List

যেভাবে আমরা জানাই প্রতিবাদ

আমি ছিলাম বঙ্গবন্ধু গঠিত বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) অন্তর্ভুক্ত জাতীয় যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির ২১ নম্বর সদস্য। ১৯৭৫ সালের ৬ জুন বাকশাল গঠিত হয়। আর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় একই বছরের ১৫ আগস্ট। গোটা জাতি হয়ে পড়ে স্তব্ধ। কায়েম করা হয় ত্রাসের রাজত্ব। হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মতো আমাকেও এক রকম আত্মগোপনে যেতে হয়। বাম রাজনীতির অনুসারী হিসেবে এর অন্তর্ভুক্ত নেতাদের সঙ্গেই আমার ছিল বেশি যোগাযোগ। দুঃখের বিষয়, তাদেরকে তখন নানা ধরনের বিভ্রান্তির শিকার হতেই দেখেছি। পরিস্থিতিও এমন ছিল যে, সবাই হয়ে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
ঠিক সে সময়ে জাতির জনকের খুনিদের বিরুদ্ধে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে আমরা ক’জন মিলে সম্পূর্ণ নিজেদের সিদ্ধান্তে বের করি একটি হাতে লেখা লিফলেট- ‘মীরজাফররা হুঁশিয়ার’। তখন হ্যান্ড কম্পোজের যুগ। কিন্তু কোথাও গিয়ে কম্পোজ করানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। ভয়ভীতিতে সবাই ছিল কুঁকড়ে। বঙ্গভবন দখল করে থাকা খুনিচক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়ে আমরা সে লিফলেটটি লিখেছিলাম হাতে। অধ্যাপক নূরুল আমিনের হাতের লেখা ছিল সুন্দর। তার হাতেই লেখা হয়েছিল লিফলেটটি। আমাদের সে তৎপরতায় আরও ছিলেন অধ্যাপক ম· আখতারুজ্জামান। তখনকার দিনের রোলার সাইক্লোস্টাইল মেশিনে খুব গোপনে শত শত কপি করা হয় এটি। এ কাজ হয় আমার বাসা শান্তিনগরের ২৩ চামেলীবাগে। এ ধরনের লিফলেট বিতরণের কাজ তখন ছিল আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তবু সচিবালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কৌশলে তা বিতরণ করা হয়। লিফলেট রেখে আসা হয়, যাতে তা এমনিতেই লোকের হাতে যায়। রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়, যাতে তা উড়তে উড়তে মানুষের হাতে পৌঁছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনে কয়েকজন বাম ছাত্রনেতার কাছেও পৌঁছানো হয় কিছু লিফলেট। তারা ভীত হয়ে কিংবা সঠিক হবে না মনে করে তা বিতরণ করেননি। লিফলেট নিয়ে যাওয়া ও তা বিতরণের কাজে তখন যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন ফকির আবদুর রাজ্জাক, প্রয়াত শফিকুল আজিজ মুকুল, সরদার দবিরউদ্দিন, ফখরুদ্দীন প্রমুখ।
সন্দেহ নেই, এটা ছিল বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে সেটার প্রয়োজন ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিমূঢ় হয়ে পড়া মানুষকে এটা জানানো প্রয়োজন ছিল যে, প্রতিবাদ রয়েছে এবং কিছুটা দেরিতে হলেও খুনিচক্রকে প্রতিহত করা হবে। ওই লিফলেট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে হতবিহ্বল হয়ে পড়া মানুষকে আশাবাদী করেছিল নিশ্চয়ই। ওই লিফলেট হাতে পেয়ে মোশতাক মন্ত্রিসভায় যোগদানকারী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী বলেছিলেন, কিলারদের কথা না শুনলে তারা আমাদের হত্যা করবে আর তাদের কথামতো মন্ত্রিসভায় যোগ দিলে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা আমাদের হত্যা করবে। কী মুশকিলে পড়লাম··· এমন কথা বলার কারণ ছিল। ওই লিফলেটে প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছিল খুনিচক্রকে নির্বংশ করার।
দেশে পরিস্থিতি হতাশাব্যঞ্জক দেখে আমি ভারত চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বাকশালভুক্ত অনেকেই তখন আত্মগোপনে বা দেশত্যাগ করেছেন। সিনিয়র নেতাদের কাউকে কাউকে ধরে নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও আওয়ামী লীগ সরকারই দেশ পরিচালনা করছে। চারদিকে গুজব, চক্রান্ত আর আতংক। আমি কলকাতা যাই ১৪ অক্টোবর ’৭৫। এর কিছুদিন পরই ঘটে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা। তা সফল হয়নি। সিপাহী-জনতার অভুøত্থানের নামে ৭ নভেম্বর ঘটানো হয় প্রতিবিপ্লব। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ সুফলভোগী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।
ঠিক সেদিনই জাসদের কিছু কর্মীর হামলার পর আমার বাসা শান্তিনগরের ২৩ চামেলীবাগে এসে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। আমাকে না পেয়ে তারা আমার মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে যায়। তছনছ করে পুরো বাড়ি, লুট করে স্বর্ণালংকার। আমি সে খবর পাই কিছুদিন পর। শুনি, আমার বাসা ‘ডিমোলিশ’ করা হয়েছে। ফোন দিয়ে জানতে পারি, ঘটনা ততটা ভয়াবহ নয়। দেশে তখন এমন পরিস্থিতি ছিল যে, যে কোনো ঘটনাই ঘটাতে পারতো ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল। অথচ প্রচার করা হয়েছিল, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘাতকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেয়া হয় বিভিন্নভাবে। অপরিকল্পিতভাবেও কার্যক্রম পরিচালনা করেন অনেকে। কলকাতার মতো আগরতলা ও আসামে অবস্থান নেন অনেকে। মেঘালয়ের তুরা পাহাড়ে অবস্থান করে কাদের সিদ্দিকী সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও নেন। মুক্তিযুদ্ধকালেও আমরা কিন্তু দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রায় একইভাবে অবস্থান নিয়েছিলাম। জাতির জনককে হত্যার পর আমরা যেন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হলাম।
বাকশালভুক্ত সংগঠনের যারা কলকাতায় অবস্থান নিই, তাদের আন্তঃসম্পর্ক রক্ষার জন্য একটি কর্ডিনেশন কমিটি করা হয়। তাতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল আমার। রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি তখন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন প্রয়াত রণেশ দাশগুপ্ত, মরহুম শওকত ওসমান, প্রয়াত সঞ্জীব দত্ত, মরহুম জওয়াদুল করিম প্রমুখ। শওকত ওসমান তার ‘উত্তরপর্ব মুজিবনগর’ বইতে সে সময়কার কথা বিস্তারিত লিখেছেন। ইলা মিত্র, তার স্বামী রমেণ মিত্র, প্রফেসর শান্তিময় রায় ও পি·এন· হাকসার সেখানে ছিলেন আমাদের বড় আশ্রয় ও অবলম্বন।
সে পরিস্থিতিতে পত্রপত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলাকেই আমরা বড় কাজ বলে মনে করেছিলাম। কলকাতা থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল ‘বজ্রকণ্ঠ’। এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন নজিবুর রহমান ও রেজা। আমাদের ব্যাপক যোগাযোগ গড়ে ওঠে লন্ডনে অবস্থানকারীদের সঙ্গে। সেখান থেকে প্রকাশিত হয় পাক্ষিক ‘প্রতিরোধ’। আবদুল গাফফার চৌধুরীর নেতৃত্বে বের হয় ‘বাংলার ডাক’। এম আর আখতার মুকুল ও রুহুল কুদ্দুস (সাবেক মুখ্য সচিব) প্রকাশ করেন ‘সোনার বাংলা’। আবদুল মতিন বের করেন মাসিক ‘সানরাইজ’। এগুলোয় ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছিল- কারা, কী উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছে।
১৯৭৬ সালে লন্ডনে ১৫ আগস্টে শোকসভা করা হয়। কলকাতা থেকে এতে যোগ দিতে যান স্থপতি মজহারুল ইসলাম। তাতে অংশ নেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, রুহুল কুদ্দস, গাউস খান, আবদুর রউফ, সুলতান শরিফ প্রমুখ। সে বছরই শান্তি পরিষদের তখনকার সেক্রেটারি প্রয়াত আলী আকসাদ কলম্বোতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও দেশকে প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সবাইকে অবহিত করতে। লন্ডন ও কলম্বোয় পাঠানো হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত, আহত ও গ্রেফতারকৃতদের তালিকা সংবলিত ‘বাংলাদেশঃ ভিকটিম অব ইমপেরিয়ালিস্ট কন্সপিরেসি’ নামের একটি পুস্তিকা।
এদিকে দেশে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া নিষিদ্ধ। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সংবাদপত্রে লেখা হয় ‘শেখ মুজিবুর রহমান’। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি আমি দেশে ফিরে আসি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণসহ তার আদর্শ সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে আমরা গঠন করার উদ্যোগ নিই বঙ্গবন্ধু পরিষদ। সেনাশাসনকে বৈধতা দেয়ার লক্ষ্যে যদিও দেশে একটি সংসদ নির্বাচন করবেন জিয়াউর রহমান, তবু পরিস্থিতি প্রতিকূলে। সীমিতভাবে চলছে রাজনৈতিক তৎপরতা। মনে আছে, সে সময় কমলাপুরে আমার বন্ধু প্রয়াত আতাউর রহমান বাবুর বাসায় থাকি আর রোজ সকালে নূরুর রহমান আসেন তার মোটর সাইকেলে আমাকে নিয়ে যেতে। আমরা কাজ করছিলাম বঙ্গবন্ধু পরিষদ গড়ে তোলার জন্য। জেল থেকে ততদিনে বেরিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বোস প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী। তার অফিস কক্ষে বসে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। এতে সোৎসাহে যোগ দেন প্রয়াত আবু জাফর শামসুদ্দিন, স্থপতি মজহারুল ইসলাম, ডা· সাঈদুর রহমান, অধ্যাপক ম· আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক নূরুল আমিন, প্রয়াত সন্তোষ গুপ্ত, মরহুম বজলুর রহমান, শওকত আনোয়ার প্রমুখ। ১০১ জনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের। দেশের মাটিতে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের জন্য আমরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তুলি ধনাঢ্য শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে। মনে আছে, হেলালউদ্দিন চৌধুরী সিএসপি একাই দিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। আমরা বের করি ‘বাংলাদেশের সমাজ বিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ নামে বিভিন্ন সময়ে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংবলিত একটি সংকলন। এর সম্পাদক ছিলেন খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস। এরপর প্রতি ১৫ আগস্টে এ ধরনের বই বা সংকলন প্রকাশ অব্যাহত রাখি আমরা। একটি সংকলনের নাম ছিল ‘রক্তমাখা বুক জুড়ে স্বদেশের ছবি’।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের পর সে বছরই অর্থাৎ ১৯৭৯ সালে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি-তে প্রথম শোকসভা করি। ওইদিন ভোরে শহীদ মিনার থেকে খালি পায়ে ব্যানার-ফেস্টুনসহ একটি শোভাযাত্রা নিয়ে আমরা যাই ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। তার গেট তখন ছিল বন্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সুফলভোগীদের দ্বারা তালাবদ্ধ। সেখানে রেখে আসি সপরিবারে নিহত জাতির জনকের উদ্দেশ্যে দেয়া আমাদের অশ্রু আর পুষ্পাঞ্জলি।

রচনাকালঃ ২১ নভেম্বর, ২০০৯
প্রকাশকালঃ দৈনিক যুগান্তর, ২২·১১·২০০৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  Posts

1 2 12
March 12th, 2023

আমেরিকার মদদেই ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে

আমেরিকার মদদেই ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে মোনায়েম সরকার গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান […]

May 17th, 2021

পৃথিবীর মানুষ মানবিক বিশ্বব্যবস্থা কামনা করছে

পৃথিবীর মানুষ মানবিক বিশ্বব্যবস্থা কামনা করছে মোনায়েম সরকারঃ আজ আমি ছিয়াত্তরে পা দিলাম। আমার জন্মের পর ছিয়াত্তর বার সূর্যকে পরিভ্রমণ […]

May 17th, 2021

মুজিবনগর সরকারের সংকট ও সাফল্য

মুজিবনগর সরকারের সংকট ও সাফল্য মোনায়েম সরকার: ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তে স্নাত পুণ্যভ‚মির নাম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দখলদার […]

May 17th, 2021

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক-দর্শন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক-দর্শন মোনায়েম সরকার পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে অসংখ্য মতবাদের জন্ম দিয়েছেন প্রথিতযশা দার্শনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এদের […]

October 13th, 2019

‘সোনার বাংলা’ গড়তে হলে ‘দুর্নীতি’ দূর করতেই হবে?

‘সোনার বাংলা’ গড়তে হলে ‘দুর্নীতি’ দূর করতেই হবে? মোনায়েম সরকার বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। […]

August 30th, 2019

যে দুটি মর্মস্পর্শী ছবি আমাকে কাঁদায়

যে দুটি মর্মস্পর্শী ছবি আমাকে কাঁদায় মোনায়েম সরকার আগস্ট এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অন্যান্য বাঙালির মতো আমিও শোকবিহ্বল হয়ে পড়ি। […]

August 20th, 2019

কী হবে যদি আঁধার নেমে আসে?

কী হবে যদি আঁধার নেমে আসে? মোনায়েম সরকার পৃথিবীর মানচিত্রে এক দুর্ভাগ্য পীড়িত জাতির নামÑ বাঙালি জাতি। এ জাতির মতো […]

August 20th, 2019

গুজব, ডেঙ্গু ও দুর্নীতিতে ‘উন্নয়ন’ চাপা পড়ছে

গুজব, ডেঙ্গু ও দুর্নীতিতে ‘উন্নয়ন’ চাপা পড়ছে মোনায়েম সরকার বাংলাদেশে এখন তিনটি শব্দ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। এই তিনটি শব্দ […]

July 3rd, 2019

প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য

প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য মোনায়েম সরকার আমাদের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসেন। অনেকেই তাদের মনে কথা অবলীলায় […]

July 3rd, 2019

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ মোনায়েম সরকার পরাধীন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটাতে প্রথম যে দল জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে […]