণ বদলির কারণে কিছুদিন পরপর পাল্টায়। কিন্তু শিক্ষকদের যে অংশটা এই সিন্ডিকেটের সদস্য, তারা বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ একই উপজেলায় সক্রিয় থাকে এবং বহুল অভিজ্ঞতার কারণে ষড়যন্ত্র করার ব্যাপারে ক্রমাগত দক্ষ হয়ে ওঠে। এই সিন্ডিকেটের বাইরে কোনো শিক্ষক কিছু করে উঠতে পারে না, কোনো কর্মকর্তার পক্ষেও কোনো সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা থাকে না। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের সামান্য বাইরে গেলেই তার কপালে জোটে অপরিসীম ভোগান্তি আর যন্ত্রণা।
এধরনের সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে নানা কুকর্ম করতে করতে এতটাই দক্ষ যে, কোনো দুষ্কৃতি সাধন করতে এদের দুবার ভাবতে হয় না। একদিকে স্থানীয়, আরেকদিকে রাজনৈতিক শক্তির সাথে যোগসাজস রক্ষা করে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাখে। একজন সৎ কর্মকর্তা এমনকি একজন আদর্শ শিক্ষককেও এরা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। মানুষের মান-সম্মান এবং জীবন নিয়ে এদের ছিনিমিনি খেলার ব্যাপারটি খুবই ঘৃণ্য।
প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ে এ ধরনের বাস্তবতা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের পথে মারাত্মক বাধা হিসেবেই পরিগণিত হবার কথা। এই বাস্তবতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। উন্নয়নের বাতিঘর প্রাথমিক শিক্ষা স্তর দিনশেষে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। সততার সহিত কাজ করতে চাওয়া মানুষগুলো ক্রমাগত বিপদে পড়ার ভয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়ছে। এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর স্বপ্নের সোনার বাংলার ভিত্তিভূমি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্লঙ্ঘ্য এক বাধা হয়ে বিরাজ করছে মাঠ পর্যায়ের এ সিন্ডিকেট। আমাদের ভেবে দেখা দরকার, প্রাথমিক শিক্ষাকে এই সিন্ডিকেটের যাতাকলে পিষ্ঠ হতে দেবো নাকি প্রকৃত উন্নয়নের বাতিঘরের ভূমিকায় দেখতে চাইবো? এই সিন্ডিকেটকে দুর্বল করতে না পারলে জনগণের করের টাকা আর বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর সকল দান-অনুদান অপচয়ের নামান্তর হতে বাধ্য। বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবিসহ দাতাগোষ্ঠীর বিভিন্ন পরামর্শও বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ ধরনের সিন্ডিকেট কম-বেশি সব উপজেলাতেই সক্রিয়, তবে শক্তি প্রদর্শনে মাত্রাভেদ লক্ষণীয় ।
প্রাথমিক শিক্ষার সাথে প্রায় চারলক্ষ সরকারি চাকরিজীবী সম্পৃক্ত। প্রজাতন্ত্রের মোট কর্মচারী প্রায় বার লক্ষ। সে হিসেবে গোটা জনশক্তির এক তৃতীয়াংশই শুধুমাত্র একটা বিভাগে কর্মরত। সৎ কর্মচারীর সংখ্যাটাও আনুপাতিক হারে এই বিভাগে বেশি হবার কথা, যেমন বেশি হবার কথা অসৎ কর্মচারীর সংখ্যা। প্রাথমিক শিক্ষা হোক সিন্ডিকেট মুক্ত এবং দেশপ্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এক পরিশীলিত শিক্ষা স্তর। সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও এগিয়ে আসা সময়ের দাবি। বনখেকো ওসমান গনি, ডিআইজি মিজান, দুদকের এনামুল বাসিরের মতো দুষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রাথমিকসহ সকল স্তরেই আছে। দুর্নীতিবাজরা যেখানেই থাকুক সেখান থেকেই তাদের বিদায় করতে হবে। তাহলেই এগিয়ে যাবে দেশ, গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
২৬ জুন, ২০১৯
Leave a Reply